স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের উপদেশ
"প্রতিষ্ঠা লাভ করা সোজা, কিন্তু ত্যাগ করা কঠিন। যে ত্যাগ করতে পারে সে প্রকৃত সাধু।" ধর্ম প্রসঙ্গে স্বামী ব্রহ্মানন্দ পৃষ্ঠা ৩২
ত্যাগ না করলে ভগবানে ভক্তি আসে না। ত্যাগ নিশ্চিত চাই। ত্যাগ হচ্ছে - অহংকারটা নষ্ট করা। ধর্ম প্রসঙ্গে স্বামী ব্রহ্মানন্দ পৃষ্ঠা ১৫৫
সে-ই ঠিক ঠিক ত্যাগী যে নিজেকে সম্পূর্ণ রূপে ভগবানকে দিয়ে দিয়েছে- আমার বলতে কিছু রাখে নি। আমার দেহ, মন, বুদ্ধি সব তোমায় দিলাম, যা ইচ্ছে কর- তোমার জিনিস তুমি ইচ্ছামত ব্যবহার কর- এই ভাব। ধর্ম প্রসঙ্গে স্বামী ব্রহ্মানন্দ পৃষ্ঠা ১৮৮
সব ছেড়ে-ছুড়ে দিয়ে সাধু হয়ে, র্কতাম করতে যাওয়া কি হীনবুদ্ধি! কর্তৃত্বাভিমান সাধুর পক্ষে মহা বন্ধনের কারণ। যা কিছু করবি, জানবি তাঁর কাজ; যা কিছু দেখছিস, জানবি সব ঠাকুরের। "অহংকার- বিমূঢ়াত্মা করতাহমিতি মন্যতে।" মিথ্যা বলা মহাপাপ। যদি কেউ মদ খায়, বেশ্যাবাড়ি যায়, তাকে বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু যে মিথ্যা বলে তাকে এত টুকুও বিশ্বাস করা যায় না। মিথ্যার মতো মহাপাপ দুনিয়াতে আর নেই। পরনিন্দা, পরচর্চা কখনো করবি নে। উহাতে নিজেরই ক্ষতি হয়।
রাতদিন অপরের কুভাব গুলো আলোচনা করে করে নিজের ভেতর যেটুকু সদ্ভাব ভাবছিল নষ্ট হয়ে গিয়ে মনের উপর ঐসব কুভাবের ছাপ পড়ে যায়।
.....কার কি দোষ আছে না আছে দেখবার দরকার কি? সকলের সঙ্গে মিশবি, আনন্দ করবি। তা নয়, সাধু হয়ে এও করছে, সে তা করছে বলে পাঁচ জনে মিলে জটলা করা আর লোকের পিছনে লাগা বড় খারাপ। অতি হীন বুদ্ধি না হলে ওসব হয় না।
সব সময় মানুষের গুণ দেখতে শেখ। একটু গুন থাকলেও তাকে বড় করে দেখতে হবে, সম্মান দিতে হবে, প্রশংসা করতে হবে। গুণের আদর না করলে মানুষ বড় হতে পারে না, নিজের মন ও উদার হয়না।
ধর্ম প্রসঙ্গে স্বামী ব্রহ্মানন্দ পৃষ্ঠা ১৫০
রাতদিন অপরের কুভাব গুলো আলোচনা করে করে নিজের ভেতর যেটুকু সদ্ভাব ভাবছিল নষ্ট হয়ে গিয়ে মনের উপর ঐসব কুভাবের ছাপ পড়ে যায়।
.....কার কি দোষ আছে না আছে দেখবার দরকার কি? সকলের সঙ্গে মিশবি, আনন্দ করবি। তা নয়, সাধু হয়ে এও করছে, সে তা করছে বলে পাঁচ জনে মিলে জটলা করা আর লোকের পিছনে লাগা বড় খারাপ। অতি হীন বুদ্ধি না হলে ওসব হয় না।
সব সময় মানুষের গুণ দেখতে শেখ। একটু গুন থাকলেও তাকে বড় করে দেখতে হবে, সম্মান দিতে হবে, প্রশংসা করতে হবে। গুণের আদর না করলে মানুষ বড় হতে পারে না, নিজের মন ও উদার হয়না।
ধর্ম প্রসঙ্গে স্বামী ব্রহ্মানন্দ পৃষ্ঠা ১৫০
সাধন-ভজন ছেড়ে দিয়ে কর্ম করতে গেলে সহজেই অহংকার অভিমান আসবে আর যত ঝগড়াঝাটি ও অশান্তির সৃষ্টি হবে কর্মই করিস আর যাই করিস সাধন-ভজন ছাড়িস নে ধর্ম প্রসঙ্গে স্বামী ব্রহ্মানন্দ পৃষ্ঠা 148
তোরা সাধু ব্রহ্মচারী লোক তোদের ভেতর ব্রহ্মচর্যের একটা শক্তি আর রয়েছে তোদের ধ্যান ভজন ও কাজকর্ম একসঙ্গে করতে হবে এটা করে ওটা পারিনে ওতো গৃহস্থের কথা সাধু হয়ে উকিল এর বাড়ি পর্যন্ত ঠাকুর ছোটাছুটি করিয়ে নিয়েছেন তাতে আমাদের কোন অমঙ্গল হয়েছে বলে তো মনে হয়না আমরা জানি সবই তারই কাজ ধর্ম প্রসঙ্গে স্বামী ব্রহ্মানন্দ পৃষ্ঠা 62
ভোগ-বিলাস পর্নো জগতে থাকতে হবে চোখের সামনে more then 99%( শতকরা ৯৯ ভাগ) জনেরও বেশি লোক ভোগের পিছনে দৌড়াচ্ছে ওইসব নিত্য দেখতে হবে এই সব দেখে শুনে মনের মধ্যে নানা রকম ছাপ্পড় বার খুব সম্ভব না ঐসব ছাড় যদি কেউ একবার কোনরকমে আর পরে আর রক্ষা নেই যারা ব্রহ্মচারী জীবন যাপন করতে চায় তাদের সদা সর্বদা নিজের মনকে সব বিষয়ে এনগেজ নিযুক্ত করে রাখতে হবে সব গ্রন্থ পাঠ 7 বিষয়ে আলোচনা ঠাকুর সেবা সাধুসেবা সাধুসঙ্গ ও জব্বার নিয়ে থাকতে হবে একমাত্র এই উপায় নিজেকে তৈরি করে তৈরি করা যেতে পারে ধর্ম প্রসঙ্গে স্বামী ব্রহ্মানন্দ পৃষ্ঠা 109
ব্রহ্মচর্যের দ্বারা খুব শক্তি হয় একটা লোক প্রচেষ্টা লোকের কাজ করতে পারে আগেকার ব্রহ্মচর্যের নিয়মের মধ্যে কতগুলো নিয়ম ছিল জব ভ্যান স্বাধ্যায় তীর্থ ভ্রমণ সৎসঙ্গ এইসব আড্ডার মহা শত্রু নেই ওতে একেবারে রুনি অধঃপতন এনে দেয় নির্জন বাস না করলে মনের ওয়ার্কিং ক্রিয়া বুঝতে পারা যায় না আর সত্য সব ধরতে পারা যায় না নানারকম হট্টগোলের মধ্যে থাকলেই ভাবের development বিকাশ হওয়া ভারি শক্ত ধর্ম প্রসঙ্গে স্বামী ব্রহ্মানন্দ পৃষ্ঠা 101
আড্ডা দেওয়া সাধন-ভজনের পক্ষে বড় বিস্ময়কর মনকে বিক্ষিপ্ত করে দেয় ভগবানকে ভুলিয়ে দেয় ধর্ম প্রসঙ্গে স্বামী ব্রহ্মানন্দ পৃষ্ঠায় 149
ঠিক ঠিক বহ্মচারি না হলে ঠিক ঠিক ধ্যান হওয়া অসম্ভব সূক্ষ্ম বাসনা জয় করা ভারি শক্ত এইজন্যই সন্ন্যাসীদের এত কঠোর নিয়ম সন্ন্যাসী কোন স্ত্রীলোকের দিকে তাকাবে না এমনকি ফটোগ্রাফ দেখলেও মনের উপর ছাদের উপর একটা ছাপ পড়তে পারে মনের স্বভাব কোন একটা সুন্দর জিনিস কে দেখলেই ভোগ করতে চায় ঐ রূপে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক জিনিস ভোগ করে ইহাই অতিশয় হানিকর ব্রহ্মচর্যের নিষ্ঠা হলে প্রত্যেক জিনিসই তার বিভূতি দেখবে ব্রহ্মচর্য পালনের ও শক্তি বৃদ্ধি হবে ব্রহ্মচর্যের সঙ্গে সঙ্গে যাক হওয়া চাই তা না হলে ব্রহ্মচর্য রক্ষা করা যায় না ধর্ম প্রসঙ্গে স্বামী ব্রহ্মানন্দ পৃষ্ঠা 76
ব্রহ্মচর্য কি জানো সত্য কথা বলা জিতেন্দ্রিয় হওয়া মৌলবাদকে সংযম মদ মাংস না খাওয়া হিংসা দ্বেষ ঘৃণা না করা ধর্ম প্রসঙ্গে স্বামী ব্রহ্মানন্দ পৃষ্ঠায় 151
গীতায় আছে কর্ম না করে জ্ঞান লাভ হয়না কর্মের মধ্য দিয়ে যেতে হয় যারা কর্ম ছেড়ে দিয়ে সাধন-ভজন করে তাদেরও ঝুপরি বাদদে আর রান্না করতে সময় কেটে যায় কর্ম ঠাকুর স্বামীজীর এই ভাব নিয়ে করলে কোন বন্ধন তো হবেই না অধিকন্তু তার থ দিয়ে spiritual moral intellectual and physical সবরকম উন্নতি হবে তাদের পায়ে আত্মসমর্পণ কর ধর্ম প্রসঙ্গে স্বামী ব্রহ্মানন্দ পৃষ্ঠা 100
অপকর্ম কর যার নাম করে শার্ট প্যান্টের ভেতর কর দেখি তার নাম এই নামের চাকা সব কাজের মধ্যে ঘুরবে টমেটো ধর্ম প্রসঙ্গে স্বামী ব্রহ্মানন্দ পৃষ্ঠা 143
যারা ঠিক ঠিক কর্মযোগী তারাও দিন কাজ হলেও সে কাজ ভগবান বুদ্ধিতে মন-প্রাণ ঢেলে দিয়ে দিয়ে করে লোকের বাহবা নেবার জন্য তারা কখনোই কিছু করে না ধর্ম প্রসঙ্গে স্বামী ব্রহ্মানন্দ পৃষ্ঠা 14৭
তোরা সাধু-সন্ন্যাসী মানুষ তোদের সব সময় স্থির ধীর বিনয়ী ও মিষ্টভাষী হতে হবে তোদের কথাবার্তা চালচলন সবটা ভেতরে সত্য গুণের বিকাশ হবে তোদের সংস্পর্শে এলে মানুষ প্রাণে শান্তি পাবে এবং তাদের হিদয় ধর্মবাদ জেগে উঠবে ধর্ম প্রসঙ্গে স্বামী ব্রহ্মানন্দ পৃষ্ঠায় 151
যতটা একান্ত দরকার ততটা লইবে বেশি লড়াকু কন্নায় আপনা থেকে আসলে হওয়া উচিত নয় ভগবান লাভ করাই জীবনের উদ্দেশ্য, কঠোরতা করা নয়। শরীর সুস্থ রাখার জন্য যতটুকু কাপড়-চোপড় ব্যবহার করা দরকার করবি। তার চেয়ে বেশি জিনিস রাখা ও ব্যবহার করা বাবুয়ানি। সাধুর পক্ষে বাবুয়ানি করা খুব খারাপ। বিলাসিতার জন্য লোকের কাছে ভিক্ষা করা অত্যন্ত খারাপ। ধর্ম প্রসঙ্গে স্বামী ব্রহ্মানন্দ পৃষ্ঠা 181
No comments