ছেলেরা একপাতে শিশুর মতো খেলে মায়ের ভারি আনন্দ।
আহা ! মায়ের কি আনন্দ !! -------------------------
ছেলেরা একপাতে শিশুর মতো খেলে মায়ের ভারি আনন্দ।
মায়ের সন্তান-বাৎসল্য তাঁর বয়স্ক ছেলেদেরও শিশু করে তুলতো। তাঁরা নিজেদের বয়স বিদ্যা বুদ্ধি ভুলে মায়ের কাছে ছোট শিশুর মতো আচরণ করতেন।
পূজনীয় শরৎ মহারাজকে মায়ের বাড়িতে বালকের মতো আনন্দে রঙ্গরস-তামাশা করতে দেখে মনে হতো ---------- এই কি উদ্বোধনের সেই হিমাচল-সদৃশ গম্ভীরমূর্তি স্বামী সারদানন্দ, রামকৃষ্ণ মঠ-মিশনের কর্মাধ্যক্ষ !
যুবক সন্তান স্বামী জ্ঞানানন্দের ডান হাতের আঙুল কেটে গেছে ------ খেতে তাঁর কষ্ট হচ্ছে। অতি কষ্টে বাঁ হাতে চামচ দিয়ে খাচ্ছেন। সন্তানের এ অবস্থা দেখে মায়ের প্রাণ গলে গেল, কাছে বসিয়ে নিজের হাতে তাঁকে খাওয়ালেন। আশ্চর্য, যতদিন না হাত ঠিক হলো, ঐ জোয়ান, অশান্ত, দামাল ছেলে শিশুর মতো মায়ের কাছে বসে পরম তৃপ্তির সঙ্গে মায়ের হাতে খেতেন।
মায়েরই দুই সন্তান ------- স্বামী জ্ঞানানন্দ ও স্বামী সারদেশানন্দ ---- বাল্যবন্ধু, পরস্পর খুব হৃদ্যতা, মা সব জানেন। দুজনে যখন মায়ের বাড়িতে একসঙ্গে থাকেন, বাইরের বেশি লোকজন না থাকলে মা দুজনকে বসিয়ে এক থালায় খাবার দিতেন, আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে নিজের হাতে পরিবেশন করতেন। তাঁরাও দুটি সহোদর শিশুর মতো পরম আনন্দে গল্পগুজব করতে করতে ধীরে ধীরে খেতেন। মা তখন দোরগোড়ায় ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে তাঁদের খাওয়া দেখতেন, বলতেন, " কি চাই, কোনটা ভাল হয়েছে, পেটভরে খাও, আর একটু দিই " এমন নানান কথা। তাঁরাও তখন সত্যি সত্যি নিজেদের বয়স ভুলে গিয়ে ছোট ছেলের মতো হয়ে যেতেন।
একদিন পায়েস হয়েছে, দু-ভাই এক পাতেই খাচ্ছেন। বেলা হয়েছে, মা ঠাকুরকে ভোগ দিয়ে তাড়াতাড়ি তাঁদের খেতে দিয়েছেন ------ গরম পায়েস বড় থালায় দিয়েছেন। মায়ের কি আনন্দ। খাওয়া দেখছেন, কথা বলছেন, গরম বলে অল্প অল্প করে বারবার এনে দিচ্ছেন। মায়ের যেন মনে হলো, ছেলেরা সঙ্কোচ করে পেট ভরে খাচ্ছে না। মা তাই ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। পাতের কাছে উপুড় হয়ে মা পায়েসের কাছে হাত এনে ছেলেদের দেখিয়ে বলছেন, " পায়েস খাও, খুব পেট ভরে খাও। " এমনি তাঁর ভাব যে, হাত দিয়ে তুলে তাঁদের মুখে দিয়ে দেবেন ! জোয়ান ছেলেরা যখন তৃপ্তির সঙ্গে খুব খেলেন তা দেখে ভারি খুশি হয়ে মা বলছেন, " চেঁছে পুঁছে খাও, বাবা। "
মায়ের সন্তান-বাৎসল্য তাঁর বয়স্ক ছেলেদেরও শিশু করে তুলতো। তাঁরা নিজেদের বয়স বিদ্যা বুদ্ধি ভুলে মায়ের কাছে ছোট শিশুর মতো আচরণ করতেন।
Sri
Sarada Devi
|
যুবক সন্তান স্বামী জ্ঞানানন্দের ডান হাতের আঙুল কেটে গেছে ------ খেতে তাঁর কষ্ট হচ্ছে। অতি কষ্টে বাঁ হাতে চামচ দিয়ে খাচ্ছেন। সন্তানের এ অবস্থা দেখে মায়ের প্রাণ গলে গেল, কাছে বসিয়ে নিজের হাতে তাঁকে খাওয়ালেন। আশ্চর্য, যতদিন না হাত ঠিক হলো, ঐ জোয়ান, অশান্ত, দামাল ছেলে শিশুর মতো মায়ের কাছে বসে পরম তৃপ্তির সঙ্গে মায়ের হাতে খেতেন।
মায়েরই দুই সন্তান ------- স্বামী জ্ঞানানন্দ ও স্বামী সারদেশানন্দ ---- বাল্যবন্ধু, পরস্পর খুব হৃদ্যতা, মা সব জানেন। দুজনে যখন মায়ের বাড়িতে একসঙ্গে থাকেন, বাইরের বেশি লোকজন না থাকলে মা দুজনকে বসিয়ে এক থালায় খাবার দিতেন, আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে নিজের হাতে পরিবেশন করতেন। তাঁরাও দুটি সহোদর শিশুর মতো পরম আনন্দে গল্পগুজব করতে করতে ধীরে ধীরে খেতেন। মা তখন দোরগোড়ায় ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে তাঁদের খাওয়া দেখতেন, বলতেন, " কি চাই, কোনটা ভাল হয়েছে, পেটভরে খাও, আর একটু দিই " এমন নানান কথা। তাঁরাও তখন সত্যি সত্যি নিজেদের বয়স ভুলে গিয়ে ছোট ছেলের মতো হয়ে যেতেন।
একদিন পায়েস হয়েছে, দু-ভাই এক পাতেই খাচ্ছেন। বেলা হয়েছে, মা ঠাকুরকে ভোগ দিয়ে তাড়াতাড়ি তাঁদের খেতে দিয়েছেন ------ গরম পায়েস বড় থালায় দিয়েছেন। মায়ের কি আনন্দ। খাওয়া দেখছেন, কথা বলছেন, গরম বলে অল্প অল্প করে বারবার এনে দিচ্ছেন। মায়ের যেন মনে হলো, ছেলেরা সঙ্কোচ করে পেট ভরে খাচ্ছে না। মা তাই ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। পাতের কাছে উপুড় হয়ে মা পায়েসের কাছে হাত এনে ছেলেদের দেখিয়ে বলছেন, " পায়েস খাও, খুব পেট ভরে খাও। " এমনি তাঁর ভাব যে, হাত দিয়ে তুলে তাঁদের মুখে দিয়ে দেবেন ! জোয়ান ছেলেরা যখন তৃপ্তির সঙ্গে খুব খেলেন তা দেখে ভারি খুশি হয়ে মা বলছেন, " চেঁছে পুঁছে খাও, বাবা। "
( স্বামী সারদেশানন্দজীর স্মৃতিকথা )
No comments