কেউ কেউ বলেন, স্বামীজী ও শ্রীশ্রীমা শ্রীরামকৃষ্ণদেবের পুরাণবর্ণিত কার্য-সাধন-উপযোগী একাধিক দেহ ছিলেন তাঁর কাজে সহায়তার জন্য। - Spirituality Religion

Header Ads

কেউ কেউ বলেন, স্বামীজী ও শ্রীশ্রীমা শ্রীরামকৃষ্ণদেবের পুরাণবর্ণিত কার্য-সাধন-উপযোগী একাধিক দেহ ছিলেন তাঁর কাজে সহায়তার জন্য।


‘শ্রীরামকৃষ্ণদেবের শ্রেষ্ঠ বার্তাবহ স্বামীজী’

============================

SRI RAMAKRISHNA

SRI RAMAKRISHNA 
      সেন্ট পল বলেছিলেন—“আমি যে বেঁচে আছি, তা তো আমি নই।  খ্রীষ্টই আমার মধ্যে বেঁচে আছেন।”  সেন্ট পল নিজের আমিত্বকে নিঃশেষে খ্রীষ্টের মধ্যে বিলয় করেছিলেন বলেই তিনি হতে পেরেছিলেন যীশুর শ্রেষ্ঠ প্রচারক।  স্বামীজীও স্বরূপতঃ শ্রীরামকৃষ্ণদেবের সঙ্গে অভিন্ন ছিলেন ও বোধ করতেন বলেই তিনি হতে পেরেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণদেবের শ্রেষ্ঠ বার্তাবহ।  বস্তুুুতঃপক্ষে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের থেকে তাঁর পৃথক সত্তাই ছিল না।  শ্রীরামকৃষ্ণদেব নিজেও নরেন্দ্রনাথের সঙ্গে নিজেকে অভিন্ন জানতেন।  তাঁকে বলতেন—“তোর তো ভারী হীনবুদ্ধি,—তুই আমি কি আলাদা ?”  আরও বলতেন—“দেখছি কি—এটা [নিজ শরীর দেখিয়ে ] আমি, আবার এটাও [নরেন্দ্রনাথকে দেখিয়ে ] আমি।”  স্বামীজী উত্তরকালে এই স্বরূপ-অভিন্নতা অনুভব করে লিখেছিলেন—“প্রভু তুমি, প্রাণসখা
তুমি মোর। কভু দেখি আমি তুমি তুমি আমি।” প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, শ্রীরামকৃষ্ণদেবের সঙ্গে এরূপে অভিন্নস্বরূপতার সম্পর্ক আর একজনের সম্বন্ধে পাওয়া যায়—তিনি শ্রীশ্রীমা সারদাদেবী। শ্রীশ্রীমা বলতেন, তাঁর ও ঠাকুরের মধ্যে কোন পার্থক্যই নেই—শুধু রূপের পার্থক্য। “যেই ঠাকুর সেই আমি।”  কেউ কেউ বলেন, স্বামীজী ও শ্রীশ্রীমা শ্রীরামকৃষ্ণদেবের পুরাণবর্ণিত কার্য-সাধন-উপযোগী একাধিক দেহ ছিলেন তাঁর কাজে সহায়তার জন্য।

  ওঁ নমঃ শ্রীভগবতে রামকৃষ্ণায় নমো নমঃ।


No comments

Powered by Blogger.