ভবরোগবৈদ্য :--মন্দিরে কার মূর্তি আছে বল তো ?" পিন্টু নি:সংকোচে জবাব দিল ," আমার ডাক্তারবাবুর
ভবরোগবৈদ্য:-
Sri Ramakrishna
"পিন্টু
কুমার মন্ডল বয়স 12 । বছর
3
হলো
মালদা রামকৃষ্ণমিশনে যাতায়াত
করছে। বাবা
অসুস্থ,মা
কাঁচা সবজি বিক্রি করে সংসার
চালান । ছেলেটির
জন্ম থেকে হার্টে ছিদ্র(Holes
in the heart) ধরা
পড়ে এবং অন্যান্য 3
ধরণের
শারীরিক অসুবিধা রয়েছে । বয়স
বেড়ে যাওয়ায় আরো উপসর্গ দেখা
দিয়েছে ।বছর
দুয়েক আগে ডা:
দেবী
শেঠি ও ডা:
রঘুবংশীর
সঙ্গে কথা বলে কলকাতায় মুকুন্দপুর
হাসপাতালে অপারেশনের জন্য
ভর্তি করা হলো ।মালদা রামকৃষ্ণমিশন আশ্রমের
ভক্তরা অকৃপণভাবে সাহায্য
করলেন । কিন্তু করতে
গিয়ে যে ত্রুটি ধরা পড়ল তাতে
সার্জারি সম্ভব নয় বলেই
ডাক্তাররা জানালেন ।
পিন্টু
মালদায় ফেরৎ এলো। পূজনীয়
স্বামী গীতানন্দ মহারাজের
মন্ত্রশিষ্যা Dr.
Moumita Das মালদা রামকৃষ্ণমিশন আশ্রমে
সপ্তাহে একদিন তার সেবা
করেন । তিনি
একদিন আমাকে জানালেন,"
আমি
পিন্টুকে Dr.
Gadadhar Chattopadhyay কাছে
Refer
করে
দিচ্ছি ।"
পিন্টু
আগে হাঁটতে পারত না ।এখন
3-4
কিলোমিটার
পথ হেঁটে প্রতিদিন আশ্রমে
আসে । ডা:
দাসের
নির্দেশে সে প্রতিদিন বিকালে
নাটমন্দিরে অন্ততঃ দেড় থেকে
2-ঘন্টা
ঠাকুরের দিকে চেয়ে বসে
থাকে । আশ্রমে
কিছু হাল্কা কাজ করে । তারপর
আশ্রমে ফল,দুধ
,পায়েস
প্রসাদ খেয়ে রাত্রে বাড়ি ফিরে
যায় ।
ভক্তরা
তাকে তার ডাক্তারবাবুর নাম
জিজ্ঞাস করলে সে অকপটে বলে,"
আমার
ডাক্তারবাবুর নাম Dr.
Gadadhar Chattopadhyay । মন্দিরে
বিকাল 4টে
থেকে রাত্রি 9টা
পর্যন্ত তাঁর ডাক্তারখানা
খোলা থাকে । সপ্তাহে
5দিন
ডাক্তারখানায় বসেন আর দুদিন
বিশ্রাম করেন ।"
পিন্টুর
খুব বিশ্বাস যে ,মন্দিরের
ডাক্তারবাবু খুব বড় ডাক্তার । একদিন
একজন পিন্টুকে জিজ্ঞাসা
করলেন," মন্দিরে
কার মূর্তি আছে বল তো ?"
পিন্টু
নি:সংকোচে
জবাব দিল ,"
আমার
ডাক্তারবাবুর " ।।"
-----------স্বামী
দিব্যানন্দ
No comments