প্রাচীন সাধুদের কথা - Spirituality Religion

Header Ads

প্রাচীন সাধুদের কথা

প্রাচীন সাধুদের কথা

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

/১০/১৯৭৭, অম্বিকা ধাম, কাশী

মহারাজ বললেন, “একদিন বিজ্ঞান মহারাজ আমাকে বলেন, “দেখ, রাজা মহারাজের সঙ্গে বুঝেসুঝে কথা বলবে। উনি ফস্টিনস্টি করেন। আমি যদি বেফাঁস বলে ফেলি, উনি গম্ভীর হয়ে কথা বন্ধ করবেন। আর সেটা আমার পক্ষে হবে দারুণ যন্ত্রণার কারণ। আমার প্রতি তাঁর ভালবাসা অসীম।
দেখ, মহারাজ বলতেন আগে সাধুজীবন গড়ে তােল। অনেক সাধু নিজের ব্যক্তিগত সুখ-সুবিধার জন্য ধনীদের পিছন পিছন ঘােরে তাতে তাদের বৈরাগ্যের ভাব নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের কাজ গরিবদের নিয়ে এবং ধনী ভক্তেরা সেই কাজে সাহায্য করে।

মহাপুরুষ মহারাজকে আমরা রােজ সকালে প্রণাম করতে গেলে তিনি সকলের কুশলসংবাদ নিতেন এবং জপধ্যান কেমন হচ্ছে জিজ্ঞাসা করতেন।
Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna



একবার মঠে কালীপূজার সময় ডাক্তার কাঞ্জিলালের মেয়ে থাকতে চায়। তাতে মহাপুরুষজী বলেন, ‘না, রাতে মঠে মেয়েরা থাকবে না। এসব ব্যাপারে ঠাকুরের সন্তানরা খুব strict ছিলেন।”
বুদ্ধ মহারাজ বললেন, “দেখ, জন্মজন্মান্তরের সংস্কার আমাদের মনকে মায়ার দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। স্ত্রীলােকের ওপর মাতৃবুদ্ধি আনতে গেলে সাধনভজন খুব প্রয়ােজন।” তারপর বুদ্ধ মহারাজ স্বামীজীর শিবস্তোত্রম্ থেকে এই তিনটি শ্লোক আবৃত্তি করে আমাকে শােনালেন ?
বহতি বিপুলবাতঃ পূর্বসংস্কাররূপঃ
বিলতি বলবৃন্দং ঘূর্ণিতেবাের্মিমালা।
প্রচলতি খলু যুগ্মং যুম্মদস্যুৎপ্রতীত
অতিবিকলিতরূপং নৌমি চিত্তং শিবথম ॥৩॥
(পূর্বসংস্কাররূপ প্রবল বায়ু প্রবাহিত হইতেছে, উহা ঘূর্ণায়মান তরঙ্গসমূহের মতাে বলবান ব্যক্তিদিগকেও দলিত করিতেছে। “তুমি-আমি’-রূপে প্রতিভাত দ্বন্দ্ব চলিতেছে। সেই শিবে সংস্থাপিত অতি বিকারশীল অস্থির চিত্তকে আমি বন্দনা করি ।৩)
জনকজনিতভাবাে বৃত্তয়ঃ সংস্কৃতাশ্চ 
অগণনবহুরূপা যত্র চৈকো যথার্থঃ।
শমিতবিকৃতিবাতে যত্র নান্তর্বহিশ্চ 
তমহহ হরমীড়ে চিত্তবৃত্তের্নিরােধম্ ॥৪৷৷
[কার্যকারণভাব এবং নির্মল বৃত্তিসমূহ অসংখ্য, নানারূপ হইলেও যেখানে একবস্তুই সত্য, বিকাররূপ বায়ু শান্ত হইলে যেখানে ভিতর ও বাহির থাকে , আহা! সেই চিত্তবৃত্তির নিরােধস্বরূপ মহাদেবকে আমি বন্দনা করি।৪]
গলিততিমিরমালঃ শুভ্রতেজঃপ্রকাশঃ
ধবলকমলশােভঃ জ্ঞানপুঞ্জাট্টহাসঃ।।
যমিজনহৃদিগমো নিষ্কলাে ধ্যায়মানঃ
প্রণতমবতু মাং সঃ মানসাে রাজহংসঃ ॥৫।
[যাঁহা হইতে অজ্ঞানরূপ অন্ধকারসমূহ নষ্ট হইয়াছে, শুভ্র জ্যোতির মতাে যাঁহার প্রকাশ, যিনি শ্বেতবর্ণ পদ্মের ন্যায় শােভা ধারণ করিয়াছেন, জ্ঞানরাশি যাঁহার অট্টহাস্যস্বরূপ (যাঁহার অট্টহাসিতে জ্ঞানরাশি ছড়াইয়া পড়িতেছে]





No comments

Powered by Blogger.