2020 Dol Utsav at Sri Radha Shyam Sundar Temple khardaha.II একটি অলৌকিক ঘটনা
Dol Utsav at Sri Radha Shyam Sundar Temple
জয়
রাধেশ্যাম --আজ
হোলি খেলবো শ্যাম তোমারি সনে
একলা পেয়েছি শ্যাম নিধুবনে
শুনো ওহে বনমালি ঢাকবো তোমার
চতুরালি কুমকুম মারিবো তোমার
ও রাঙা চরণে।প্রণাম -শ্যামসুন্দর হে
গোবিন্দ রাখো চরণে মোরা তব
চরণে শরণাগত আশ্রয় দাও আশ্রিতজনে,
রাখো
চরণে -
Dol utsav at Shyam sundar, khardaha |
জয়
রাধাশ্যামসুন্দর জিউ কি জয়
জয়
নিতাই ,জয়
বীরভদ্র,
প্রভু
জয় রাধেশ্যাম
জয়জয়
রাসবিহারী শ্রীশ্রীরাধাশ্যামসুন্দর
জিউকি জয়
Dol Utsav at Sri Radha Shyam Sundar |
প্রণাম
তোমায় ঘনশ্যাম তোমার চরণ স্মরণ
করি অভয় এবার দাও গো হরি দুঃখ
সাগর দেবো পাড়ি স্মরি করি
তোমার নাম।
Dol Utsav at Sri Radha Shyam Sundar |
জয়
রাধেশ্যাম জয় রাধাকান্ত জয়
রাধেকৃষ্ণ জয় রাধারমণ জয়
রাধাগোবিন্দ জয় রাধামাধব জয়
হরেকৃষ্ণ। হরেকৃষ্ণ হরেকৃষ্ণ
কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরেরাম
হরেরাম রাম রাম হরে হরে জয়
ঠাকুর
Dol Utsav at Sri Radha Shyam Sundar |
শ্যামের
আবদারঃ
৺৺৺৺৺৺৺৺৺৺৺
শ্রী
রামকৃষ্ণদেব বলেছেন,
“খড়দহের
শ্যাম সুন্দর ভক্তের কাছে
চেয়ে খায়,
হেঁটে
চলে বেড়ায়” এই প্রসঙ্গে একটি
ঘটনার উল্লেখ করছি। এক ভক্ত
শ্যামসুন্দরকে খুবই ভালবাসেন।
তিনি বরাহনগরে থাকতেন,
ছুটিরদিন
হলেই মন্দিরে ছুটে আসেন,
ভোর
বেলায় মঙ্গল আরতির ঠিক আগেই।
মন্দিরের দক্ষিন দিকের ছোট
জানলার কাছে যে গোবরাট আছে,
সেখানে
বরাহনগর থেকে কিনে আনা সন্দেশ
রাখতেন। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে
প্রভুকে খাওয়াতেন। আর হাসতে
হাসতে কাঁদতেন। তাঁর চোখে
মুখে তৃপ্তির ছাপ। এই ভাবেই
চলছিল। একদিন সেই ভক্তকে
পরীক্ষা দিতে হল। সেদিন ছিল
রবিবার। ভোরবেলায় ভক্ত মন্দিরে
আসবেন। তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে
উঠতে হবে। “এঁচোড়
খাওয়াবি রে”
এই মধুর আবদারে ভক্ত বিছানায়
উঠে বসেছেন। চারিদিকে দেখলেন,
খুঁজলেন,
না
কেউতো কোথাও নেই। তাহলে...।
আবার ধবনিত হল,
“এঁচোড়
খাওয়াবি রে” ।
ভক্ত বুঝলেন এ কার আবদার। পরে
সেই ভক্ত চিন্তা করলেন,
“এতো
অসময়,
এখন
এঁচোড় পাবো কোথায়!”
কিন্তু
প্রভু যখন খেতে চেয়েছেন তখন
নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে। বেড়িয়ে
পড়লেন। এ বাজার থেকে সে বাজার।
তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোথাও
এঁচোড় পেলেন না। গেলেন শ্যামবাজারে
সেখানেও এঁচোড় পেলেন না। হঠাৎ
তার মনে হল,
গ্যালিফ
স্ট্রিটে অনেকে থোড় মোচা শাক
ডুমুর ইত্যাদি বিক্রি করতে
আসে,
ওই
বাজারে একবার দেখলে হয় কিন্তু
সেখানেও পেলেন না। পাবেন কি
করে এই অসময় এঁচোড় ফলে না। মনে
খুবই কষ্ট নিয়ে গাড়ির দিকে
এগোচ্ছেন হঠাৎ সামনেই একটি
ছেলে এসে বলে উঠলো-
“এঁচোড়
নিবি গো?”
ভক্তের
চোখে আনন্দাশ্রু। ছেলেটির
পরণে একটি ছেঁড়া ইজের,
আদুর
গা। ঠাণ্ডা লাগার জন্য তার
নাক দিয়ে জল ঝরছে। তাঁরই দুহাতে
দুটি এঁচোড় ভক্তের অমূল্য
রতন। ছেলেটির হাত থেকে এঁচোড়
দুটি ভক্ত নিলেন। তার পর পকেট
থেকে রুমাল বের করে তাতে এঁচোড়
দুটি ভালভাবে বেঁধে নিলেন
এবং দর না জেনেই পকেট থেকে
একটা 100
টাকার
নোট বার করে সেই ছেলেটির হাতে
দিতে গেল .........
“কোথায়
গেল সেই বালক!”
চার
দিকে উদভ্রান্তের মতো খুঁজলেন
কিন্তু কোথাও সেই মায়াবী
বালককে দেখতে পেলেন না। অঝোরে
কাঁদতে কাঁদতে শ্রীমন্দিরে
এলেন। কাঁদতে কাঁদতে ভক্তি
ভরে এঁচোড় দুটি রেখে বলে উঠলেন,
“প্রভু,
তোমার
জিনিস তুমিই যখন জোগাড় করবে,
তখন
ভক্তকে দৌড় করালে কেন?
No comments