স্বামীজী রচিত ঠাকুরের প্রণাম মন্ত্র
শুভ শনিবার | মা জননীর আবির্ভাবের বার |
আসুন আমরা আজকের প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করে নিজেকে সমৃদ্ধ করি |
নীচে 5টি ছোট প্রশ্ন দেওয়া হলো |
1)স্বামীজী রচিত ঠাকুরের প্রণাম মন্ত্র লিখুন | তিনি এটি কোথায় বসে রচনা করেন?
১) ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের প্রণাম মন্ত্র -
"ওঁ স্থাপকায় চ ধর্মস্য সর্বধর্মস্বরুপিণে।
অবতারবরিষ্ঠায় রামকৃষ্ণায় তে নমঃ।।"
২) ভাগবত -ভক্ত-ভগবান তিনে এক -
সম্ভবত রাধাকান্ত মন্দিরে ভাগবৎ পাঠের সময় একটি আলোর জ্যোতি মন্দির থেকে এসে ভাগবৎ এ পরে ভক্তদের দিকে চলে যায় -
এই অপূর্ব দর্শনের থেকে ঠাকুর বুঝতে পারেন একে তিন, তিনে এক |
স্বামীজী রচিত ঠাকুরের প্রণাম মন্ত্র তিনি এটি কোথায় বসে রচনা করেন |
প্রশ্ন:--
3) কথামৃতের দিনলিপিতে দেখতে পাই ঠাকুর বিদ্যাসাগরের বাদুড় বাগানের বাড়িতে সাক্ষাৎ করতে গেছেন |
অনেক কথার মধ্যে ঠাকুরের একটি কথা শুনে বিদ্যাসাগর মহাশয় বলেন -বা,
এটি তো বেশ কথা |
আজ একটি নতুন কথা শিখলাম |
ঠাকুরের কোন কথা শুনে বিদ্যাসাগর মহাশয় এই কথা বলেন?
স্বামীজী রচিত ঠাকুরের প্রণাম মন্ত্র তিনি এটি কোথায় বসে রচনা করেন |
" ব্রহ্ম যে কি, মুখে বলা জায় না। সব জিনিস উচ্ছিষ্ট হয়ে গেছে। বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, ষড় দর্শন — সব এঁটো হয়ে গেছে! মুখে পড়া হয়েছে, মুখে উচ্চারণ হয়েছে — তাই এঁটো হয়েছে। কিন্তু একটি জিনিস কেবল উচ্ছিষ্ট হয় নাই, সে জিনিসটি ব্রহ্ম। ব্রহ্ম যে কি, আজ পর্যন্ত কেহ মুখে বলতে পারে নাই।”
প্রশ্ন:--
4)স্বামী ব্রম্ভানন্দ মহারাজের জন্মস্থানের ওপর যে মন্দির গড়ে উঠেছে সে টি কোথায় অবস্থিত?
৪) শিকড়া কুলীন গ্রাম, ব্রহ্মানন্দ মহারাজের জন্মস্থান।
তিনিই বেলুড় মঠের প্রথম সভাপতি।
শিকড়া কুলীন গ্রামে তাঁর নামে আশ্রমের নাম হয়েছে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন।
প্রশ্ন:--
5)'তাথৈয়া তাথৈয়া নাচে ভোলা '--স্বামীজী রচিত ও সুরারোপিত এই গানটি তিনি তাঁর গুরুভাইদের সঙ্গে প্রথম কোথায় কবে গান?
৫) তাথৈয়া তাথৈয়া নাচে ভোলা '--স্বামীজী রচিত ও সুরারোপিত এই গানটি তিনি তাঁর গুরুভাইদের সঙ্গে প্রথম করেন ২১শে ফেব্রুয়ারি, ১৮৮৭, সোমবার ৺শিবরাত্রি বরাহনগর মঠে |
ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ নিত্যধামে বেশিদিন যান নাই এবং বরাহনগর মঠ সবে পাঁচ মাস স্থাপিত হয়েছে |
মঠের ভাইদের ৺শিবরাত্রি ব্রত পালনের সময় সঙ্গে শ্রীযুক্ত উপস্থিত, মাস্টার বেলা নয়টার সময় মঠে আসিয়াছেন।
দানাদের ঘরে প্রবেশ করিলে পর তাঁহাকে দেখিয়া শ্রীযুক্ত তারক (শিবানন্দ মহারাজ) আনন্দে শিবের গান ধরিলেন -
‘তাথৈয়া তাথৈয়া নাচে ভোলা, বববম্, বাজে গাল।
ডিমি ডিমি ডিমি ডমরু বাজে দুলিছে কপাল মাল।
গরজে গঙ্গা জটা মাঝে, উগরে অনল-ত্রিশূল রাজে।
ধক্ ধক্ ধক্ মৌলি বন্ধ, জ্বলে শশাঙ্ক ভাল ।
তাঁহার গানের সহিত রাখাল মহারাজও যোগ দিলেন।
আর গান গাহিয়া দুইজনেই নৃত্য করিতেছেন।
এই গান স্বামীজী সবে বাঁধিয়াছেন।
জয় ঠাকুর
No comments