স্মৃতির আলোয় স্বামী প্রমেয়ানন্দ মহারাজ
স্মৃতির আলোয় স্বামী প্রমেয়ানন্দ মহারাজ
“তিনিই গুরু যিনি মানুষের সর্বপ্রকার বন্ধন ছিন্ন করে চিরকালের মতো তাকে মুক্তি দিতে পারেন। আমাদের সংঘে ঠাকুরই গুরু, আমরা দীক্ষাগুরু।”—
কথাগুলি কিছুকাল আগে প্রয়াত রামকৃষ্ণ সংঘের সহাধ্যক্ষ স্বামী প্রমেয়ানন্দ মহারাজের, যিনি ভক্তসমাজে ‘রামগোপাল মহারাজ’ নামে অধিক পরিচিত।
৭৮ বছর (১৯৩৩—২০১১) জীবনকালের মধ্যে ৬০টি বছরই তিনি রামকৃষ্ণ সংঘের সেবাযজ্ঞে তথা ভারতের সনাতন ও উদার আধ্যাত্মিক ভাবধারাতে উৎসর্গ করেছেন।
প্রেমিক সন্ন্যাসীর সান্নিধ্যলাভে ধন্য ৭০ জন ভক্তের বাংলা ও ইংরেজিতে স্মৃতিচারণ, দেশবিদেশ থেকে রামকৃষ্ণ মঠ-মিশন ও শ্রীসারদা মঠের মোট ৮০ জন প্রাচীন ও নবীন সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীর নানা অনুভূতির স্মৃতিচারিত গ্রন্থ (দুটি খণ্ডে, বাংলা ও ইংরেজি) স্মৃতির মণিকোঠায় স্বামী প্রমেয়ানন্দ।
পূজ্যপাদ মহারাজ সম্পর্কে যাঁরা স্মৃতিচারণ করেছেন, তাঁদের মধ্যে যেমন আছেন স্বামী প্রভানন্দ, স্বামী সুহিতানন্দ, স্বামী সুবীরানন্দ, স্বামী দিব্যানন্দ, স্বামী চেতনানন্দ, স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ, স্বামী ঈশাত্মানন্দ, প্রব্রাজিকা বেদরূপপ্রাণা প্রমুখ; তেমনি আছেন প্রয়াত ফুটবলার সুভাষ ভৌমিক, সাংবাদিক গৌতম ভট্টাচার্য প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বড় আশ্চর্যের ব্যাপার, পূজ্যপাদ মহারাজের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে সকলে আলোচনা করলেও একটি বিষয়ে তাঁরা একসুরে কথা বলেছেন—সত্যিই ‘এমন দরদী না হলে প্রাণ বাঁচে না’।
No comments