‘দক্ষিণেশ্বরে ব্রাহ্মণ ও পরিচারকগণের ভক্তি’ - Spirituality Religion

Header Ads

‘দক্ষিণেশ্বরে ব্রাহ্মণ ও পরিচারকগণের ভক্তি’

‘দক্ষিণেশ্বরে ব্রাহ্মণ ও পরিচারকগণের ভক্তি’
==============================
      শ্রীশ্রীঠাকুরের দর্শনার্থে মুখুজ্জে ভ্রাতৃদ্বয় কলিকাতা ফিরিবার জন্য প্রস্তুত হইতেছেন।  রাত্রি প্রায় নয়টা হইল।  ঠাকুর নিজের ঘর হইতে একটু উঠিয়া ঘরে ও বারান্দায় পাদচারণ করিতে করিতে বিষ্ণুমন্দিরে উচ্চ সংকীর্তন হইতেছে শুনিতে পাইলেন।  তিনি জিজ্ঞাসা করাতে একজন ভক্ত বলিলেন, তাহাদের সঙ্গে লাটু ও হরিশ জুটিয়াছে।   ঠাকুর বলিলেন, ও তাই !  ঠাকুর বিষ্ণুঘরে আসিলেন।  সঙ্গে সঙ্গে ভক্তেরাও আসিলেন।  তিনি শ্রীশ্রীরাধাকান্তকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন।
      ঠাকুর দেখিলেন যে, ঠাকুরবাড়ির ব্রাহ্মণেরা—যারা ভোগ রাঁধে, নৈবেদ্য করে দেয়, অতিথিদের পরিবেশন করে এবং পরিচারকেরা, অনেকে একত্র মিলিত হইয়া নাম সংকীর্তন করিতেছে।  ঠাকুর একটু দাঁড়াইয়া তাহাদের উৎসাহ বর্ধন করিলেন।  উঠানের মধ্য দিয়া ফিরিয়া আসিবার সময় ভক্তদের বলিতেছেন—“দেখো, এরা সব কেউ বেশ্যার বাড়ি যায়, কেউ বাসন মাজে !” ঘরে আসিয়া ঠাকুর নিজ আসনে আবার বসিয়াছেন।  যাঁহারা সংকীর্তন করিতেছিলেন, তাঁহারা আসিয়া ঠাকুরকে প্রণাম করিলেন।  ঠাকুর তাঁহাদিগকে বলিতেছেন—“টাকার জন্য যেমন ঘাম বার কর, তেমনি হরিনাম করে নেচে  গেয়ে ঘাম বার করতে হয়।  “আমি মনে করলাম, তোমাদের সঙ্গে নাচব।  গিয়ে দেখি যে ফোড়ন-টোড়ন সব পড়েছে—মেথি পর্যন্ত।  আমি আর কি দিয়ে সম্বরা করব।  “তোমরা মাঝে মাঝে হরিনাম করতে অমন এসো।” মুখুজ্জে প্রভৃতি ঠাকুরকে প্রণাম করিয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন।

                   —হরিঃ ওঁ তৎ সৎ—

No comments

Powered by Blogger.