প্রশ্ন : ‘মা’-ই এইসব হয়েছেন, এই জগৎ সত্য—একথার মানে কী?
|
Sri
Ramakrishna
|
Sri
Ramakrishna
|
Sri
Ramakrishna
|
Sri
Ramakrishna
|
প্রশ্ন
:
‘মা’-ই
এইসব হয়েছেন,
এই
জগৎ সত্য—একথার মানে কী?
মহারাজ
:
‘হয়েছেন’
মানে,
কোন্
মতে হয়েছেন?
পরিণামী
মতে,
না
অপরিণামী মতে?
পরিণামী
মতে,
তিনি
ইচ্ছে করলে নিজেকে বহুরূপে
প্রকাশ করতে পারেন। তিনি বিভু
হতে পারেন। আর অদ্বৈতবাদী
মতে,
বহু
যা দেখছি তা তার ওপর অধ্যস্ত।
সুতরাং তাঁকেই দেখছি,
কিন্তু
“তিনি’ রূপে দেখছি না। অন্য
রূপে দেখছি,
বহু
রূপে দেখছি। তার ওপর বহুত্ব
আরােপিত। এই দুরকম ভাষা আছে।
প্রশ্ন
:–ঠাকুর
বলছেন বাজিকরই সত্য,
বাজি
মিথ্যা। আরাে বলেছেন,
সমুদ্রকে
দূর থেকে দেখ নীল,
কাছে
গিয়ে দেখ রং নেই। আরােপিত
যা বললেন,
তাই
কি এখানে ঠাকুর বলেছেন উদাহরণ
দিয়ে?
মহারাজ
:
সমুদ্রের
দৃষ্টান্তে দেখি,
কতকগুলি
condition-এর
দ্বারা বস্তুর প্রকাশ ভিন্নরকম
হয়। আলােকের বিকিরণ যাকে
‘রামণ এফেক্ট’ বলে—তার জন্য
সমুদ্রের রঙের পরিবর্তন হয়।
সেটা আরােপিত বলা চলবে না।
সমুদ্র যে বিকৃত হয়ে যাচ্ছে
তা নয়। তার condition-কে অপেক্ষা
করে সমুদ্রের প্রকাশ হয়।
ব্ৰষ্মকে জগৎ রূপে যখন দেখছি,
তখন
ব্যক্তি যে-condition-এ
আছে তার দ্বারা তার কাছে জগতের
প্রকাশ,
অবভাস
বা অপভাস হয়। আরেক মতে,
ওসব
কিছু নেই। জগৎ নেই,
এক
তিনি আছেন আর তার ওপরে আরােপ
করছেন। কে আরােপ করছেন?
তিনি
তার থেকে ভিন্ন না অভিন্ন ?
তার
থেকে যদি ভিন্ন হন তবে তিনি
তার ওপরে আরােপ করবেন কী করে?
অভিন্ন
যদি হন তবে আরােপ আর কী করে
হবে? বাজিকরই
সত্য। রামানুজের মতে,
তিনিই
সব হয়েছেন। ঠাকুরের মতে,
বিজ্ঞানী
দেখে—তিনিই সব হয়েছেন। আর
অদ্বৈতবাদী দেখে তাতে জগৎ-দৃষ্টি
করে। জগৎ-দৃষ্টি
কোথায় হচ্ছে না তাতে। যেমন
সর্প-দৃষ্টি
কোথায় হচ্ছে?
না—রজ্জতে।
মরীচিকার দৃষ্টি হচ্ছে
কোথায়?
মরুতে।
সেইরকম।
প্রশ্ন
:–ঠাকুর
দুরকমই মেনেছেন। আমাদের কাছে
দুটো বিরােধী কী করে সত্য হয়?
মহারাজ
:
বিরােধী
নয়। দ্রষ্টার অপেক্ষায়
বিরােধী—আপাতদৃষ্টিতে।
No comments