প্রশ্ন:—শঙ্করের মতে, নিষ্কাম কর্মের দ্বারা জ্ঞান-নিষ্ঠা লাভ হবে।
|
Sri
Ramakrishna
|
Sri
Ramakrishna
|
প্রশ্ন:-শঙ্করের মতে নিষ্কাম কর্মের দ্বারা জ্ঞান নিষ্ঠা লাভ হবে। মহারাজ জ্ঞান নিষ্ঠা যদি লাভ হয়—তখন জ্ঞানেতে স্থিতি হয়। তারপরে জ্ঞানের অন্তরঙ্গ সাধন।
মহারাজ: অন্তরঙ্গ সাধন হল ব্রহ্লাক বিচারমাগীরা সেই সব বৃত্তি মানে। না সেটাকে বলছে নিদিধ্যাসন।
মহারাজ: নিদিধ্যাসন মানে ধ্যান। ধ্যান মানে তােমার সমস্ত ইন্দ্রিয়বৃত্তিকে নিরুদ্ধ করে ধ্যান। সেই অবস্থায় শ্রবণ মননের অবকাশ নেই ?
মহারাজ: শ্রবণ মননের পরে নিদিধ্যাসন। শ্রবণ মনন করে নিদিধ্যাসন। না যদি মনে করুন—জ্ঞান নিষ্ঠা আসা পর্যন্ত কর্ম করে গেল। নিষ্কাম কর্মের সঙ্গে সাধারণভাবে যেমন মনে হয় জ্ঞানের যে অন্তরঙ্গ সাধন–শ্রবণ মনন নিদিধ্যাসন
প্রশ্ন:-—তা কি করতে হবে ?
মহারাজ: নিষ্ঠা মানে ‘নিতরাং স্থিতি। নিষ্ঠা মানে দৃঢ়তা নয়। নিষ্ঠা মানে তাতে স্থিতি। জ্ঞানের স্থিতি যখন হয় তখন প্রজ্ঞা প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রজ্ঞাপ্রতিষ্ঠা যখন হচ্ছে তখন ধ্যানের অবস্থা। তখন তার কর্মের সাথে বিরােধ আছে। আর তার আগে পর্যন্ত বিরােধ নেই। এই আমার বক্তব্য। কাজেই স্বামীজীর কাছে কর্ম আর ধ্যান—এ দুটো বিরুদ্ধ বস্তু নয়। তবে কর্ম যদি ঠিকমত করতে থাকি তাহলে সে কর্ম তার সাধনপথে অগ্রসর হওয়ার বাধা নয়। কর্মের সাথে যদি সে বিচার রাখে—লক্ষ্য সম্বন্ধে অবহিত থাকে তাহলে আর কোন অসুবিধা থাকে না। কথা। যখন চিত্ত শুদ্ধ হয়ে গেল তখন আবরণটা চলে গেল। তখন নাশ করার কিছু রইল না। বাধা সৃষ্টির কিছু রইল না। আর জ্ঞান ও কর্মের সমুচ্চয় সম্বন্ধে আচার্য শঙ্কর যে বারবার বলেছেন ।
প্রশ্ন:-—সেটি সম্ভব নয়।
প্রশ্ন:-—সেটি সম্ভব নয়।
মহারাজ:- সেখানে কর্ম মানে তাে সকাম।
No comments