পন্ডিত চাণক্য বলিয়াছিলেন – - Spirituality Religion

Header Ads

পন্ডিত চাণক্য বলিয়াছিলেন –

Sri Ramakrishna


Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

পন্ডিত চাণক্য বলিয়াছিলেন –
অনিত্যানি শরীরানি বিভব নৈব শাশ্বতঃ।
নিত্যং সন্নিহিত মৃত্য কৰ্ত্তব্যো ধৰ্ম্মসঞ্চয়।।”
অর্থাৎ অনিত্য শরীর অনিত্য জগতে কিছুই শাশ্বত নহে। প্রতি মুহুর্তে একটি মৃত্যু ঘটিয়া যাইতেছে এবং দিগকে মৃত্যু সন্নিহিত হইবার বার্তা দিতেছে, এই অবস্থায় মানুষের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য হইল ধর্ম ননের মাধ্যমে ধর্মসঞ্চয় করিয়া যাওয়া। সমাজে বিশ্বাস ও ভালােবাসা সৃষ্টিকারী প্রত্যেক বিষয়ই ধর্ম। সেই মনসারে সমাজে যে কর্ম বিন্যাস ও ভালােবাসার সূচনা বা প্রসারণ ঘটায় এই কর্মকেই কর্মযজ্ঞ বলা হয়। পন্ডিত বক এইরূপ কমই করিতে বলিয়াছেন যাহা ধর্মের অংশ। এইরূপ কর্মের ভিত্তি হইল সর্বক্ষণের একটি তনভতি, ‘এই ভব সংসারে যাহা আমরা পাইয়াছি, তাহা অর্জন করি নাই, ঈশ্বরের কৃপায় পাইয়াছি। ঈশ্বরের সই অপার করুণাকে অনুভবে এবং উপলব্ধিতে রাখিতে পারিলেই মানুষের মধ্যে জাগিয়া থাকিবে ধর্ম, মানুষের। কম হইবে ধর্ম। ধর্ম আনিবে মুক্তি। ইহা সনাতন। প্রথমে ঈশ্বরকে সঠিক ভাবে অনুভব করিতে হইবে, তাহাকে একবার চিনিলে আর কোনােও ভেদাভেদ থাকিবে না। তখন ধর্ম আপনা আপনি হইবে। আপনা আপনি করিবে। কিন্তু আসল প্রভুকে অনুভব করিবার পর্বেই কোন পথে তাঁহাকে খুজিব তাহাতেই যত গােল বাধিতেছে। যদিও শ্রীরামকৃষ্ণ অতি সহজ করিয়া বলিয়াছেন, ছাদের উপরে উঠতে হলে মই, বাঁশ, সিঁড়ি ইত্যাদি নানা উপায়ে যেমন উঠিতে পারা যায়, তেমনি। এক ঈশ্বরের কাছে যাইবার অনেক উপায় রহিয়াছে। কিন্তু কামিনী কাঞ্চনের টানে শিক্ষিত অথবা অশিক্ষিত মানুষ, রজঃ ও তমঃ গুণের প্রভাবে বিভেদের লড়াইকে জাগাইয়া অর্ধশিক্ষিত মানুষকে আরও অসহিষ্ণু করিয়া তুলিতেছে, মানুষ প্রকৃত goal (লক্ষ্য) হইতে অনেক দূরে সরিয়া যারপরনাই কষ্ট ডাকিয়া মরিতেছে এবং মারিতেছে। এই ঘােরতর সঙ্কট হইতে মুক্তির প্রাথমিক লক্ষ্যেই আমাদিগকে ধর্মীয় কর্ম করিবার অভ্যাস করিতে হইবে। পৃথিবীতে এত শান্তি, এত আনন্দ আর কিছুতেই উপলব্ধ হইবে না। যাহা ঈশ্বরকে অনুভবে রাখিয়া প্রতিটি ধর্মীয় । কর্ম হইতে আমরা পাইয়া থাকি। শৈশব হইতে গুরুজন বা শিক্ষক যদি অল্প করিয়া ধর্মীয় কর্মের অভ্যাস গড়িয়া। দিতে থাকেন তবে একটি শিশু বয়ঃপ্রাপ্তির সাথে সাথে ধার্মিক তাে হইবেই পাশাপাশি হইবে ধীর, স্থির, মেধাবী। এবং বীর। কারণ ধর্মীয় কর্মের পার্শ্বপ্রাপ্তি মানুষকে করিয়া তুলে বিশ্বাসী। আত্মবিশ্বাসী। ধর্মীয় কর্ম হইতেই গড়িয়া উঠে আত্মবিশ্বাস। তাই যদি শিশুকাল থাকিতে আমার ধর্মীয় কর্ম করিবার অভ্যাস না হইয়া থাকে, তবে আজ হইতেই তাহার অভ্যাস আরম্ভ হওয়া উচিত। কারণ ইহাতেই ঈশ্বর তৃপ্তি পান আর একমাত্র তিনি তৃপ্ত হইলেই আমাদিগের সকল অতৃপ্তি দূর হইতে পারিবে। এমন যে জল, যাহা স্বভাবত নিম্নগামী, তাহাও সূর্যকিরণে। আকাশপানে উঠে। তেমনই, সঠিক শিক্ষার অভাবে বিপথগামী, নিম্নগামী মানুষের মনও ঈশ্বরের কৃপায় ঊর্ধ্বগামী হইবে, সমাজ সহিষ্ণুতা পাইবে। অসহিষ্ণুতার আঁচ রহিবে কেবল অধর্মের বিরুদ্ধেই।


No comments

Powered by Blogger.