জপধ্যান ও দীক্ষার প্রসঙ্গে শিষ্যের শুভ সংস্কার না থাকিলে গুরুর শত চেষ্টা সত্ত্বেও তাহার অন্তর্নিহিত শক্তি জাগরিত ও কার্যক্ষম হয় না। সেই শুভ সংস্কারের সহিত প্রয়ােজন হয় শিষ্যের স্বতঃপ্রবৃত্ত সহযােগিতা।
সেবক জিজ্ঞাসা করিতেন--আপনি কি ঘুমান নাই?শ্ৰীমা বলিতেন কি করি বাবাছেলেরা সব ব্যাকুল হয়ে এসে ধরেআগ্রহ করে দীক্ষা নিয়ে যায়কিন্তু কইকেউ নিয়মিত নিয়মিত কেনকেউ বা কিছুই করে না। তা যখন ভার নিয়েছিতখন তাদের আমাকে দেখতে হবে তাে? তাই জপ করিআর ঠাকুরের কাছে তাদের জন্য প্রার্থনা করিহে ঠাকুর ওদের চৈতন্য দাও, মুক্তি দাওওদের ইহকাল পরকাল সব তুমি দেখাে। এ সংসারে বড় দুঃখ কষ্ট। আর যেন তাদের না আসতে হয়
মন্ত্র শক্তি ও পাপ গ্রহণ সম্বন্ধে শ্রীমা রাসবিহারী মহারাজকে বলিয়াছিলেন মন্ত্রের মধ্যে দিয়ে শক্তি যায়। গুরুর শক্তি শিয্যে যায়শিষ্যের গুরুতে আসে। তাই তাে মন্ত্র দিলে পাপ নিতে হয়। সেই পাপ নিয়ে শরীরের এত ব্যাধি হয়। গুরু হওয়া বড় কঠিন শিষ্যের পাপ নিতে হয়। শিষ্য পাপ করলে গুরুরও লাগে। ভাল শিষ্য হলে গুরুরও উপকার হয়।
মা বলিলেন েগেনকি বলবএক একজন প্রণাম করেগা যেন ঠাণ্ডা হয়আবার এক একজন প্রণাম করেযেন গায়ে আগুন ঢেলে দেয় গঙ্গা জলে পা না ধুলে বাঁচি
মা বলিলেন – দয়ায় মন্ত্র দিই। ছাড়ে নাকাঁদেদেখে দয়া হয়। কৃপায় মন্ত্র দিই। নতুবা আমার কি লাভ?মন্ত্র দিলে তার পাপ গ্রহণ করতে হয়। ভাবি শরীরটা তাে যাবেইতবু এদের হােক।
খেয়ে দেয়ে দেহটা ঠাণ্ডা করে নিয়ে ভগবানকে ডাকো।
জপ ধ্যান সব যথাসময় আলস্য ত্যাগ করে করতে হয়। এর দ্বারা ইন্দ্রিয় টিন্দ্রিয়গুলাের প্রভাব কেটে যায়। মন্ত্রের দ্বারা দেহ শুদ্ধি হয়।
মন্ত্র তন্ত্র কিছু নয়মাভক্তিই সব। জপতপের দ্বারা কর্মপাশ কেটে যায়কিন্তু প্রেমভক্তি ছাড়া ভগবানকে পাওয়া যায় না।
অনেক ভক্তই শ্রীমায়ের কাছে দুঃখ করিয়া বলিতেন যেতঁহার ন্যায় গুরু লাভ করিয়াও দুর্ভাগ্য বশতঃ তাহাদের জীবনে কিছুই হইতেছে না। শ্রীমা বলিতেন -আমার যা করে দেবারআমি সেই সময়(দীক্ষাকালে)করে দিয়েছি। তবে যদি শান্তি চাওসাধন ভজন কর,নতুবা দেহান্তর হবে। যেমন তুমি যদি একটা খাটে ঘুমিয়ে থাকআর কেউ সেই খাটখানা সমেত তােমাকে অন্যত্র নিয়ে যায়। তাহলে তুমি ঘুম ভাঙতেই কি বুঝতে পারবে। যেস্থানান্তর হয়েছে?নাযখন বেশ পরিস্কার ঘুমের ঘাের কেটে যাবেতখন দেখবে যেঅন্যত্র এসেছাে ?
No comments