প্রশ্ন : —মহারাজ, ঠাকুর বৈকুণ্ঠনাথ সান্যালকে জিজ্ঞেস করছেন, পঞ্চদশী-টশী পড়েছ? বৈকুণ্ঠনাথ সান্যাল বলছেন—সে আবার কী মশায়? ঠাকুর বলছেন, বেঁচে গেছ। ঠাকুর এরকম কেন বললেন? - Spirituality Religion

Header Ads

প্রশ্ন : —মহারাজ, ঠাকুর বৈকুণ্ঠনাথ সান্যালকে জিজ্ঞেস করছেন, পঞ্চদশী-টশী পড়েছ? বৈকুণ্ঠনাথ সান্যাল বলছেন—সে আবার কী মশায়? ঠাকুর বলছেন, বেঁচে গেছ। ঠাকুর এরকম কেন বললেন?

Sri Ramakrishna


Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna


প্রশ্ন :মহারাজ, ঠাকুর বৈকুণ্ঠনাথ সান্যালকে জিজ্ঞেস করছেন, পঞ্চদশী-টশী পড়েছ? বৈকুণ্ঠনাথ সান্যাল বলছেন—সে আবার কী মশায়? ঠাকুর বলছেন, বেঁচে গেছ। ঠাকুর এরকম কেন বললেন

মহারাজ : এধরনের বই পড়ে শুধু বড় বড় প্রশ্ন করে কী লাভ? যা আমরা বুঝতে পারব না, ধরতে পারব না, করতে পারব না তা নিয়ে শুধু প্রশ্ন করে কী হবে? এ তাে শুধু কথার কথা। বইয়ে পড়েছি বা শুনেছি, বুঝতে পারছি কি

প্রশ্ন :-তবু মহারাজ, সিদ্ধান্ত আগে থেকে পড়া থাকলে বা শােনা থাকলে ভাল। তারপর সেটা উপলব্ধি করার চেষ্টা করা যাবে। 
মহারাজ : শুধু সিদ্ধান্ত জেনে কী হবে? এক লাফে কি সিদ্ধান্তে পৌঁছানাে যায়? আমরা হাজারবার যদি বলি, “আমি ব্রহ্ম, আমি ব্রহ্ম’—আমি কি ব্রহ্ম হচ্ছি ? হাজার বার বললেও ‘আমি ব্রহ্ম’ উপলদ্ধি হচ্ছে না, হবেও না। এক লাফে কি ছাদে ওঠা যায়? ছাদে উঠতে গেলে সিঁড়িতে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। বিশ্বাস করতে হবে যে, এই সিঁড়ির একটার পর একটা অতিক্রম করে আমাকে ছাদে পোঁছাতে হবে। সিঁড়িকে না মেনে শুধু ছাদে উঠব—এ ভাবলে কি ছাদে ওঠা হবে ? সিঁড়ি মানে সাধন। সাধনের কথা ঠাকুর বারবার বলছেন। নাহং নাহং উঁহু উঁহু’–এই করে করে এগতে হবে। এরকম না করে কেউই বলতে পারবে না, উপলদ্ধি করতে পারবে না ‘সােহহং'। ‘নাহং’ ‘নাহং’ থেকে ‘সােহহং’। একজন সােহহং বলছে। ঠাকুর বলছেন, ওকি কথা এখন ? বল—“নাহং নাহং'। এই ‘নাহং’ থেকেই ‘সােহহং’ উপলব্ধি হবে। নতুবা ‘স’-ও বুঝব না, ‘অহং’-ও বুঝব না। অতএব, স এবং অহং-এর অভেদত্বও বুঝব না। হেলে ধরতে পারে না, কেউটে ধরবে! সর্বদা বিচার করতে হবে। বিচার করতে করতে তত্ত্বের ধারণা হবে। তাই বলছে—
“আসুপ্তে আমৃতে কালং নয়েৎ বেদান্তচিন্তয়া।”
—যতক্ষণ ঘুমিয়ে পড়ছি, যতক্ষণ এই দেহ থাকছে, ততক্ষণ সর্বদাই মনকে বেদান্তচিন্তা দ্বারা পূর্ণ করে রাখতে হবে। কেন? যাতে মনে কামাদি অনুপ্রবেশের সুযােগ না পায়। এইজন্য উপনিষদ পড়।

প্রশ্ন :-মহারাজ, এই যে সদাসর্বদা বিচার করতে ঠাকুর বলছেন; আবার বলছেন হাজার বিচার কর, ‘আমি’ যায় না। তবে উপায় কী
মহারাজ : হাজার বিচার কর—এখানে ‘বিচার’ মানে শুধু আলােচনা, পড়া। তাতে হবে না। জীবনে বিচারের সিদ্ধান্ত প্রয়ােগ করতে হবে। খুব ঘষতে হবে। এখন শুনছি, কিন্তু এক্ষুনি সংস্কার তৈরি হচ্ছে না। ঘষতে ঘষতে সংস্কার তৈরি হয়। খুব কঠিন। শুধু পাণ্ডিত্যপূর্ণ বিচার বা আলােচনায় হবে না। সেজন্য আমার এই শ্লোকটা খুব ভাল লাগে। খুব দরকারি। এগুলিই আমাদের সাধন। এগুলি করলে এবং সঙ্গে বিচার করলে হবে। 


No comments

Powered by Blogger.