প্রশ্ন : মহারাজ, সাধুজীবনে পড়াশুনার ব্যাপ্তি সম্পর্কে প্রসঙ্গ হচ্ছিল।
|
Sri
Ramakrishna
|
Sri
Ramakrishna
|
Sri
Ramakrishna
|
প্রশ্ন
:
মহারাজ,
সাধুজীবনে
পড়াশুনার ব্যাপ্তি সম্পর্কে
প্রসঙ্গ হচ্ছিল।
মহারাজ :
হ্যা,
একবার
কাশীতে গিয়ে আমার পড়ার ইচ্ছা
হল। তখন আমি মঠে। মহাপুরুষ
মহারাজ মঠে ছিলেন না। শরৎ
মহারাজ ছিলেন। তার কাছে মনের
ইচ্ছে জানালাম। মহারাজ বললেন,
তুমি
মঠে আছ,
মহাপুরুষ
মহারাজকে জানাও। লিখলাম
মহাপুরুষ
মহারাজকে। উত্তরে লিখলেন—কতকগুলাে
ব্যাকরণ চচ্চড়ি করা তাে
আমাদের উদ্দেশ্য নয়। যদি
বেদান্ত পড়তে চাও তাে মঠে
পণ্ডিতের কাছে পড়তে পার।
ব্যস্,
আর
কাশী গিয়ে পড়া হল না। পণ্ডিতি
হল না,
বাঁচিয়ে
দিয়েছিলেন। নয়ত পাণ্ডিত্যই
হতাে,
আর
কিছু হতাে না। আসল কথা কী—পণ্ডিত
হওয়ার জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষার
দরকার। আমাদের অর্থাৎ সাধুদের
তাে উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকবে না।
তাই পণ্ডিত হওয়া যায় না।
যার ভেতর উচ্চাকাঙ্ক্ষা যতটুকু
আছে,
ততটুকু
সাধুত্ব কমে যায়।।
প্রশ্ন
:
মহারাজ,
পড়াশােনা
ও সাধুত্বের সামঞ্জস্য করে
কীভাবে চলা যায় ?
মহারাজ
:
মনে
রাখলেই হবে যে,
পড়াশােনার
উদ্দেশ্য সাধুত্ব গড়া,
পণ্ডিত
হওয়া নয়। পড়াশােনা আমার
সাধুজীবনকে সাহায্য করবে,
সহায়ক
হিসাবে। পণ্ডিতদের ক্ষেত্রে
পাণ্ডিত্যই মুখ্য। তাদের
পড়াশােনার সাথে সাধুত্বের
কোন যােগ নেই। কিন্তু আমাদের
ক্ষেত্রে সাধুত্বই লক্ষ্য।
যা পড়ব,
সেটা
জীবনে অনুশীলন করা ও জীবনে
প্রতিফলন করাই লক্ষ্য। সেটা
কি পণ্ডিতদের উদ্দেশ্য ?
তা
নয়। তাদের পাণ্ডিত্যই লক্ষ্য।
জীবনের সাথে সে-পড়াশােনার
কোন যােগ থাকুক আর নাই থাকুক।
No comments