প্রশ্ন:—কিন্তু ব্রহ্ম, এই যে শব্দটা ব্রহ্ম নয়, তাকে যে প্রকাশ করা যায় না, সেটা কে বলছে?
|
Swami
Shivananda
|
BANERSHAR
SHIVA LINGA
|
Sri
Sarada Devi
|
Swami
Vivekananda
|
Sri
Sarada Devi, Swami Vivekananda, Swami Shivananda
|
প্রশ্ন:—কিন্তু ব্রহ্ম, এই যে শব্দটা ব্রহ্ম নয়, তাকে যে প্রকাশ করা যায় না, সেটা কে বলছে?
মহারাজ : সেটা, যে অজ্ঞান সে বলছে।
প্রশ্ন:—তাহলে অজ্ঞান আছে?
মহারাজ : হ্যাঁ।
প্রশ্ন:—তাহলে অজ্ঞান মানতে হবে।
মহারাজ : অজ্ঞানকে আমার না মেনে উপায় নেই। এটা তাে প্রত্যক্ষ অজ্ঞান।
প্রশ্ন:—তাহলে অজ্ঞান যদি প্রত্যক্ষ হয়, তাহলে অজ্ঞানের কার্যটাও প্রত্যক্ষ।
মহারাজ :
অজ্ঞানের
কার্য দ্বারাই তাে অজ্ঞানকে
আমরা দেখি। অজ্ঞানের কী হাত
আছে,
না
পা আছে?
অজ্ঞানকে
তাে আমরা কার্যের দ্বারাই
দেখি। অজ্ঞানের তাে হাত-পা
নেই।।
অজ্ঞানের যে কার্য রয়েছে,
আমাদের
চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি,
সেটা
অবলম্বন করেই তাে আমরা তাহলে
অজ্ঞানকে বুঝছি।
মহারাজ :
তাতে
কি ব্রহ্মকে ধরতে পারবে? তাছাড়া
উপায় কী আর?
মহারাজ
:
উপায়
নেই—ব্রহ্মকে ধরার উপায় নেই।
তুমি যদি ব্রহ্ম হও, তুমি ব্রহ্মকে ধরবে কী করে?
প্রশ্ন:—আর
উপায় যদি না থাকে,
সেটি
কে বলছে তাহলে? মহারাজ : যে বলছে সে অজ্ঞান।
প্রশ্ন:—হল না, মহারাজ।
মহারাজ :
হল
না নয়। ব্রহ্মকে ধরবে কে? ব্রহ্ম ছাড়া যদি কেউ না থাকে,
তাহলে ব্রহ্মকে ধরবে কে? ব্রহ্ম নিজেই নিজেকে ধরবে যদি বল,
তাতে
দোষ হয়। আর ব্রহ্মকে ধরার কেউ
নেই। তাহলেও দোষ হবে।
প্রশ্ন:-তাহলে
এরকম ধরনের যে ব্রহ্ম আছে, ব্রহ্ম সম্বন্ধে যা বলা হচ্ছে, এগুলাে
সব মিথ্যে হয়ে যায়। মহারাজ : তা-ই। মিথ্যাই তাে। অজ্ঞানের নিবৃত্তির জন্যই তাে সব বিচার। “তত্র বেদাঃ অবেদাঃ ভবন্তি।” বেদ তখন অবেদ হয়ে যায়।
No comments