প্রাচীন সাধুদের কথা
Sri
Ramakrishna
|
Sri
Ramakrishna
|
Sri
Ramakrishna
|
Sri
Ramakrishna
|
সাধুজীবন
সম্পর্কে শাস্ত্র বলে,
‘ক্ষুরস্য
ধারা নিশিতা দুরত্যয়া'। এটা
সহজ নয়। কিন্তু সম্পূর্ণ
বিশ্বাস,
ভগবানের
কৃপা ও ঠাকুরের প্রতি আত্মসমর্পণ
করে আমাদের জীবনকে চালনা করতে
হবে। উপরােক্ত সাধনাগুলিকে
আমাদের জীবনে অনুসরণ ও অনুশীলন
করতে হবে। তাহলে,
বয়স্ক
সাধুদের এই সকল বক্তৃতা আমাদের
ব্যক্তিগত সাধুজীবনকে দৃঢ়ভাবে
গঠন করাবে। আমরা প্রচুর পড়তে
ও বলতে পারি। কিন্তু ব্যবহারের
ক্ষেত্রে আমরা অসুবিধা বােধ
করি। কিন্তু আমাদের ঈশ্বরােপলব্ধির
জন্য লড়াই করতে হবে। সুতরাং
সাধুজীবনের অর্থই হল লড়াই-লড়াই,
লড়াই,
লড়াই।
তাহলেই,
আমরা
ভগবানের কৃপায় লক্ষ্যে
পৌঁছাতে পারবাে।
চরম মুক্তিলাভ সাধুজীবনের একটি লক্ষ্য। মুক্তির জন্যই প্রত্যেকটি জীবাত্মা ক্রন্দন করে – মুক্তি, মুক্তি, মুক্তি। জগৎ যখন তুচ্ছ কামনা ও আবেগের আবরণ দ্বারা রুদ্ধ হয়, ভুল স্থানে ও ভুল পথে অচেতনভাবে মুক্তির জন্য অনুসন্ধান চালায়, তখন একজন সাধু তার গুরু, শাস্ত্র ও তার নিজ আধ্যাত্মিক জ্ঞানের শক্তি সহায়ে এটাকে সঠিক স্থানে ও সঠিক পথে সচেতনভাবে পরিচালিত করে। এই সম্পর্কে আমাদের বয়স্ক সাধুদের মন্তব্যগুলি প্রণিধানযােগ্য।
চরম মুক্তিলাভ সাধুজীবনের একটি লক্ষ্য। মুক্তির জন্যই প্রত্যেকটি জীবাত্মা ক্রন্দন করে – মুক্তি, মুক্তি, মুক্তি। জগৎ যখন তুচ্ছ কামনা ও আবেগের আবরণ দ্বারা রুদ্ধ হয়, ভুল স্থানে ও ভুল পথে অচেতনভাবে মুক্তির জন্য অনুসন্ধান চালায়, তখন একজন সাধু তার গুরু, শাস্ত্র ও তার নিজ আধ্যাত্মিক জ্ঞানের শক্তি সহায়ে এটাকে সঠিক স্থানে ও সঠিক পথে সচেতনভাবে পরিচালিত করে। এই সম্পর্কে আমাদের বয়স্ক সাধুদের মন্তব্যগুলি প্রণিধানযােগ্য।
“স্মরণ
করা যাক যে,
আমরা
শ্রীরামকৃষ্ণ (শ্রীগুরুমহারাজ)-এর
আন্তর্জাতিক পরিবারের সদস্য।
আমাদের কখনও ভুললে চলবে না
যে,
আমরা
তাঁর সন্তান,
এবং
আমরা যতই অযােগ্য হই না কেন
তাঁর অসীম কৃপার দ্বারাই তাঁর
কাজ নির্বাচিত হয়। সুতরাং
ত্যাগ ও সেবার আন্তরিক অনুশীলন,
আমাদের
মধ্যে বিশ্বাস,
আমাদের
বয়ঃজ্যেষ্ঠদের ওপর বিশ্বাস
এবং আমাদের ভাইদের ওপর ভালবাসার
মধ্য দিয়েই মুক্তির সাধারণ
লক্ষের জন্য প্রচেষ্টা চালাতে
হবে।”
“আমার
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলি
ও ভ্রাতৃগণ,
তােমরা
সকলেই শ্রীরামকৃষ্ণের সন্তান।
বাহ্যিক ঐশ্বর্যের চমৎকারিত্বের
মধ্যে এবং কাজের হৈ চৈ-এর
মধ্যে তােমাদের আদর্শকে ভুলে
যেও না;
এই
আদর্শের জন্য তােমরা তােমাদের
বাবা-মাকে
কাঁদিয়ে গৃহ-স্বাচ্ছন্দ্যকে
ত্যাগ করেছাে। তােমাদের জীবনের
বিনিময়ে সেই আদর্শে পৌঁছানাের
জন্য দৃঢ়মনা হও—‘মন্ত্রের
সাধন,
কিংবা
শরীর পাতন। এই তেজকে বজায়
রাখতে ঠাকুর ও স্বামীজীকে
সামনে রেখে অদম্য শক্তি নিয়ে
আমাদের। এগিয়ে যেতে হবে।
ভগবান আমাদের সাহায্য করবেন।”
No comments