গার্হস্থ্য আশ্রম ও শ্রীরামকৃষ্ণ
Sri
Ramakrishna
|
Sri
Ramakrishna
|
Sri
Ramakrishna
|
গার্হস্থ্য আশ্রম ও শ্রীরামকৃষ্ণ
ভারতের
চতুরাশ্রমে গার্হস্থ্য
আশ্রমই মেরুদণ্ডস্বরূপ।
চতুরাশ্রমের বাকি তিনটি আশ্রম
এই আশ্রমের উপর নির্ভরশীল।
শুধু পরিপালনের সূত্রেই
নয়, অন্য
তিনটি আশ্রমের আশ্রমিকদের
জোগানও আসে এই আশ্রম থেকেই।
এই দিক থেকে গার্হস্থ্য আশ্রমের
মুখ্যতা ও মান্যতা। সর্বজনগ্রাহ্য।
এই আশ্রমের অর্থ শুধু গৃহবাস
নয়, এর
পরিধি ব্যাপক। গার্হস্থ্য
হল স্বামী-স্ত্রী, পুত্রকন্যা
ও পরিজন, সেইসঙ্গে
অর্থোপার্জন-ভাবনা, ভােগাকাঙ্ক্ষা, মানশ, দুঃখদরিদ্র
ইত্যাদির এক জটিল সমাহার এবং
সর্বোপরি এক দৃঢ় বন্ধন যা
মায়াপ্রভাবে অনুভূতও হয়
না। “কা তব কান্তা কস্তে
পুত্ৰ, সংসারােহয়মতীববিচিত্রঃ।” এই বৈচিত্র্য ও
তার রহস্য উন্মােচনের জন্যই
ঈশ্বরাবতারকে ধরাধামে আসতে
হয় বারবার।
শ্রীরামকৃষ্ণ
কোন আশ্রম আশ্রয় করে পৃথিবীতে
ছিলেন? তাঁর
জীবনে চারটি আশ্রমই পরিস্ফুট
আবার তিনি এই চতুরাশ্রমের
অতীত।
এছাড়াও এই চতুরাশ্রমের বাইরে তিনি বাহ্যজগৎ ও ঐশ্বরিক জগতের মধ্যে বাচ’ খেলছেন, স্বামী ব্ৰহ্মনন্দের মতে জগৎ ও ঈশ্বরের মধ্যে সেতু হয়ে বিরাজ করছেন। তার আশ্রমের সংজ্ঞা নিরূপণই দুরূহ, তাই বিদ্যাসাগরমশাই যখন কথামৃতকার শ্রীমকে জিজ্ঞাসা করেন তিনি “কিরকম পরমহংস?” তখন শ্ৰীম উত্তরে বলেন “তিনি এক অদ্ভুত পুরুষ, লালপেড়ে কাপড় পরেন, জামা পরেন, বার্নিশ করা চটি জুতা পরেন, রাসমণির কালীবাড়িতে একটি ঘরের ভিতর বাস করেন, সেই ঘরে তক্তপােশ পাতা আছে— তাহার উপর বিছানা, মশারি আছে, সেই বিছানায় শয়ন করেন। কোন বাহ্যিক চিহ্ন নাই তবে ঈশ্বর বই আর কিছু জানেন না। অহর্নিশ তাহারই চিন্তা করেন।” এর সঙ্গে আমরা যােগ করতে পারি—সেই অহর্নিশ ঈশ্বরানন্দের ভাগ এই দুঃখী জগদ্বাসীকে দিতে তিনি ব্যাকুল, তাই যখন মন বাহ্যজগতে বিরাজ করে তখন এই সংসারমগ্ন মানুষগুলিকে এই আনন্দের ভাগী কী করে করা যায় কেবল সেই চিন্তা করেন। শ্রীকৃষ্ণ গীতামুখে অর্জুনকে....
- ব্রহ্মচর্যাশ্রমে তিনি অটুট ব্রহ্মচারী এবং আজীবন শিক্ষার্থী।
- গার্হস্থাশ্রমে তিনি মাতা, স্ত্রী প্রভৃতিকে নিয়ে গৃহকর্তব্য পালনে আদর্শস্বরূপ।
- বানপ্রস্থী হিসেবে সক্রিয় সংসারের বাইরে তিনি গঙ্গাতীরে দেবমন্দিরে ঈশ্বরচিন্তায় কালাতিপাত করেন। আর
- সন্ন্যাসের মুখ্য ঐশ্বর্যে তিনি ঐশ্বর্যবান-ত্যাগীশ্বর।
এছাড়াও এই চতুরাশ্রমের বাইরে তিনি বাহ্যজগৎ ও ঐশ্বরিক জগতের মধ্যে বাচ’ খেলছেন, স্বামী ব্ৰহ্মনন্দের মতে জগৎ ও ঈশ্বরের মধ্যে সেতু হয়ে বিরাজ করছেন। তার আশ্রমের সংজ্ঞা নিরূপণই দুরূহ, তাই বিদ্যাসাগরমশাই যখন কথামৃতকার শ্রীমকে জিজ্ঞাসা করেন তিনি “কিরকম পরমহংস?” তখন শ্ৰীম উত্তরে বলেন “তিনি এক অদ্ভুত পুরুষ, লালপেড়ে কাপড় পরেন, জামা পরেন, বার্নিশ করা চটি জুতা পরেন, রাসমণির কালীবাড়িতে একটি ঘরের ভিতর বাস করেন, সেই ঘরে তক্তপােশ পাতা আছে— তাহার উপর বিছানা, মশারি আছে, সেই বিছানায় শয়ন করেন। কোন বাহ্যিক চিহ্ন নাই তবে ঈশ্বর বই আর কিছু জানেন না। অহর্নিশ তাহারই চিন্তা করেন।” এর সঙ্গে আমরা যােগ করতে পারি—সেই অহর্নিশ ঈশ্বরানন্দের ভাগ এই দুঃখী জগদ্বাসীকে দিতে তিনি ব্যাকুল, তাই যখন মন বাহ্যজগতে বিরাজ করে তখন এই সংসারমগ্ন মানুষগুলিকে এই আনন্দের ভাগী কী করে করা যায় কেবল সেই চিন্তা করেন। শ্রীকৃষ্ণ গীতামুখে অর্জুনকে....
No comments