গার্হস্থ্য আশ্রম ও শ্রীরামকৃষ্ণ - Spirituality Religion

Header Ads

গার্হস্থ্য আশ্রম ও শ্রীরামকৃষ্ণ

গার্হস্থ্য আশ্রম ও শ্রীরামকৃষ্ণ

Sri Ramakrishna


Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna


বলেছেন- যদি তুমি ঈশ্বরেরই আরাধনায় মগ্ন হও তবে সত্যই ঈশ্বরলাভ করবে এ আমি প্রতিজ্ঞা করে বলছি (মামেবৈষ্যসি সত্যং তে প্রতিজানে প্রিয়ােহসি মে') 
শ্রীরামকৃষ্ণও ঠিক এইরকম বলেছেন : 
ঈশ্বরকে ব্যাকুল হয়ে খুঁজলে তাকে দর্শন হয়, তার সঙ্গে আলাপ হয়, যেমন আমি তােমাদের সঙ্গে কথা কচ্ছি। সত্য বলছি-দর্শন হয়। এ পর্যন্ত বলেই হতাশ হয়ে বলছেন : “একথা কারেই বা বলি—কেই বা বিশ্বাস করে।”
 কবির ভাষায় 
“আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল শুধাইল না কেহ।”
 আকাঙ্ক্ষা না থাকলে কে বা জানতে চায়, বিশ্বাস তাে দূরের কথা।  
 শ্রীরামকৃষ্ণ কুঠিবাড়ির ছাদ থেকে আকুলপ্রাণে ডাক পাঠিয়েছিলেন তার সম্পদের 'ভাগ নিতে।
 শুদ্ধসত্ত্ব বালকেরা আসার আগে অনেকে মিলেছিলেন তার সঙ্গে। 
  1. পণ্ডিত পদ্মলােচন
  2. কর্তাভজা বৈষ্ণকরণ
  3. তান্ত্রিক গৌরী পণ্ডিত
  4. নৈয়ায়িক নারায়ণ শাস্ত্রী
  5. নামে বিশ্বাসী কৃষ্ণকিশাের প্রমুখ। 
এছাড়াও ঈশ্বরভক্ত, ঈশ্বরের নাম করে এমন কারও কথা শুনতে পেলেই শ্রীরামকৃষ্ণ যেতেন তার কাছে।
 গিয়েছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের কাছে।
 “আমি লক্ষণ দেখবার জন্য দেবেন্দ্রকে বললুম
দেখি গা, তােমার গা।' দেবেন্দ্র গায়ের জামা তুললে, দেখলাম—গেীরবর্ণ, তার উপর সিঁদুর ছড়ানাে।”
 ঈশ্বরীয় কথা কিছু হয়েছিল কিন্তু অভিমানের প্রাচীর ভেঙে দেবেন্দ্রনাথ মিলতে পারলেন না। 
শ্রীরামকৃষ্ণের তখন ভক্তি-'ভক্তের সন্ধানে আকুলপ্রাণ।
 একদিন বাগবাজারে দীন মুখুজ্জ্বের বাড়ি গিয়েছিলেন।
 বর্ধমানের রাজার সভাপতি পদ্মলােচনের সঙ্গেও মিলেছিলেন। 
“এত অনী আর পণ্ডিত, তবু আমার মুখে রামপ্রসাদের গান শুনে কান্না ! কথা কয়ে এমন সুখ কোথাও পাই নাই।”
 মিলেছিলেন বৈষ্ণকরণও।
 কর্তাভজ সম্প্রদায়ের সাধক।
 কলকাতার পণ্ডিসমাজে তার প্রবল খ্যাতি শ্রীরামকৃষ্ণ একবার 'ভাব্যবস্থায় তার কাধেবসেছিলেন, সেই স্পর্শে তার ভাবান্তর হয় ও তিনি স্তুতি করতে থাকেন।
 তার সম্বন্ধে শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন
আমি এক-একবার ভাবি যে, আমি কি জানি যে এত লােকে আসে! বৈষ্ণকরণ খুব পণ্ডিত ছিল। সে বলত, তুমি যে-সব কথা বল সব শাস্ত্রে পাওয়া যায়, তবে তােমার কাছে কেন আসি জানাে? তােমার মুখে সেইগুলি শুনতে আসি।”
 উচ্চস্তরের সাধক, তাই ‘স্বয়ং পদ্মনাভস্য মুখপদ্ম থেকে বিনিঃসৃত হলে যে শাস্ত্রীয় কথাগুলি শক্তিপূত হয়ে হৃদয়ে প্রবেশ করে তা জানতেন।
 ঠিক একইভাবে মিলেছিলেন গৌরী পণ্ডিত আর নারায়ণ শাস্ত্রী।
 দুজনেরই জাগ্রত বিবেক ছিল, তাই এই মিলন শেষপর্যন্ত তীব্র বৈরাগ্যের উদয় করে দুজনকেই ঘরছাড়া করেছিল।
 নারায়ণ শাস্ত্রীর নীরব গােপন প্রস্থান আর গৌরী পণ্ডিতের শ্রীরামকৃষ্ণের অনুমতি ও আশীর্বাদ নিয়ে মুক্তির পথে যাত্রা। 
 সেইসময় শ্রীরামকৃষ্ণ সম্বন্ধে অবহিত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনরকম ভাগ দেখি। 
প্রথম দল জানেন যে দক্ষিণেশ্বরের সেই পাগলা বামুন আড়াইশাে ছেলের মাথা খেয়েছে এবুং যদি বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে কখনও দক্ষিণেশ্বর সেই ঘরটিতে গিয়ে হাজির হয়েছেন তাে দু-একটি কথা শােনার পরই ঘাটে গিয়ে নৌকায় বসে বন্ধুদের জন্য অপেক্ষা করেছেন।
 এঁরাই সংখ্যায় বেশি।
 দ্বিতীয় দলটিতে কারও আর্থিক সচ্ছলতা ও সামাজিক মর্যাদা আছে, কারও তা নেই।
 কিন্তু তাদের সবারই প্রাণে এক অজানা অভাববােধ—যেটি মেটাতে সংসার অক্ষম, অথচ কী চাই তা ঠিক জানা নেই। 
সেটি জানার জন্যই বিভিন্ন ধর্মীয় নেত্রদের কাছে আনাগােনা।
শ্রীরামকৃষ্ণ একবার নরেন্দ্রনাথকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “মনে কর খুলিতে একখুলি রস  রয়েছে আর তুই মাছি হয়েছিস।
 কোথা সে রস







No comments

Powered by Blogger.