শ্রীরামকৃষ্ণ ও তার শিষ্যবৃন্দের দৃষ্টিতে আদর্শ সন্ন্যাসী
শ্রীরামকৃষ্ণ ও তার শিষ্যবৃন্দের দৃষ্টিতে আদর্শ সন্ন্যাসী
সােজা
হয়ে বসতে হয় – এমনি ‘সমং
কায়শিরােগ্রীবম’।
দেয়ালে
ঠেসান দিয়ে বসতে নেই,
ঝুঁকে
বসতে নেই।
যারা ব্রহ্মচারী
তারা কখন ব্যাঁকা হয়ে বসতে
পারে না,
মেরুদণ্ড
সােজা।
দেখ না,
- কি ভাবে বসি ?
- পা নাচাতে নেই,
- হাত পা কিছু নড়বে না।
- গুরুজনের সামনে স্থির বিনীত।
স্বামী
অখণ্ডানন্দ- ৬২
**********
“ত্যাগ
থেকেই আমাদের সব শক্তি আসে।
যখন আমরা ত্যাগমন্ত্রে দীক্ষিত
হই তখনই প্রকৃত ধর্মজীবন যাপন
করি এবং অনন্তজীবনের আস্বাদ
পাই।
বর্তমান অবস্থায় আমরা
বন্দীতুল্য।
মুহূর্তের জন্য
আমরা স্বাধীনতার আস্বাদ পেলেও
যখনই অন্যমনস্ক হই,
তখনই
জগৎ আমাদের বশীভূত এবং বন্ধন
করে।
ব্রহ্মানন্দের তুলনায়
ইন্দ্রিয়সুখ অকিঞ্চিৎকর -
এই
বােধ যতই আমাদের অন্তরে অনুভূত
হবে,
ততই
জগতের প্রতি আমাদের আকর্ষণ
কমবে।
জাগতিক সুখ অপেক্ষা
অধিকতর স্থায়ী ও বিমল আনন্দের
সন্ধান পেলেই ত্যাগব্রতে আসে
অবিচলিত নিষ্ঠা।
পার্থিব
ভােগের নশ্বরত্ব উপলব্ধিতে
মন স্বর্গীয় আনন্দের সন্ধান
করে।
ক্ষুদ্র বস্তু ত্যাগ
করে মহত্তর বস্তু-প্রাপ্তিতেই
ত্যাগের ভাব দৃঢ় হয়।
যারা
আধ্যাত্মিক জীবনের জন্য সংসার
ত্যাগ করে তারা অধ্রুবের
পরিবর্তে ধ্রুবই আকাঙক্ষা
করে।
স্বামী
রামকৃষ্ণানন্দ-১১৩
No comments