প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী মাধবানন্দজী - Spirituality Religion

Header Ads

প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী মাধবানন্দজী


প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী মাধবানন্দজী


Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna


মনু মহারাজ
(স্বামী অচিন্ত্যানন্দ) ছিলেন রুক্ষ মেজাজের বেলুড় মঠের সাধুনিবাসে থাকতেন। অন্যান্য সাধুর সঙ্গে বিশেষ বনিবনা ছিল না। একদিন নির্মল মহারাজ(স্বামী মাধবানন্দজী) তাঁকে ডেকে বলেন, “মনু, তােমার নামে complain আছে।” মনু মহারাজও উত্তরে বললেন, “আপনার নামেও complain আছে।” নির্মল মহারাজ(স্বামী মাধবানন্দজী) বললেন, “দেখ, আমার নামে যে complain সেটা কালীকৃষ্ণ মহারাজ (প্রেসিডেন্ট স্বামী বিরজানন্দ) দেখবেন। আর তােমার নামে যে complain সেটা আমি দেখব।” নির্মল মহারাজ(স্বামী মাধবানন্দজী) ছিলেন General Secretary, the executive head of the Order.
Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna


বেলুড় মঠের লাইব্রেরি ছিল পুরানাে মিশন অফিসের ওপরের তলায় এক সেখানে ট্রাস্টি মিটিং-ও হতাে। লাইব্রেরিয়ান চন্দ্র মহারাজের পেটে ulcer ছিল, সেজন্য এক পােয়া দুধ তাঁর জন্য বরাদ্দ ছিল। বেলুড় মঠের তখন গরিব অবস্থা। ঠিকমতাে খাওয়া মিলত না। এদিকে মঠের ম্যানেজার মহারাজ চন্দ্র মহারাজের দুধ বন্ধ করে দিয়েছেন। চন্দ্র মহারাজ লাইব্রেরিতে গিয়ে খুব জোরে জোরে ‘হেউ হেউ করে ঢেকুর তুলছেন। লাইব্রেরির পূর্বদিকে নির্মল মহারাজের(স্বামী মাধবানন্দজী) ঘর ও অফিস। তিনি ঐ ঢেকুরের আওয়াজ শুনে চন্দ্র মহারাজকে ডেকে ঢেকুরের কারণ জিজ্ঞাসা করে জানলেন যে, তাঁর জন্য বরাদ্দ দুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারপর নির্মল মহারাজ(স্বামী মাধবানন্দজী) ম্যানেজার মহারাজকে বলে পাঠালেন যে, তাঁর জন্য বরাদ্দ দুধ যেন চন্দ্র মহারাজকে দেওয়া হয়। ব্যস, ম্যানেজার মহারাজ সঙ্গে সঙ্গে চন্দ্র মহারাজকে পূর্বের মতাে দুধ দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন এবং নির্মল মহারাজের(স্বামী মাধবানন্দজী) দুধের বরাদ্দও যথারীতি রইল।


Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

স্বামী মাধবানন্দজী পঞ্জিকা খুব মানতেন কোথাও যেতে গেলে পঞ্জিকার শুভক্ষণ দেখে বের হতেন। একবার মায়াবতী থেকে ঘােড়ার পিঠে বসে নামছেন। তারপর হঠাৎ ঘােড়ার ওপর থেকে রাস্তায় ঝােপের পাশে পড়ে যান। সঙ্গের সাধুরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে rescue করল। একজন সাধু বলল, “মহারাজ, আপনি তাে শুভ দিনক্ষণ দেখে যাত্রা করলেন, অথচ এই accident হলাে!” মহারাজ উত্তর দিলেন, “দেখ, আমার তাে পাহাড়ের খাদে পড়ে মৃত্যু হতে পারত, তার বদলে দিনক্ষণ দেখেছি বলে রাস্তার পাশে পড়ে একটু কেটেকুটে গিয়েছে।”

No comments

Powered by Blogger.