প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী মাধবানন্দজী - Spirituality Religion

Header Ads

প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী মাধবানন্দজী

প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী মাধবানন্দজী

Sri Ramakrishna

স্বামী মাধবানন্দজী একবার তাঁর সহকারী সাধুকে বললেন, “দেখআমার General Secretary পদে থাকা উচিত নয়। আমি অনুপযুক্ত।” অপরসাধুটি বললেন “কেন মহারাজ?”

মহারাজ(স্বামী মাধবানন্দজী) বললেন, “দেখ, একটু আগে একই কেন্দ্রের দু-জন সাধুর সঙ্গে আমার interview হলাে আলাদাভাবে। আমি একই বিষয়ে দু-জনের জবানবন্দি শুনলাম। দু-জনের কথা সম্পূর্ণ বিপরীতভাবে প্রকাশ পেল। এখন আমি বুঝতে পারছি না কে সত্য বলছে। আর কে মিথ্যা বলছে। একজন definitely মিথ্যা বলছে। আমার তাে ঠাকুরের মতাে ক্ষমতা নেই যে ধরতে পারব কে মিথ্যা বলছে। তিনি অপরের মন, আয়নাতে দেখা মুখের মতাে দেখতে পারতেন। সুতরাং, আমার resign করা উচিত।” তিনি মনে-প্রাণে সত্যকে পালন করতেন।
Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna


একদিন গম্ভীর মহারাজ আমাকে বলেন, “দেখ, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের পরিচালনায় নির্মল মহারাজের(স্বামী মাধবানন্দজী) decision সবাই মাথা পেতে নিত। তাঁর কথার ওপর কথা বলার ক্ষমতা কারও ছিল না। কারণ, তাঁর ত্যাগ-বৈরাগ্যমণ্ডিত অমলধবল চরিত্র, নিঃস্বার্থপরতা ও পক্ষপাতহীনতা, সাধুত্ব ও পাণ্ডিত্য, সংঘের প্রতি ভালবাসা ও আনুগত্য, ঠাকুর-মায়ের প্রতি ভক্তি ও প্রখর বুদ্ধির জন্য সব সাধু তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে মান্য করতেন। তিনি spirituality, morality ethics-এর ওপর দাঁড়িয়ে সংঘ পরিচালনা করতেন। সাধুদের প্রতি তাঁর ভালবাসা, করুণা, ক্ষমা ছিল অপরিসীম।”
Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna



স্বামী হিরন্ময়ানন্দ বলেছিলেন, “নির্মল মহারাজ(স্বামী মাধবানন্দজী)যদি কোনাে সাধুকে তার বেঠিক কর্মের জন্য শাস্তি দিতেন, সে সাধু তা মাথা পেতে নিত। কারণ, সে জানত যে এ-শাস্তি এসেছে এক মহান সাধুর কাছ থেকে, যাঁর মনে কোনাে ঘৃণা বা বিদ্বেষ নেই।” মনু মহারাজ (স্বামী অচিন্ত্যানন্দ) ছিলেন রুক্ষ মেজাজের। বেলুড় মঠের সাধুনিবাসে থাকতেন। অন্যান্য সাধুর সঙ্গে বিশেষ বনিবনা ছিল না। একদিন নির্মল মহারাজ তাঁকে ডেকে বলেন, “মনু, তােমার নামে complain আছে।” মনু মহারাজও উত্তরে বললেন, “আপনার নামেও complain আছে।” নির্মল মহারাজ(স্বামী মাধবানন্দজী) বললেন, “দেখ, আমার নামে যে complain সেটা কালীকৃষ্ণ

No comments

Powered by Blogger.