প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী মাধবানন্দজী
প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী মাধবানন্দজী
|
ঠাকুরের
সন্তানদের পর রামকৃষ্ণ সঙ্ঘে
মাধবানন্দজী একজন তার সাধু
হিসাবে পরিগণিত হন। He
was truly a role model. কথামৃত-এ
ঠাকুর সাধুর যেসব লক্ষণ বলেছেন,
সেসব
তাঁর মধ্যে বিকশিত হয়েছিল।
এতবড় গুণী সাধু হয়েও তিনি
ছিলেন সম্পূর্ণ নিরহঙ্কারী।
১৯৬১ সালে মহারাজ brain
tumour operation করবার
জন্য আমেরিকায় যান। স্বামী
নিখিলানন্দ সব ব্যয়ভার বহন
করেছিলেন। তিনি আমেরিকায়
প্যান্টকোট পরে যান। এয়ারপাের্টের
লােকেরা অবাক হয়ে দেখল—সব
গেরুয়াধারী সাধু প্যান্টকোট
পরা এক ভদ্রলােককে প্রণাম
করছে।
Sri
Ramakrishna
|
১৯৬৪
সাল আমি তখন বেলুড় মঠের ট্রেনিং
সেন্টারে। আমাদের এক
সহপাঠী-ব্রহ্মচারী
মাধবন খুব দর্শনচর্চা করত।
গীতা,
উপনিষদ,
বিবেকচূড়ামণি-র
প্রচুর শ্লোক তার মুখস্থ ছিল।
সে একদিন মাধবানন্দজীকে
দর্শনশাস্ত্রের নানাবিধ
প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে শুরু
করে দিল। মহারাজ তখন সঘের
প্রেসিডেন্ট। তিনি ব্রহ্মচারীকে
সােজা বললেন,
“দেখ,
আমি
এখন কথামৃত-এর
ছাত্র। তােমার ঐসব দার্শনিক
প্রশ্ন ট্রেনিং সেন্টারের
আচার্যদের জিজ্ঞাসা কোরাে।”
ঐকালে মহারাজ বৌদ্ধিক জগতের
পরপারে অনুভূতির রাজ্যে বাস
করতেন। তিনি হয়তাে আঁচ করেছিলেন
যে,
ব্রহ্মচারীর
‘জ্ঞাপয়িতুমিচ্ছা'
অর্থাৎ
জানবার ইচ্ছা নয়,
জানাবার
ইচ্ছা যে—সে কত জানে।
Sri
Ramakrishna
|
এই
প্রচারবিমুখ সন্ন্যাসী
অর্ধশতাব্দীর ওপর জগৎ থেকে
বিদায় নিয়েছেন,
তবুও
তাঁর আদর্শ-জীবন
আমাদের এখনাে অনুপ্রেরণা
দিচ্ছে এবং শেখাচ্ছে। প্রকৃত
সাধুর জীবন কীরূপ হওয়া উচিত।
No comments