প্রাচীন সাধুদের কথা
প্রাচীন সাধুদের কথা স্বামী শঙ্করানন্দ (১৮৮০-১৯৬২)
|
১/৯/১৯৬০
মহারাজ(স্বামী শঙ্করানন্দ)—দেখ,
কতক
লােক আছে—তারা খালি বিড়বিড়
করে বকে আর অপরকে জ্বালায়।
একবার বম্বেতে আমি বােধানন্দ
স্বামীর সঙ্গে আছি ওঁর আমেরিকা
যাওয়ার আগে। রােজই খাওয়ার
পর একটা লােক আসত,
আর
সারা দুপুর বকাত বােধানন্দ
স্বামীকে। আমি সরে পড়তাম।
একদিন এর হাত থেকে নিষ্কৃতি
পাওয়ার উপায় জিজ্ঞাসা করায়
আমি বললাম দেখুন,
কাল
যখন ও আসবে তখন আপনি ওর কথায়
কেবল ‘হ্যাঁ’,
‘হু',
তাই
তাে ছাড়া আর কিছু বলবেন না।
পরের দিন যথারীতি খাওয়ার পর
আবার এসেছে। আমি তাে সরে পড়লাম।
বােধানন্দ স্বামী কেবল ‘হ্যাঁ’,
‘হু',
‘তাই’
বলায় লােকটা ঘণ্টাখানেক
থেকে বলল,
“আজ
তবে আসি” ব্যস,
পরে
আর কোনােদিন আসেনি।
Sri
Ramakrishna
|
২৫/৯/১৯৬০
মহারাজ(স্বামী
শঙ্করানন্দ)—(জনৈক
সাধুর নিষ্ঠা দেখে)
এদের
দেখে এসব সাধু ও ব্রহ্মচারীর
শেখা উচিত। একটা ভাব নিয়ে
থাকা চাই। আর চাই কঠোর সাধনা
ও তিতিক্ষা। তিতিক্ষা কি
জানিস?
‘সহনং
সর্বদুঃখানা অপ্রতীকারপূর্বকম।
চিন্তাবিলাপরহিতং
সা তিতিক্ষা নিগদ্যতে'।।
—প্রতিকারের
চেষ্টা না করে সমস্ত দুঃখকে
সহ্য করা এবং কোনাে প্রকার
চিন্তা ও বিলাপ না
করাকে
‘তিতিক্ষা’ বলে। (বিবেকচূড়ামণি,
২৪)
এসব
কেবল সাধুরাই পারে। তবে আজকাল
দেখছি—একটু কিছু হলেই ডাক্তার,
ওষুধ
ইত্যাদি। আর আমাদের সাধুদের
সঙ্গে বড় বড় ডাক্তারের আলাপ
রয়েছে তাতে আরও দুর্গতি
হচ্ছে।
No comments