প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী শঙ্করানন্দ  - Spirituality Religion

Header Ads

প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী শঙ্করানন্দ 


প্রাচীন সাধুদের কথা স্বামী শঙ্করানন্দ (১৮৮০-১৯৬২)


Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

প্রথমে শিবের সব স্তোত্র পড়া আরম্ভ কর। আর মজা এই–দেখবি দু-তিন বার পড়লেই মুখস্থ হয়ে যাবে। আমি যে এখনাে এত বলি, কারণ সব মুখস্থ ছিল মাঝে মাঝে আটকে যায়।” " এই বলে শিবমহিঃ স্তোত্র থেকে প্রথম দুটো শ্লোক বলে গেলেন। তারপর বললেন, “আমি ১৯১২ সালে কনখলে হরি মহারাজের(স্বামী তুরীয়ানন্দ) কাছ থেকে শিবমহিমঃ স্তোত্রের মানে বুঝে নিই।।
রাজা মহারাজ কখনাে কখনাে ভুবনেশ্বরে মন্দিরে গিয়ে প্রণাম সেরে নিরিবিলি একটা জায়গায় বসে আমাকে বলতেন, একটা স্তোত্র পাঠ কর। আমি একবার শিবমহিমঃ স্তোত্রের সবটা পাঠ করি। কোনাে জায়গায় আটকাল না—উতরে গেলাম।।



Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna


মহারাজ(স্বামী শঙ্করানন্দ ) মন সহজেই ওপরে তুলে নিতে পারতেন। তাই যখন ঐসব স্তোত্রপাঠ ও রামনাম শুনতেন—এক আসনে ধীরভাবে বসে শুনে যেতেন।”
পরে সাধুজীবন গঠন প্রসঙ্গে মহারাজ বলেন, “দেখ, সাধু হলেই হয় না। ২৪/২৫ বছরের, এমনকী ৪০ বছরের সাধুও বিগড়ে যায় দেখেছি। সবসময় মনটা ভগবৎ-চিন্তায় ডুবিয়ে রাখতে হবে, যাতে অন্য চিন্তা না আসতে পারে। আর ইন্দ্রিয়ের লালসা যেন না আসে—তাহলেই গেল!”
প্রশ্ন-মহারাজ, ইন্দ্রিয়ের লালসার প্রকৃত তাৎপর্যটি ক?
মহারাজ(স্বামী শঙ্করানন্দ )কটা ইন্দ্রিয় আছে? পাঁচটা জ্ঞানেন্দ্রিয় ও পাঁচটা কর্মেন্দ্রিয়।
এসব ইন্দ্রিয়ের বিকার-কাম, ক্রোধ, লােভ, মােহ, মদ (অহঙ্কার) ও মাৎসর্য প্রধান। এদের দমন করতে হবে।
প্রশ্ন—তাই ভাবি মহারাজ, বহু ভাগ্যে সদ্গুরুর কৃপায় হয়।
মহারাজ(স্বামী শঙ্করানন্দ )সে তাে বটেই। তুলসীদাসের একটা দোঁহা আছে—
সদ্গুরু পাওয়ে, ভেদ বাতাওয়ে, জ্ঞান করে উপদেশ।
তব কয়লা কি ময়লা ছােটে, যব আগ করে পরবেশ।'
আগুন যেমন কয়লার মালিন্য দূর করে, সেরূপ সদ্গুরু শিষ্যের অন্তরের কালিমা দূর করেন।




No comments

Powered by Blogger.