প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী বীরেশ্বরানন্দ (১৮৯২-১৯৮৫) - Spirituality Religion

Header Ads

প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী বীরেশ্বরানন্দ (১৮৯২-১৯৮৫)

প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী বীরেশ্বরানন্দ (১৮৯২-১৯৮৫)

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna


অন্য একদিন তিনি আমার কাছে একটা বিষয় জানতে চান। আমি ঠিক উত্তর না দিতে পেরে বললাম, “It seems to be this.” তিনি একটু বিরক্ত সঙ্গে বললেন “Never say, 'It seems', 'I think so' and all such vague words. Either say 'I know' or 'I don't know.' তােমার কথার ওপর আমি একটা decision নেব। যদি তােমার কথা ভুল হয়, তাহলে আমার decision-ও ভুল হবে।” আমি একটা অপূর্ব শিক্ষা পেলাম।
আরেক দিন অদ্বৈত আশ্রম থেকে বেলুড় মঠে গিয়েছি। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “মহারাজ, কেমন আছেন?” তিনি বিরক্তির সঙ্গে বললেন, “দেখছ না আমি কাজ করছি।” তিনি ঐরূপ প্রশ্ন পছন্দ করতেন না।
Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

তিনি খুব স্বল্পাহারী ছিলেন। তিনি পাখির মতাে একটু একটু খেতেন, কিন্তু দারুণ গরম চা বা কফি খেতেন—যা খেলে অন্য কারাের মুখ পুড়ে যাবে। আমি মহারাজের নির্দেশ অনুযায়ী কলকাতায় নিউ মার্কেট থেকে কখনাে কখনাে Ginger লজেন্স কিনতাম। তিনি ঐ ঝাঁঝালাে আদার লজেন্স খেতে পছন্দ করতেন। ১৯৬৪ সালে আমি যখন ট্রেনিং সেন্টারে, তখন একদিন ঠাকুরের কোনাে এক সন্তানের জন্মতিথি উপলক্ষ্যে আমরা সবাই তাঁকে প্রণাম করতে গিয়েছি। তিনি জানতেন যে, বিকালে একটু চা ছাড়া আমাদের আর কিছু জুটত না। সেদিন তাঁর কাছে দক্ষিণভারত থেকে বেশকিছু মুড়কু, চানাচুর ও অন্যান্য জিনিস এসেছিল। তিনি আমাকে পরে দেখা করতে বললেন। আমি বিকালে গেলে আমাদের সকলকে ঐসব জিনিস চায়ের সঙ্গে খেতে বললেন। আমাদের প্রতি তাঁর এই দরদ আমাকে খুব মুগ্ধ করেছিল। পরবর্তিকালে যখন তিনি প্রেসিডেন্ট, আমেরিকা থেকে আমি তাঁর কাছে বারাে হাজার ডলার (এক ভক্তের দান) পাঠিয়েছিলাম এবং লিখেছিলাম ঐ টাকা যেন ট্রেনিং সেন্টারের ব্রহ্মচারীদের বিকালের রিফ্রেসমেন্টে ব্যয় করা হয়। তিনি উত্তরে লেখেন ঃ “তুমি যেজন্য টাকা পাঠিয়েছ, তা সেভাবেই ব্যয় করা হবে। তবে জেনে রেখাে–এখন ব্রহ্মচারীদের বিকালে রিফ্রেসমেন্টের ব্যবস্থা হয়েছে।”

No comments

Powered by Blogger.