প্রাচীন সাধুদের কথা
প্রাচীন সাধুদের কথা স্বামী শঙ্করানন্দ (১৮৮০-১৯৬২)
এর
জন্যই গুরুর প্রয়ােজন।”
ইষ্টের
ধ্যান ঃ “মনে করবে গুরু তােমাদের
মস্তকে বসে আছেন এবং তােমাদের
সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ কামনা
সদাসর্বদা করছেন। আর তােমাদের
হৃদয়ে ঠাকুর প্রশান্তবদনে
জীবন্ত জ্যোতির্ময় মূর্তিতে
সহস্রদল পদ্মের ওপর বসে আছেন
এবং গুরুদেব ধীরে ধীরে মস্তক
থেকে হৃদয়ে ঢুকলেন এবং ইষ্টের
সঙ্গে মিশে গেলেন। আর মা
সারদাদেবী বসে আছেন ঠাকুরের
হৃদয়ে। তিনিই (ইষ্টই)
একাধারে
পুরুষ ও প্রকৃতি—সবকিছুই।
তিনিই তােমাদের হৃদয়ে বসে
আছেন এবং মন-বুদ্ধি-ইন্দ্রিয়
পরিচালনা করছেন।”
তারপর
মহারাজ তিন বার পরিষ্কারভাবে
মন্ত্র উচ্চারণ করলেন এবং
মধ্যের শব্দটা (বীজ)
বানান
করে অর্থ বুঝিয়ে দিলেন। এর
অর্থ ঠাকুর সর্বদেবদেবীস্বরূপ।
Sri
Ramakrishna
|
এ-বিষয়ে
কয়েকটি ঘটনার অবতারণা করলেন।
(১)
মথুরবাবু
দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুরের ভিতর
যুগপৎ শিব ও কালীরূপ দেখেছিলেন।
(২)
ঠাকুর
একবার স্বামীজীকে বলেন,
“তুই
রাধার রূপ দেখতে চাস?”
স্বামীজী
বললেন,
“আপনি
যদি কৃপা করে দেখান তবে দেখতে
পারি।” তিনি স্বামীজীকে রাধার
রূপ দেখালেন।
Sri
Ramakrishna
|
ঠাকুরের
শরীরে সেসময়
অপরূপ
রূপ ও
লাবণ্য ফুটে উঠল এবং মনে হলাে
যেন সাক্ষাৎ শ্রীরাধা
স্বামীজীর
সামনে এসেছেন। (৩)
তারপর,
কাশীপুর
বাগানে ঠাকুর স্বামীজীকে
বলেছিলেন,
“যে
রাম যে কৃষ্ণ সেই ইদানীং
রামকৃষ্ণ। তবে তাের বেদাতের
দিক দিয়ে নয়। কারণ অদ্বৈত
বেদান্তে মূর্তিপূজা বা ritual
।
কিছুই নেই,
সেখানে
একমাত্র ব্রহ্মই আছেন।
তাৱপৱ
মহারাজ বলেন,
“যেকোনাে
দেবদেবীর পূজা করা যাক না কেন,
সেটা
ঠাকুরেরই পূজা করা হবে। নাম
নামী অভেদ। গুরু,
ইষ্ট,
মন্ত্র
অভেদ বলে জানবে। তােমরা যখন
শিবের বা মায়ের পূজা করবে
তখন তা ঠাকুরেরই পূজা বলে মনে
করবে।”
Sri
Ramakrishna
|
No comments