প্রাচীন সাধুদের কথা স্বামী শঙ্করানন্দ (১৮৮০-১৯৬২) - Spirituality Religion

Header Ads

প্রাচীন সাধুদের কথা স্বামী শঙ্করানন্দ (১৮৮০-১৯৬২)

প্রাচীন সাধুদের কথা স্বামী শঙ্করানন্দ (১৮৮০-১৯৬২)

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

জপের নিয়মাবলি ও মানসপূজা ঃ- 
প্রত্যহ সকাল-সন্ধ্যায় উত্তর বা পূর্বদিকে মুখ করে বসে কমপক্ষে ১০৮ বার ইষ্টমন্ত্র জপ করবে।
(মন্ত্র বলবার সময় তিনি তার আরম্ভ ও শেষ ডানহাতের কর টিপে দেখিয়ে দিলেন এবং বামহাতে তার সংখ্যা রাখবার পদ্ধতিও দেখিয়ে দিলেন।)
সকালে শৌচাদি সেরে শুদ্ধভাবে ঠাকুরঘরে গিয়ে নির্দিষ্ট আসনে বসে জপ করবে। 
প্রথমে গঙ্গাজলে অথবা যেকোনাে জল দিয়ে আচমন করবে।
 ঐ আসন অন্য সময় ব্যবহার করবে না। 
অশৌচ হলে বা বাপ-মা মারা গেলে ঠাকুরঘরে যাবে না, তবে মনে মনে জপ করবে। 
আসনে স্থিরভাবে বসে প্রথমে মনে মনে চিন্তা করবে যে, শ্রীশ্রীঠাকুর তােমার সামনে এসে বসেছেন। 
সেসময় মনে মনে শ্রীশ্রীঠাকুরকে পাদ্য, অর্ঘ্য প্রভৃতি নিবেদন করে পূজা করবে। 
মানসপূজা করবার সময় কল্পনা করতে হবে যে, শ্রীশ্রীঠাকুরকে নানারূপ ফলমিষ্টান্নাদি নিবেদন করা হয়েছে এবং তিনি সেসব গ্রহণ করছেন। 
মনে মনে ভােগ ইত্যাদি নিবেদন করা শ্রেয়, কেননা এতে কারাে ওপর নির্ভর করতে হবে না। 
তবে ইচ্ছা হলে ফলমিষ্টান্নাদি সকাল অথবা সন্ধ্যায় জপধ্যানের সময় শ্রীশ্রীঠাকুরকে নিবেদন করা যেতে পারে।”



Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

মন্ত্রের গুরুত্ব :-মন্ত্রের গােপনীয়তা রক্ষা করবে। 
কাউকে তা বলবে না, এমনকী লিখবেও না। 
গুরুকে ছাড়া তা কাউকে বলতে নেই। 
শাস্ত্রে আছে-মাতৃজরায়ুবৎ' (অর্থাৎ, মা যেমন ভ্রূণ গর্ভে গােপনে রক্ষা করেন যতদিন না শিশু পুষ্ট হয়ে জন্মগ্রহণ করে, তেমনি শিষ্য মন্ত্র হৃদয়ে রক্ষা করবে যতদিন না ঈশ্বরলাভ হয়)। 
এই মন্ত্র জীবন্ত ও শক্তিশালী। 
এর দ্বারা তােমাদের সকল সংশয় ছিন্ন হয়ে যাবে এবং সকল প্রশ্নের সমাধান হয়ে যাবে। 
এতে কোনাে অবিশ্বাস বা লুকোচুরির ব্যাপার নেই। 
আজ থেকে জেনে রাখাে, তিনিই (ঠাকুর) আজ তা তােমাদেরকে প্রদান করলেন। 
তিনি তােমাদের ভার নিলেন এবং তােমাদের অন্তরে থেকে তােমাদের পরিচালনা করবেন। 
কিছু হচ্ছে না বলে হতাশ হােয়াে না—এই মন্ত্রই তােমাদের রক্ষা করবে।। -
তীর্থে তােমরা যখন যাবে তখন যেসব মূর্তি দেখবে সেসব সেই সর্বদেবদেবীস্বরূপ ঠাকুরেরই বলে জানবে।
শাস্ত্রে আছে—
আকাশাৎ পততি তােয়ং যথা গচ্ছতি সাগর।
সর্বদেব নমস্কারং কেশবং প্রতিগচ্ছতি।'
আকাশ থেকে পতিত বৃষ্টির জল যেমন বিভিন্ন গতিতে সাগরে মিশে যায়, সেরূপ সকল দেবতাকে প্রণাম করলে, তা সেই এক কেশবকেই করা হয়।”



Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

AA
Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

AA
Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

No comments

Powered by Blogger.