প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী মাধবানন্দজী
প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী মাধবানন্দজী
|
সঙ্ঘে
যােগদানের পর আমি অন্যান্য
সাধুর কাছে স্বামী মাধবানন্দজী
সম্পর্কে অনেক সুন্দর সুন্দর
ঘটনা শুনেছি। তাঁর ব্যক্তিগত
জীবন সম্বন্ধে তিনি খুব চাপা
ছিলেন এবং সর্বোপরি অযাচিতভাবে
উপদেশ দেওয়া তাঁর স্বভাববিরুদ্ধ
ছিল। একটা কথা আছে—“Brevity
is the soul of wit'‘বাক্-স্বল্পতা
হলাে বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক।
কেউ কোনাে প্রশ্ন করলে তিনি
একটি কি দুটি কথায় তার জবাব
দিতেন। আমরা তাঁর কাছ থেকে
কিছু শােনবার জন্য সবসময়
উদগ্রীব হয়ে থাকতাম।
১৯৬২
সালে নতুন দীক্ষাপ্রাপ্ত
ব্রহ্মচারীদের সামনে স্বামী
মাধবানন্দজী বাংলায় সংক্ষেপে
কিছু কথা বলেন। আমার এক সতীর্থ
সন্ন্যাসী সেগুলি তাঁর দিনলিপিতে
লিপিবদ্ধ করে রাখেন এবং আমি
তার নকল আমার দিনলিপিতে লিখে
রাখি। কথাগুলি এখানে উল্লেখ
করছি :
Sri
Ramakrishna
|
১।
যে যতটা পারে ততটা যেন সঙ্ঘের
সেবা করে। সবসময় নিজের
contribution
দেওয়ার
চেষ্টা করতে হবে।
২।
যেখানে নিজের interest
ও
সঙ্ঘের interest-এর
মধ্যে
সংঘাত আসবে তখন নিজের স্বার্থ ত্যাগ করা উচিত। ফলে নিজের ও সঙ্ঘের— উভয়ের মঙ্গল হবে। নিজের অহঙ্কার সম্পূর্ণ বিনাশ সম্ভব না হলেও এভাবে বহুল বিনাশ সম্ভব।
সংঘাত আসবে তখন নিজের স্বার্থ ত্যাগ করা উচিত। ফলে নিজের ও সঙ্ঘের— উভয়ের মঙ্গল হবে। নিজের অহঙ্কার সম্পূর্ণ বিনাশ সম্ভব না হলেও এভাবে বহুল বিনাশ সম্ভব।
৩।
পরস্পরের মধ্যে ভালবাসার
সম্বন্ধ চাই। এ ভাব স্বামীজী
দিয়ে গিয়েছেন এবং অবশ্য
পালনীয় ও অনুকরণীয়। নিজেদের
দোষ-ত্রুটি
উপেক্ষা করে ভাল গুণই দেখতে
হবে। Negative
না
দেখে positive
side নেওয়া
উচিত। তা-ই
কল্যাণকর। Cups-half-full
vs
half-empty-র
মধ্যে half-full
ভাবই
গ্রহণীয়।
Sri
Ramakrishna
|
৪।
প্রত্যেক কাজই দায়িত্বপূর্ণ
ও গুরুত্বপূর্ণ। কাজের মধ্যে
ছােট-বড়
ভেদ নেই। ঘড়ির ক্ষুদ্র অংশ
ও বৃহৎ অংশ—উভয়ই ঘড়ির পক্ষে
সমান প্রয়ােজনীয়। উভয়ের
ওপরেই ঘড়ির সময়দান নির্ভর
করে। সেরকম এ সঙ্ঘের প্রত্যেক
অংশ সমভাবে essential.
৫।
Comforts
মানুষকে
বড় করে না। মানুষের জীবনই
মানুষকে বড় করে। সেজন্য
Comforts-এর
ওপর বেশি মনােনিবেশ না করাই
উচিত। Comforts
যদি
সহজলভ্য হয় তবে গ্রহণীয়,
নচেৎ
দুঃখের কোনােই কারণ নেই। মঠের
প্রথমাবস্থায় আজকের তুলনায়
আরাম-উপকরণ
অল্পই ছিল। আমাদের আদর্শ—Plain
living and high thinking.
No comments