প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী বীরেশ্বরানন্দ
প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী বীরেশ্বরানন্দ (১৮৯২-১৯৮৫)
|
১৯৬৫
সালের অক্টোবর মাসে স্বামী
মাধবানন্দজীর দেহত্যাগের
পর প্রেসিডেন্টের পদ বেশ কয়েক
মাস শূন্য থাকে। অবশেষে ১৯৬৬
সালে ঠাকুরের জন্মতিথিতে (২২
ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬)
প্রভু
মহারাজ সঘের দশম প্রেসিডেন্ট
হন। ঐদিন তিনি ব্রহ্মচর্য ও
সন্ন্যাস দেন। আমি ঐদিন তাঁর
কাছে ব্রহ্মচর্য-দীক্ষা
পাই এবং ১৯৬৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি
সন্ন্যাস-দীক্ষা
পাই। ১৯৭১ সালের জানুয়ারির
প্রারম্ভে স্বামী নির্বাণানন্দজী
আমাকে অদ্বৈত আশ্রম থেকে ডেকে
জানালেন,
“আমি
তােমার নাম হলিউড আশ্রমের
জন্য সাজেস্ট
Sri
Ramakrishna
|
করেছি।
প্রভু মহারাজ যদি তােমাকে
কিছু জিজ্ঞাসা করেন,
তুমি
‘না’ কোরো
না ।”
তারপর একদিন প্রভু মহারাজ
ফোনে অদ্বৈত আশ্রমের প্রেসিডেন্ট
স্বামী বুধানন্দজীকে ডেকে
তাঁর সঙ্গে ৩টার ভিতর দেখা
করতে বললেন—কারণ ঐদিন বিকাল
৪টার মিটিং-এ
আমার আমেরিকা যাওয়ার ব্যাপারটি
নিয়ে আলােচনা হবে। বুধানন্দজী
আহারের পর ট্যাক্সি করে মঠে
গিয়ে মহারাজের সঙ্গে দেখা
করেন এবং মহারাজ আমার ট্রান্সফারের
বিষয়টি বলেন। বুধানন্দজী
অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজি হন।
১৯৭১ সালে স্বামীজীর জন্মদিনে
স্বামী গম্ভীরানন্দজী আমাকে
ডেকে জানালেন যে,
আমাকে
হলিউড যেতে হবে।।
তারপর
আমি প্রভু মহারাজকে বললাম,
“মহারাজ,
আমি
কখনাে দক্ষিণভারত দেখিনি,
আমাকে
এক মাসের ছুটি দিন।” তিনি
সানন্দে অনুমতি দিলেন। আমি
ঐ সময় মাদ্রাজ,
তিরুপতি,
ত্রিচি,
রামেশ্বর,
মাদুরাই,
ত্রিবান্দ্রাম,
কন্যাকুমারী,
কোয়েম্বাতুর,
উটি,
মহীশূর,
ব্যাঙ্গালাের,
মাদ্রাজ
হয়ে কলকাতা ফিরে যাই। তারপর
বােম্বাই-এর
গেটওয়ে অব ইন্ডিয়াতে ১৯৭১
সালের ৩১ মে স্বামীজীর
মূর্তিপ্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে
খুব বড় অনুষ্ঠান হয়। স্বামী
হিরন্ময়ানন্দজী তখন বােম্বাই
আশ্রমের প্রেসিডেন্ট। প্রভু
মহারাজ,
ভরত
মহারাজ,
সূর্য
মহারাজ ও অন্যান্য বিশিষ্ট
সন্ন্যাসী ঐ অনুষ্ঠানে উপস্থিত
ছিলেন। ২৪ মে আমি গম্ভীরানন্দজী
ও নির্বাণানন্দজীর সঙ্গে মঠ
থেকে বােম্বাই যাই। ঐ সময়
বােম্বাই আশ্রমে একটা গ্রুপ
ফটো তােলা হয়।
No comments