2020 Shri Ramakrishna Paramahansa Jayanti II শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস জয়ন্তী 2020 - 25 ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার)

Sri Ramakrishna,2020 Shri Ramakrishna Paramahansa Jayanti ,শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস জয়ন্তী 2020 - 25 ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার)

2020 Shri Ramakrishna Paramahansa Jayanti শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস জয়ন্তী 2020 - 25 ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার)

Ramakrishna (1836-1886 C.E.) was a famous Saint in 19th century India. He was born on 18 February 1836 into a very poor but devoutly religious Brahmin family in the village of Kamarpukur, Hooghly district of West Bengal, India. He became a priest of the Dakshineswar Kali Temple, dedicated to the goddess Kali. He is famously known as Ramakrishna Paramahansa among his devotees. His full name was Gadadhar Chattopadhyay.

He was married to Sarada Devi who later became his spiritual counterpart. Swami Vivekananda was one of his famous disciples. In honor of his Guru, Swami Vivekananda founded Ramakrishna Math which works for the welfare of others and spread the spiritual movement known as Ramakrishna Movement worldwide. Belur Math is the headquarters of Ramakrishna Math and Mission.

According to Hindu lunar calendar it was Dwitiya, Phalguna, Shukla Paksha, Vikram Samvat 1892 when Shri Ramakrishna was born. Each year the birth anniversary of Ramakrishna is celebrated as per Hindu lunar calendar across all Ramakrishna Maths.

স্বামী শুদ্ধানন্দের স্মৃতি

স্বািমী শুদ্ধানন্দ ছিলেন স্বামীজীর শিষ্য ও রামকৃষ্ণ মঠ মিশনের পঞ্চম প্রেসিডেন্ট। স্বামী অনিকেতানন্দ (দীনেশ মহারাজ) স্বামী শুদ্ধানন্দের সেবক ছিলেন। ২৯/৯/১৯৮২ তারিখে বেলুড় মঠে তিনি স্বামী শুদ্ধানন্দের স্মৃতিচারণ করেন। আমি তাঁকে ঐ স্মৃতিকথা লিখে দিতে বলি এবং তিনি এই টুকরাে টুকরাে স্মৃতি লিখে দেন।
স্বামী শুদ্ধানন্দের সত্যের প্রতি দারুণ অনুরাগ ছিল। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরদিন খবরের কাগজে তাঁর বয়স ও বিদ্যার কথা বাড়িয়ে লেখা হয়েছে। দেখে তিনি নির্মল মহারাজকে (জেনারেল সেক্রেটারি) ডেকে বললেন, “কাগজে ভুল লিখেছে। তুমি কাগজের সম্পাদককে লেখাে আমার প্রকৃত বয়স এত বৎসর এত মাস এবং আমার বিদ্যা I.A. পাস, second division.” নির্মল মহারাজ আপত্তি জানিয়ে বললেন, “আমরা সাধুদের জীবদ্দশায় তাঁদের শিক্ষার degree প্রভৃতি প্রকাশ করি না।”

Sri Ramakrishna

শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-এর প্রতি তাঁর দারুণ শ্রদ্ধা ছিল। রােজ সকাল ৭টা থেকে ঠাকুরের ভােগের ঘণ্টা পড়া পর্যন্ত পড়তে হতাে। আবার বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যায় ঠাকুরের আরতির ঘণ্টা পড়া পর্যন্ত পাঠ চলত। তিনি বলতেন, “এখনাে কথামৃত-এর মধ্যে নতুন নতুন ভাবের প্রকাশ দেখছি মনের ভাব বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে কথামৃত-এর ভাবও নতুনভাবে প্রকাশ পায়।”

একদিন শ্রীবাসানন্দ বললেন, “মহারাজ, আমি রােজ কিছু স্তব পাঠ করে আপনাকে শােনাতে চাই।” তদুত্তরে শুদ্ধানন্দ বললেন, “মন্দিরে গিয়ে ঠাকরের সামনে স্তবপাঠ করাে।” শ্রীবাসানন্দ বললেন, “মন্দিরের ঠাকুর আমার স্তবপাঠ শুনে তা ঠিক ঠিক হলাে কি না কিছুই বলেন না। আমার ইচ্ছা আপনাকে কিছু শােনাব এবং আপনি সংশােধন করে দেবেন।” তারপর একটি স্তবে। ‘পঞ্চানন' শব্দের অর্থ নিয়ে প্রশ্ন উঠল। শ্রীবাসানন্দ বললেন, “ ‘পঞ্চানন’ শব্দের অর্থ সিংহ।” শুদ্ধানন্দ আপত্তি জানালেন। তারপর কয়েকটা অভিধান এবং বিশ্বকোশে দেখা গেল—ওর একটি অর্থ সিংহ। তখন মহারাজ বললেন, “আমার ধারণা ছিল আমি সংস্কৃত বুঝি, কিন্তু এখন দেখছি আমি এখনাে কিছুই বুঝিনি। জনসাধারণ যেসব স্তব পাঠ করেন সেগুলি অন্বয়-অর্থসহ বাংলায় অনুবাদ করে বই বের করলে অনেক উপকার হবে।” তখন নির্মল মহারাজের নির্দেশে স্বামী গম্ভীরানন্দ স্তবকুসুমাঞ্জলি বইটি লেখেন। স্বামী শুদ্ধানন্দ সেবকদের প্রতিটি কাজ ও কথার প্রতি লক্ষ্য রাখতেন।