প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী বােধাত্মানন্দ(ভব মহারাজ)(১৯০০-১৯৭৪), pracheen sadhu katha in bengali - Spirituality Religion

Header Ads

প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী বােধাত্মানন্দ(ভব মহারাজ)(১৯০০-১৯৭৪), pracheen sadhu katha in bengali

প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী বােধাত্মানন্দ(ভব মহারাজ)(১৯০০-১৯৭৪)

BANERSHAR SHIVA LINGA

BANERSHAR SHIVA LINGA


নিয়ত যজ্ঞাদি করিতে একদিকে যেমন অর্থশক্তির প্রয়ােজন, অন্যদিকে তেমনি যজ্ঞবিষয়ক জ্ঞানশক্তিরও একান্ত আবশ্যক। আবার যজ্ঞের রক্ষণাবেক্ষণ ও সকল বিঘ্ন-নাশ-পূর্বক তাহার সিদ্ধিসাধনও কাম্য। ঐ ভাবগুলিই ক্রমে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশ রূপ ধারণ করিয়াছে। হিংসার প্রতীক সিংহ ও পাপের প্রতীক অসুর—উহাদিগকে জয় করিয়াই যজ্ঞে প্রবৃত্ত হইতে হয়। তাই উহাদের উপরে দেবীর স্থান। ভক্তের দৃষ্টি কিন্তু অন্য প্রকারের। তাঁহার চক্ষে দেবী ঐরূপ জড়বস্তু নহেন, কল্পনার বস্তুও নহেন। জগতের মূলীভূত শক্তি যাহা সাধারণের দৃষ্টিতে জড় বলিয়া বিবেচিত হইতেছে চৈতন্যের সহযােগে উহা নিত্য চৈতন্যময়ী। সেই স্বরূপ-চৈতন্যকে ত্যাগ করিয়া ঐ শক্তি কদাচ অবস্থান করেন না। সেই ব্রহ্মময়ী মা স্বরূপে নিগুণ হইয়াও ভক্তের নিকট আবার সগুণা সাকারা। নির্বিকারা হইয়াও ভক্তবৎসলা। ভক্তের প্রাণের পূজা তিনি গ্রহণ করেন। যে ভক্তের হৃদয়ে জগজ্জননীর আবির্ভাব হয় তাঁহার ঐশ্বর্য, জ্ঞান, শক্তি, সিদ্ধি কিছুরই
Ma Bhabatarini (Kali)

Ma Bhabatarini (Kali)


অভাব-বােধ থাকে না। তাহারা যে মায়ের নিত্যসঙ্গী। মায়ের আবির্ভাবে ভক্তের সকল রিপুই বশীভূত। মৃন্ময়ী প্রতিমা-অবলম্বনে ভক্ত সেই চিন্ময়ী মাতার পূজা করিয়া ধন্য হন।
স্নান, পূজন, বলিদান এবং হােম—এই চারিটি পূজার প্রধান অঙ্গ। কিন্তু তাহার পূর্বে দেবীর বােধন আবশ্যক। শিবপ্রিয়া শিবানীর শিবপ্রিয় বিস্তৃতরুই আবাসস্থল। তাই ভক্ত-পূজক তথায় গিয়া নিজ জননীকে ব্যাকুলভাবে আহ্বান করেন। সাধকের দৃষ্টিতে মেরুদণ্ডমধ্যস্থিত সুষুম্নই বিল্লতরু। তন্নিন্ন দেশে অনন্তশক্তিময়ী মাতা প্রসুপ্তা। একাগ্র ধ্যানেই তাঁহার উদ্বোধন।
নানা নদ-নদী হ্রদ ও সাগরের জল এবং নানা স্থানের বিবিধ দ্রব্য সহযােগে দেবীর স্নানের ব্যবস্থা। দেবী নিত্যশুদ্ধা, সকল স্থান সকল জল তাঁহার নিকট শুদ্ধ। ভক্ত-পূজক এই সকল দ্রব্যে দেবীকে স্নান করাইয়া পরিতৃপ্ত হন, নিজেরই অশুদ্ধ ভাব দূর করেন। বিবিধ দিনে আরব্ধ হইলেও আশ্বিন শুক্লা সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী তিথিতেই দেবীর বিশেষ পূজা।
Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna


মৃন্ময়ী মূর্তিকে নদীতীরে বা জলাশয়সন্নিকটে লইয়া গিয়া যথাবিধি স্নান করানাে সম্ভবপর নয়; তাই নবপত্রিকারূপিণী দেবীকে তথায় লইয়া গিয়া স্নান করানাে হয় এবং পূজাস্থলে। দর্পণে দেবীর মহাস্নান বিহিত হয়। ভক্তের যত প্রিয় দ্রব্য, ভােজ্য, বস্ত্র, অলংকার সব তিনি মায়ের চরণে উৎসর্গ করেন। মহাষ্টমীর দিনে নানা শক্তি-সমন্বিতা দেবীর নানা উপচারে পূজা। অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে ঘােরা প্রলয়ঙ্করী চামুণ্ডারূপিণী দেবীর পূজার বিধান। কেননা, মা তাে কেবল সৃষ্টিস্থিতিকারিণী নহেন, তিনি যে প্রলয়কারিণীও, সােম্যাৎ সােম্যতরা; আবার ঘােররাবা মহারৌদ্রী। এইভাবে সমস্ত দ্রব্য দিয়া সেই অনন্তশক্তিময়ী মাতার পূজা করিয়াও পূজা পূর্ণ হইল না। দেবী যে রুধিরপ্রিয়া, তিনি চান বলিদান, তাঁহাকে পাইবার উদ্দেশ্যে সমস্ত শক্তির নিয়ােগ, সমস্ত মনঃপ্রাণ নিঃশেষে সমর্পণ, এমনকী নিজেকেও সম্পূর্ণরূপে আহুতি। তবেই বলিদান, হােম পূর্ণ হয়, দেবী প্রসন্না হন। তাহার পরেই বিজয়া—বিজয়ােল্লাস। পিতৃপক্ষে। পিতৃতর্পণ করিয়া শুদ্ধচিত্ত সাধকের মনে যে মহালয়ার (মহতাং বুদ্ধ্যাদীনাং লয়ে যস্যাম) অনুসন্ধান আরম্ভ হইয়াছিল, পিতৃলােকাদি যাঁহার আংশিক প্রকাশ, আজ নিঃশেষে নিজের সর্বস্ব বলি দিয়া সেই সর্বাধাররূপিণ।
Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

মহালয়াকে অন্তরে পূর্ণরূপে পাইয়া বিজয়ােল্লাস। পশু প্রভৃতি সেই বলিদানের এবং সিদ্ধি সেই পরম-সিদ্ধির অনুকল্প।।
কারণ-সলিল হইতে মায়ের মূর্তি পরিগ্রহণ। তাই আজ পূজান্তে ভক্তগণ সেই মূর্তিকে জলে নিক্ষেপ করেন। সেই জলে মায়ের স্থূলদেহ মিশাইয়া গেল ভাবিয়া পরম পবিত্র জ্ঞানে সেই জল সকলের গাত্রে সিঞ্চন করেন। সকলকেই মায়ের সন্তান জানিয়া প্রেমে আলিঙ্গন করেন।
১৯৭১ সালে আমি হলিউডে transfer হই। আমার যদি শাস্ত্র বা সংস্কৃত ব্যাকরণের কোনাে প্রশ্ন থাকত, ভব মহারাজকে জানাতাম। তিনি সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিতেন। হলিউডের nun-দের সন্ন্যাস-ব্রহ্মচর্যের সময় স্বামী প্রভবানন্দজীর খাতায় অনেক পাঠান্তর দেখলাম। তারপর আমি ভব মহারাজকে লিখলাম বেলুড় মঠের সন্ন্যাস-ব্রহ্মচর্যের মন্ত্রগুলি আমাদের কপি করে পাঠাতে। তিনি সেগুলি পাঠিয়েছিলেন। আমি তা xerox করে আমেরিকার সব সাধুকে দিই।


Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Sarada Devi

Sri Sarada Devi

Swami Shivananda

Swami Shivananda

Swami Vivekananda

Swami Vivekananda


No comments

Powered by Blogger.