প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী ভাস্বরানন্দ (১৯০০-১৯৭৮) নেতাজীর(সুভাষচন্দ্র বসু) সম্মন্ধে অনেক খুঁটিনাটি ঘটনা লিখেছেন - Spirituality Religion

Header Ads

প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী ভাস্বরানন্দ (১৯০০-১৯৭৮) নেতাজীর(সুভাষচন্দ্র বসু) সম্মন্ধে অনেক খুঁটিনাটি ঘটনা লিখেছেন

প্রাচীন সাধুদের কথা _স্বামী ভাস্বরানন্দ (১৯০০-১৯৭৮)_ নেতাজীর(সুভাষচন্দ্র বসু) সম্মন্ধে অনেক খুঁটিনাটি ঘটনা লিখেছেন

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

ঠাকুরের উপদেশ .....শুচি বাই ভালাে না

শুচি বাই ভালাে না ভক্তির হানি হয়।
বিষ্ঠা ছুঁলেই বা কী, পেটের মধ্যেও তাে রয়েছে৷ 
আর দেখ , 'একটা গামলায় ডাল, ভাত, তরকারি, ছানা, মাখন রেখে দাও, দু-দিন পরে পচে দুর্গন্ধ হবে৷
 বিষ্ঠাও তাে তা-ই৷' আমিও তাে দেশে কত শুকনাে বিষ্ঠা মাড়িয়ে চলেছি৷
 দু-বার 'গােবিন্দ, গােবিন্দ' বললুম, ব্যস শুদ্ধ হয়ে গেল! মনেতেই শুদ্ধ, মনেতেই অশুদ্ধ মানুষ নিজের মনটি আগে দোষী করে নিয়ে তবে পরের দোষ দেখে৷
 পরের দোষ দেখলে তাদের কী হয়? - নিজেরই ক্ষতি৷
 যার শুদ্ধ মন সে সব শুদ্ধ দেখে অনেক সাধনা তপস্যা করলে, পূর্বজন্মের অনেক তপস্যা থাকলে, তবে এ-জন্মে মনটি শুদ্ধ হয়' বহু পাপ, মহাপাপ না হলে কী মন অশুদ্ধ হয়? শুচিবাই! মন আর কিছুতেই শুদ্ধ হচ্ছে না!.....আর শুচিবাই যত বাড়াবে তত বাড়বে৷ 
সবই যত বাড়াবে তত বাড়বে।
 সেকি গাে, তিনমাসের ছেলের মলমূত্রে ঘর অপবিত্র হয় - একথা তােমাকে কে বললে
ওরা নারায়ণের মতাে! সর্বদা মনে রেখাে , তার নাম নিয়েছি তাই আমি শুদ্ধ , আমি পবিত্র।

জয় মা........
Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

আমাকে তাঁহার সহিত অনতিবিলম্বে দেখা করিতে অনুরােধ করিলেন। তখন রাত্রি ৯টা হইবে। 
আমি ঐ গাড়িতেই তাঁহার সহিত দেখা করিতে গেলাম।
 গাড়ি বাড়ির দরজায় পৌঁছিতেই সশস্ত্র প্রহরীরা অতি সন্ত্রস্তভাবে আমাকে সুভাষবাবুর সেক্রেটারির সঙ্গে পরিচয় করাইয়া দিল।
 সেক্রেটারি মিস্টার হাসান আমাকে উপরে সুভাষবাবুর নিকট লইয়া গেলেন। 
পৌঁছিবামাত্রই তিনি অতি বিনীত ও শ্রদ্ধাবনত হইয়া প্রণাম করিয়া আমাকে বসিতে বলিলেন এবং সহকারীদের চা আনিতে আদেশ দিলেন।
 ইত্যবসরে কথা চলিতে লাগিল।
 তিনি আমাদের সিঙ্গাপুর আশ্রমের কাজকর্ম সম্বন্ধে জানিতে উৎসুক হওয়ায় আমি তাঁহাকে তৎসম্বন্ধে বিস্তারিত বলিলাম। 
তৎপরে চা-পান শেষ হইলে আবার কথাবার্তা আরম্ভ হইল।

এইরূপ কিছুক্ষণ কথাবার্তার পর আমি বলিলাম,
 “আমাদের মিশনের কার্যের ধারা আপনার তাে কিছুই অজ্ঞাত নয়। আমরাও মিশনের উদ্দেশ্য ও আদর্শ বজায় রেখে যতটা পারি আপনার কাজের সহায়তা করব, আপনি সে-বিষয়ে নিশ্চিন্ত থাকবেন।”
 অনুরুদ্ধ হইয়া নৈশ আহার সমাপনান্তে আশ্রমে ফিরিতে প্রায় রাত্রি বারােটা বাজিয়া গেল।
 তাঁহার সহিত দেখা করিতে গেলেই তিনি কখনও ভােজন না করাইয়া ছাড়িতেন না। 
তাঁহার আদর-আপ্যায়নে সত্য সত্যই কেহই মুগ্ধ না হইয়া থাকিতে পারিত না।...



Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna



নেতাজী শ্রীরামকৃষ্ণ মিশন বাটিতে আসিয়াছিলেন।
 সেই দিন ঠাকুরঘরে তিনি প্রায় আধঘণ্টাকাল ধ্যানাবিষ্ট হইয়া বসিয়াছিলেন। 
পরে পূজান্তে প্রসাদ গ্রহণ করিয়া কিছুক্ষণ ধরিয়া আলাপ-আলােচনাদি করেন।
 প্রায় একঘণ্টাকাল এইরূপে অতিবাহিত হইবার পর তিনি একটি ‘চণ্ডী’র জন্য বিশেষ ঔৎসুক্য প্রকাশ করায়, আমার চণ্ডীটি তাঁহাকে উপহার দেওয়ায় তিনি অতিশয় আনন্দ প্রকাশ করিলেন।
নেতাজী আমাদের মিশনের কাজের একজন বড় পৃষ্ঠপােষক ছিলেন। 
এখানকার মিশনের অনাথালয়ের জন্য আবেদন জানাইলে তিনি বাড়িঘর তৈরি করিবার জন্য যথেষ্ট সাহায্য করেন।
 বাড়ি নির্মাণের জন্য তিনি নিজে প্রায় ৫০,০০০ ডলার দান করেন এবং আরও ৫০,০০০ ডলার সংগ্রহ করিয়া দেন।
 তিনি স্বয়ং আসিয়া ‘Boys' Home'-এর দ্বার উদঘাটন করেন। 
অনাথালয়ের ছেলেমেয়ের জন্য অন্নবস্ত্রের ব্যবস্থাও তিনিই করিয়া দিয়াছিলেন; কারণ যুদ্ধকালীন Blackmarket Food Control-এর দিনে তিন শত ছেলেমেয়ের অন্নবস্ত্রের ব্যবস্থা করা আমাদের পক্ষে একটা কঠিন সমস্যা হইয়াছিল।


No comments

Powered by Blogger.