প্রাচীন সাধুদের কথা _নিরঞ্জন মহারাজের কথা - Spirituality Religion

Header Ads

প্রাচীন সাধুদের কথা _নিরঞ্জন মহারাজের কথা

প্রাচীন সাধুদের কথা _নিরঞ্জন মহারাজের কথা

Sri Ramakrishna,Niranjan Maharaj

Sri Ramakrishna

নিরঞ্জন মহারাজের কথা(Niranjan Maharaj)
শ্রীশ্রীঠাকুর যে পূর্ণব্রহ্ম নারায়ণ রূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন তা তিনি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করতেন এবং বলতেন যে-কেউ তাঁর ভাব গ্রহণ করবে।
 তার ভয়-ভাবনা নেই।
শ্রীশ্রীমার সম্বন্ধেও তিনি অতি উচ্চভাব পােষণ করতেন।
 তাঁর ধারণা ছিল তিনি মার কৃপায় সব করতে পারেন।
শ্রীশ্রীঠাকুর সম্বন্ধে তিনি একটা কথা বলতেন যে, যদি কোনাে ছেলে তাঁর কাছে এসে বলত, “বিবাহ করব না’ তাহলে ঠাকুর তাকে কোলে করে নাচতেন।

শ্রীশ্রীঠাকুরকে জীবন্ত, জাগ্রত, চৈতন্যময় এবং অতি আপনজন জেনে আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা করতে হয়, এটিই তাঁর শ্রেষ্ঠ পূজা। 
মন্ত্রতন্ত্রের দিকে তত জোর দিতেন না।।
Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

তিনি নিজে অত্যন্ত তেজস্বী পুরুষ ছিলেন, কাউকে গ্রাহ্যের মধ্যে আনতেন না। 
একমাত্র ঠাকুরই তাঁর আশ্রয় মনে করতেন। 
সকলের মধ্যে বেপরােয়া ভাব পছন্দ করতেন।
স্বামীজীর প্রবর্তিত সেবাদি কাজকর্মের প্রতি তাঁর অত্যন্ত শ্রদ্ধা ছিল এবং সকলকে নারায়ণজ্ঞানে সেবা করতে উৎসাহ দিতেন।
তিনি নিজে অত্যন্ত সত্যনিষ্ঠ ছিলেন এবং সকলে সত্যনিষ্ঠ হােক—এটা তাঁর আন্তরিক ইচ্ছা ছিল। 
যাদের কথার ঠিক থাকে না তাদের তিনি একেবারে পছন্দ করতেন না। 
-সম্বন্ধে একটা ঘটনা ঘটেছিল। 
কাশী সেবাশ্রমের প্রথম অবস্থায় সেবাদি কাজকর্ম দেখে কলকাতার জনৈক ধনাঢ্য ব্যক্তি অত্যন্ত সন্তুষ্ট হয়ে নিরঞ্জন(Niranjan Maharaj) মহারাজকে বলেন যে, তিনি একাই



Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna



সেবাশ্রমের জমি ও গৃহাদি নির্মাণের সমস্ত ব্যয়ভার বহন করবেন কিন্তু কয়েক দিন পরে তিনি তাঁর মত পরিবর্তন করেন এবং বলেন যে, উপস্থিত মাসিক ৫০০ টাকা করে আপনি নিন, পরে দেখা যাবে। 
তাঁর এই মত। 
পরিবর্তনে নিরঞ্জন মহারাজ(Niranjan Maharaj) অত্যন্ত ক্ষুন্ন ও বিরক্ত হন এবং তাঁর কাছ থেকে। 
এক পয়সাও গ্রহণ করেননি।
তাঁর হৃদয় অত্যন্ত উদার ছিল এবং আশ্রিতকে সর্বপ্রকারে সাহায্য করতেন। 
এজন্য কোনাে দিকে ভ্রুক্ষেপ করতেন না।
যুবকগণকে ত্যাগের পথে খুব উৎসাহিত করতেন, আবার এ-পথ যে অত্যন্ত কঠিন একথাও সঙ্গে সঙ্গে বলে সাবধান করে দিতেন।
 একবার জনৈক যুবকের গৃহত্যাগের সঙ্কল্প জানতে পেরে ঐ যুবকটির এক বন্ধুকে পত্রে লিখেছিলেন
সাধু হবে উত্তম কথা, কিন্তু পথ বড় কঠিন। ক্ষুরস্য ধারা নিশিতা দুরত্যয়া দুর্গং পথস্তৎ কবয়াে বদন্তি। ”
তিনি বলতেন
সন্ন্যাসীর পক্ষে মাধুকরী অন্ন প্রশস্ত।”
 তিনি নিজেও অনেকসময় মাধুকরী করতেন এবং মাধুকরীর অন্ন শ্রীশ্রীঠাকুরকে নিবেদন করে প্রসাদ ধারণ করতেন।
শরীরচর্চার দিকে তাঁর খুব উৎসাহ ছিল। 
যুবকদের শরীর যাতে মজবুত ও কর্মঠ হয় সে-বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে বলতেন।



No comments

Powered by Blogger.