ঢাকার পথে কামাখ্যা ও শিলং তীর্থভ্রমণে স্বামীজী কিছু নতুন তথ্য
ঢাকার পথে কামাখ্যা ও শিলং তীর্থভ্রমণে স্বামীজী কিছু নতুন তথ্য
Sri
Ramakrishna
|
ঢাকার পথে কামাখ্যা ও শিলং তীর্থভ্রমণে স্বামীজী কিছু নতুন তথ্য
বা উক্ত দিনেই বলে অনুমান করা হয়। কারণ পাণ্ডাদেরকে দেওয়া
একটি Certificate-এ
১৭ই এপ্রিল ১৯০১ তারিখ উল্লেখ
আছে।
এই তীর্থদর্শনকালে
স্বামীজী লক্ষ্মীকান্ত ও
শিকান্ত পাণ্ডার অতিথি
হয়েছিলেন।
লক্ষ্মীকান্ত
পাণ্ডার দৌহিত্র ও রামদাস
পাণ্ডার পুত্র নিরঞ্জন পাণ্ডা
বর্তমানে জীবিত আছেন, তাঁর
মুখ থেকে শােনা যায় যে, স্বামীজী
পার্বতীপুর, আমিনগাঁও
পাণ্ডুঘাট হয়ে কামাখ্যা
আসেন ও তিন দিন এখানে অবস্থান
করেন।
তাঁর বাসগৃহের দোতলার
একটি ঘর দেখিয়ে বলেন যে এই
ঘরে স্বামীজী ছিলেন।
তবে
পুরােনাে বাড়ী একেবারে পুড়ে
যায়, কিন্তু
চারটে কাঠের থাম দেখিয়ে বলেন
যে এগুলি সে কালে ছিল।
এসব কথা
তার পিতার মুখে শােনা।
তবে
স্বামীজী তাদের সেবা ও ব্যবহারে
সন্তুষ্ট হয়ে যে Certificate দিয়ে
যান, তার
একটি ফটোকপি তাদের কাছে আছে।
তাতে স্বামীজী লিখেছেন :
"Guwahati, 17 April 1901. I have great pleasure in certifying the great amiability and helpfulness of the brothers Sivakanta and Lakshmikanta Pandas of Sri Kamakhya Pitham They are men who help most and are satisfied with the least.I can unhesitatingly recommend them to the Hindu public visiting the most holy shrine."
(“কামাখ্যা তীর্থে শিবকান্ত ও লক্ষ্মীকান্ত পাণ্ডা ভ্রাতৃদ্বয়ের বন্ধুভাবাপন্নতা ও সহযােগিতার আমি অত্যন্ত আনন্দহৃদয়ে প্রশংসা করছি।তারা এমন মানুষ যারা সর্বাধিক সাহায্য করতে চান অথচ সব থেকে কমেই সুখী, আমি নির্দ্বিধায় তাদেরকে এই পবিত্র তীর্থে আসা পুণ্যার্থীদের জন্য সুপারিশ করছি।”—লেখককৃত বঙ্গানুবাদ)
গৌহাটি
থেকে ভগ্নস্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের
আশায় শৈলশহর শিলং-এ
যাওয়া স্থির করেন স্বামীজী।
শিলং তখন আসাম সরকারের প্রধান
কেন্দ্র ছিল।
স্বামীজী তাঁর
শিলং ভ্রমণ সম্বন্ধে নিজেই
বলেছিলেন—“শিলং পাহাড়টি
অতি সুন্দর।
সেখানে চীফ কমিশনার
কটন সাহেবের সঙ্গে দেখা হয়েছিল।
তিনি আমায় জিজ্ঞাসা
করেছিলেন স্বামীজী! ইউরােপে
ও আমেরিকায় বেড়িয়ে এই দূর
পর্বতপ্রান্তে আপনি কী দেখতে
এসেছেন?
কটন
সাহেবের মতাে অমন সদাশয় লােক
প্রায় দেখা যায় না।
আমার
অসুখ শুনে সরকারী ডাক্তার
পাঠিয়ে দিয়েছিলেন দু’বেলা
আমার খবর নিতেন।
সেখানে বেশি
লেকচার-ফেকচার
করতে পারিনি, শরীর
বড় অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।”
যাই
হােক, কটন
সাহেবের আমন্ত্রণে স্বামীজী
সদলবলে গৌহাটি থেকে শিলং এলেন।
এখানে আমরা ১২ ই মে, ১৯০১
খ্রিস্টাব্দে লেখা স্বামী
ব্রহ্মানন্দের ডায়েরী হ’তে
কিছু অংশ উদ্ধৃত করব।
তিনি
লিখছেন “স্বামীজী, গুপ্ত, স্বামীজীর
মা, বােন
ও খুড়ী এবং রামদাদার স্ত্রী
শিলং থেকে সকালে ফেরৎ এসেছেন।
রাতে নিত্যানন্দ এবং কানাই
গােয়ালন্দ থেকে এসেছেন।”
যে
গৃহে স্বামীজী ছিলেন সেটি
শিলং শহরের লবণ অঞ্চলে অবস্থিত।
এই গৃহের মালিক ছিলেন।
রায়
সাহেব কৈলাসচন্দ্র দাস।
রায়
সাহেব কৈলাসচন্দ্র দাস ও
যতীন্দ্রনাথ বসু স্বামীজী
ও তাঁর সঙ্গের সকলকে টাঙ্গায়
করে এই গৃহে নিয়ে এলেন।
এক
রাতের জন্য তারা একটি পথপার্শ্বস্থ
কুঁড়েঘরে রাত কাটালেন।
লবণে
কৈলাসচন্দ্রের বাড়িতে
কৈলাসচন্দ্র ও তার সঙ্গিসাথিরা
প্রায় ২০-২৫
দিন কাটালেন।
এখানে উল্লেখ্য
যে “এই সময় হাজী কাসিমুদ্দীন
মােল্লা টাঙ্গা-সার্ভিসের
মালিক ছিলেন।
গৌহাটি-শিলংটাঙ্গা-সার্ভিসের ৬৪মাইল দূরত্বে
- গৌহাটি,
- জোরাবাট,
- বায়ারনিহাট,
- উমলিং,
- নােংপাে ,
- উমরান,
- নয়া বাংলাে,
- সুমের,
- উমিয়াম ও
- শিলং
এই দশ জায়গায় ক্লান্ত
ঘােড়াদের বিশ্রামের ও ঘােড়া
Sri
Ramakrishna
|
বদলের
ব্যবস্থা ছিল।
এই সার্ভিসটির
নাম ছিল ‘শিলং-গৌহাটি
নিত্যযাত্রি সার্ভিস'
এর
ভাড়া
৩০ টাকা যা কিনা সে সময়ের
পরিপ্রেক্ষিতে বেশ বেশী।
যখন
স্বামীজী শিলং-এর
উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলেন,
হাজী
কাসিমুদ্দীন মােল্লা ব্যক্তিগতভাবে
তার যত্ন নিলেন এবং স্বামীজী
ও তাঁর দলটির জন্য খাদ্যেরও
ব্যবস্থা করলেন।
এ উদ্দেশ্যে
একটি বিশেষ টাঙ্গারও ব্যবস্থা
করা হয়েছিল।
এই সম্পূর্ণ
তথ্যটি আমরা পাচ্ছি শিলং-নিবাসী
হাজী কাসিমুদ্দীন মােল্লার
বর্তমান বংশধর আফজল হােসেনের
কাছ থেকে
‘লবণ
হাউস'-
শিলং-এ
থাকাকালীন স্বামীজী যে গৃহে
অবস্থান করেছিলেন,
বিবেকানন্দ
ভাবানুরাগীদের কাছে আজ তা
তীর্থস্থান।
তখন বাড়ীটির
চাল ছিল খড়ের,
সামনে
ছিল একটি খােলা বারান্দা।
পরে অবশ্য বাড়ীটিকে অসমিয়া
আদলের বাড়ীতে রূপান্তরিত
করা হয়,
কিন্তু
অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে
বাড়ীটির প্রায় সম্পূর্ণই
বর্তমানে ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।
বাড়ীর সম্মুখভাগে বসানাে
একটি স্মৃতিফলক স্বামীজীর
এই গৃহে বসবাসের সাক্ষ্য বহন
করছে।
হেনরি
কটন সম্পর্কে স্বামীজী অত্যন্ত
উচ্চ ধারণা পােষণ করেছেন।
এর
সঙ্গে আলাপ পরিচয়ের পরে
স্বামীজী বলেছিলেন-
“এই
একটি লােক ভারতের অভাব অভিযােগ
ঠিক ঠিক বুঝেছেন এবং প্রকৃতই
এ দেশের কল্যাণ কামনা করেন।
সকল ভারতবাসীর প্রীতিলাভের
যােগ্য মানুষ ইনি।)
স্যার
হেনরি কটনের অনুরােধে স্বামীজী
শিলং-এর
কুইনটন হলে বক্তৃতা দেন যেখানে
বর্তমানে রামকৃষ্ণ মিশন
বিবেকানন্দ কালচারাল সেন্টার'
প্রতিষ্ঠিত
হয়েছে।
যেহেতু স্বামীজীর
এই বক্তৃতাগুলির কোনটিই
লিপিবদ্ধ হয়নি তাই এ ক্ষেত্রে
পদ্মনাথ ভট্টাচার্য (রামকৃষ্ণ
বিবেকানন্দ প্রসঙ্গ-এর
লেখক এবং কটন কলেজের তৎকালীন
অধ্যাপক)
প্রদত্ত
সংবাদের উপরেই আমাদের অনেকাংশে
নির্ভর করতে হয়।
ব্রাহ্মণদের
বিরুদ্ধে বিবেকানন্দের
সমালােচনার শােধ তুলতে বই
লেখা পদ্মনাথ ছিলেন উদারপন্থী
ফলিত বেদান্তের প্রচারক
বিবেকানন্দের কট্টর সমালােচক।
তিনি লিখছেন—“অতঃপর স্বামীজী
শিলং চলিয়া যান।
সেখানেও
তাঁহার অবস্থান ও অভ্যর্থনার
জন্য বাঙালী ভদ্রলােকগণ চাঁদা
তুলিয়াছিলেন।
সেখানে একদিন
মাত্র বক্তৃতা হইয়াছিল।
তারপর শ্বাসকষ্টে অসুস্থ
হইয়া পড়াতে বক্তৃতা দিতে
পারেন নাই,
বৈঠকি
আলােচনা অবশ্যই হইয়াছিল।
লােকপ্রিয় শাসনকর্তা (স্যার)
হেনরি
কটন চীফ কমিশনার ছিলেন।
তিনি
স্বামীজীর খুব তত্ত্বাবধান
করিয়াছিলেন।
তিনি সভায়
যথেষ্ট প্রশংসাবাদ করিলে
স্বামীজী বক্তৃতারম্ভে
বলিলেন-“তীর্থস্থান
পরিভ্রমণই সন্ন্যাসীর কর্তব্য,
তাই
কামাখ্যা হইয়া শিলং-এ
আসিয়াছি।
এ স্থানেও হেনরি
কটনের ন্যায় সাধুপুরুষ
রহিয়াছেন—তাই ইহাও একটি
তীর্থ তীৰ্থীকুন্তি সাধকঃ
ইত্যাদি।”
স্বামীজীর
শিলং বক্তৃতার খবর বেরিয়েছিল
সমকালীন খাসি মাসিক পত্রিকা,
‘উ
খাসি ম্যান’-য়।
এর সম্পাদক উ হােমুরায়
ডিয়েংডাে আগে অনেক সংকীর্ণবুদ্ধি
খ্রিস্টান ছিলেন বটে,
কিন্তু
স্বামীজীর বক্তৃতার প্রভাবে
তিনি পরবর্তীকালে জাতীয়তাবাদী
হয়ে ওঠেন।
‘উ খাসি ম্যান’-য়
১৯০১ খ্রিস্টাব্দে মে সংখ্যায়
স্বামীজী ও তাঁর বক্তৃতা
সংক্রান্ত যে খবর বেরােয়
তার ইংরাজী অনুবাদ করে রামকৃষ্ণ
সংঘের মাসিক পত্রিকা ‘বেদান্ত
কেশরী’-তে
প্রকাশ করেন পূজনীয় স্বামী
গােকুলানন্দজী।
সেটির লেখককৃত
বঙ্গানুবাদ নিম্নরূপ—“সম্প্রতিকালে
শিলং-এ
একজন হিন্দু সন্ন্যাসী এসেছিলেন
যার নাম স্বামী বিবেকানন্দ।
তিনি হিন্দু ধর্মের একজন
প্রবক্তা বলে সুপরিচিত।
বাস্তবিকই তিনি একজন মহান
Sri
Ramakrishna
|
পণ্ডিত।
তিনি সমগ্র বিশ্ব বিশেষত সমগ্র
ইউরােপ ও আমেরিকা পরিভ্রমণ
করেছেন।
এমনকি এই সকল দেশেও
তার বক্তৃতার আকর্ষণে বহু
মানুষ শিষ্য হয়েছিলেন।
তার
বক্তৃতাগুলির ভিত্তি ছিল
হিন্দ ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ
বেদ।
১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে
শিকাগাে শহরে আয়ােজিত বিশ্বধর্ম
সম্মেলনে যােগ দিতে বিভিন্ন
ধর্মের প্রতিনিধিরা জড়াে
হন।
সেখানে তারা নিজের নিজের
ধর্ম প্রসঙ্গে বক্তৃতা
দিয়েছিলেন।
হিন্দুধর্মের
প্রতিনিধি হিসাবে সেখানে
ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ।
স্বামীজী বর্তমানে শিলং-এ।
খুবই দুঃখের বিষয় যে ২৭ এপ্রিল,
১৯০১
এখানে পৌঁছানাের অব্যবহিত
পরেই,
বক্তৃতা
করাকালীন তিনি অসুস্থ হয়ে
পড়েন এবং এখনও তিনি পুরােপুরি
সুস্থ হননি।
এই
বড় হলটি শ্রোতায় পরিপূর্ণ
ছিল।
স্থানের অভাবে কিছু
লােককে বাইরে দাঁড়াতে হয়
।
স্বামীজীর বক্তৃতার বিষয়
ছিল সনাতন হিন্দু ধর্ম।
তিনি
এই বলে শুরু করেছিলেন যে কোন
ধর্মের যদি শাস্ত্রভিত্তি
না থাকে তাহলে সেটির টিকে থাকা
সম্ভব নয়।
তাঁর এই গবেষণালব্ধ
উপলব্ধির উদাহরণস্বরূপ তিনি
গ্রিক,
রােমান
ও অন্যান্য কয়েকটি ধর্মের
কথা বলেন।
যদিও তাদের ধর্মগুলি
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং
সহজ আচার-অনুষ্ঠানের
ভিত্তিতে নির্মিত হয়েছিল।
দীর্ঘ যাত্রায় সেগুলি টিকে
থাকেনি,
কারণ
তাদের কোন পবিত্র ধর্মগ্রন্থ
বা শাস্ত্র নেই।
কিন্তু যখন
কোন ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ বা
শাস্ত্র থাকে,
তখন
যদি-বা
তারা কখনাে দিকভ্রান্তও হন
যেমন ইহুদিরা হয়েছিল তবুও
তাদের ধর্ম টিকে থাকে।
হিন্দুদের
ক্ষেত্রেও অনুরূপ কথা বলা
যায়।
হিন্দুরাও অনেক সময়
মনুষ্যসৃষ্ট বৈচিত্র্যপূর্ণ
আচার-অনুষ্ঠান
দ্বারা বিভ্রান্ত হন,
কিন্তু
যতদিন পর্যন্ত তাদের ধর্মগ্রন্থ
বেদ আছে ততক্ষণ আশা আছে।
স্বামী
বিবেকানন্দ তাঁর বক্তৃতায়
নিছক ধর্মীয় উৎসবাদি যে
কর্মছাড়া মূল্যহীন,
সে
কথার উপরেও জোর দিলেন।
কর্মপ্রবণ
একজন মানুষ যদি কোন অপরাধও
করে,
তবু
সে একজন নিষ্কর্ম ব্যক্তির
থেকে শ্রেয়।
কারণ অলস এবং
কর্তব্যবােধহীন একজন মানুষ
একটি গাছ অথবা একটি ষাঁড়ের
থেকে পৃথক নয়।
তিনি বক্তৃতার
সময়ে সংস্কৃত ভাষায় বেদ
থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে ইংরাজীতে
তার অনুবাদ দিচ্ছিলেন।
তিনি
সাধারণ মানুষের উন্নতির
উদ্দেশ্যে অনেক কথা বললেন।
তিনি মানুষের সকর্মকে তিনটি
ভাগে ভাগ করে আলােচনা করলেন।
প্রথমত
দুঃখীদের প্রতি সমবেদনা অনুভব
করে তাদের প্রাথমিক প্রয়ােজন
খাদ্য ও বস্ত্রের যােগান
দেওয়া;
দ্বিতীয়ত
জনসাধারণের মধ্যে শিক্ষাবিস্তার
করা যেমন বিদ্যালয়ে পড়ানাে
এবং
তৃতীয়ত ঈশ্বর উপলব্ধির পথে মানুষের আত্মাকে চালিত করা।
তৃতীয়ত ঈশ্বর উপলব্ধির পথে মানুষের আত্মাকে চালিত করা।
শেষােক্ত এই কর্মটির
উপরেই তিনি সর্বাধিক গুরুত্ব
দিয়েছেন।
এজন্যই তিনি বলেছেন
ব্রাহ্মণদের মতাে ব্যক্তিদের
শ্রদ্ধা করা উচিত,
কারণ
তারা আত্মতত্ত্বের প্রচারক।
তিনি প্রত্যেককে তার আশেপাশের
মানুষকে আলােকিত ও সাহায্য
করতে উৎসাহ দিলেন।
যারা
বিদ্যালয় যেতে সক্ষম,
তারা
যেন আরাে শিক্ষার সুযােগ পান।
কিন্তু যারা সেটুকু পারেন
না,
তাঁরা
অন্তত অক্ষরজ্ঞানটুকু লাভ
করুন।
তিনি এই বলে বক্তৃতা
শেষ করলেন বর্তমানে।
ভারতে
আমাদের কর্তব্য,
জনসাধারণের
চোখ খুলে দেওয়া।
তাঁর
সকল কথা এবং যা কিছু তিনি বেদ
হতে উদ্ধৃত করলেন,
সমস্ত
কিছু থেকেই একথা স্পষ্ট
প্রতীয়মান যে তিনি পৃথিবীর
সকল মানুষকে আপনজন বলে মনে
করেন।
নিম্নবর্ণের হিন্দু
ব’লে কারােকেই ঘৃণা করা উচিৎ
নয়।
তিনি বলেন যে বেদ মানুষকে
সত্যের শিক্ষা দেয়।
সম্ভবত
এ উদ্দেশ্যেই তিনি সমস্ত বিশ্ব
পরিভ্রমণ করেছিলেন এবং প্রচার
করেছিলেন।
এই
বক্তৃতার একজন প্রত্যক্ষদর্শী
বীরেন্দ্রকুমার মজুমদার তার
স্মৃতিচারণায় বলছেন ঃ “১৯০১
সালের এপ্রিল অথবা মে মাস।
স্বামীজী শিলং-এ
রয়েছেন।
সেখানে তিনি একটা
জনসভায় বক্তৃতা
No comments