প্রাচীন সাধুদের কথা
প্রাচীন সাধুদের কথা
Sri
Ramakrishna
|
দু-জন
ব্রহ্মচারী বেলুড় গ্রামে
এক ভক্ত-বাড়িতে
যাই। তার অনেক আমগাছ ছিল। সে
আমাদের আম খাওয়ার নেমন্তন্ন
করেছিল। এদিকে সন্ধ্যা হয়ে
গিয়েছে। আমার duty
ছিল
স্বামীজীর ঘরে প্রদীপ জ্বালানাে।
কিন্তু সেদিন প্রদীপ না দেখে
মহাপুরুষজী খোঁজ নিয়ে জানলেন
আমি আলাে দিইনি। তিনি তখন আরেক
জন সাধুকে আলাে জ্বালাতে
বললেন। এদিকে আমি যখন মঠে
পৌঁছালাম,
ভাব
মহারাজ (স্বামী
রামেশ্বরানন্দ)
বললেন,
যাও,
আজ
তােমার কপালে কিছু আছে। তােমাকে
মঠ থেকে বিদায় করে দেবেন।
আমি মহাপুরুষ মহারাজের কাছে
কাঁপতে কাঁপতে গেলে তিনি
বললেন,
“দেখ,
তুমি
নতুন এসেছ। ঠাকুর-দেবতার
কাজে অবহেলা করতে নেই। তুমি
আজ স্বামীজীর ঘরে আলাে দাওনি।
মহা অপরাধ করেছ। আর যদি ওরকম
হয়,
তােমাকে
বাড়িতে পাঠিয়ে দেব। এ কাজের
ভেতর দিয়েই চিত্তশুদ্ধি,
ভক্তিলাভ
হবে। তারপর এ-বিষয়ে
আর কিছু বলেননি।
“আরেক
বার আমাদের গ্রামের একটি ছেলে
মঠে এসেছিল। মহাপুরুষজী তাকে
মঠে থাকতে দেননি। আমি ভাব
মহারাজের কাছে খবর পেয়ে
বেলুড়ে
Sri
Ramakrishna
|
“আরেক
বার আমাদের গ্রামের একটি ছেলে
মঠে এসেছিল। মহাপুরুষজী তাকে
মঠে থাকতে দেননি। আমি ভাব
মহারাজের কাছে খবর পেয়ে
বেলুড়ে রথতলায় তাকে খুঁজে
পাই এবং রাত নটার সময় মঠে
নিয়ে আসি। তার খাওয়ার ও
থাকবার ব্যবস্থা করি। তার
পরদিন সকালে মহাপুরুষ মহারাজকে
সব বলি। তিনি স্নেহভরে বললেন,
‘বেশ
করেছিস। রাতে খেতে দিয়েছিস
তাে?
যে
ক-দিন
থাকে তার একটু দেখাশােনা করিস।
“হরি
মহারাজকে দর্শন করিনি। শরৎ
মহারাজকে অনেক বার দেখেছি।
মঠে ট্রাস্টি মিটিং-এ
আসতেন। মিটিং-এর
পর তিনি সেখানে বসে বেশকিছু
সময় ধ্যান করতেন। আমি তখন
মিশন অফিসে কাজ করি। একবার
উদ্বোধনে যাই। তিনি আমাকে
একটা মােটা Sanskrit
dictionary দিয়ে
বললেন,
“তুমি
এখানা মঠে নিয়ে যেতে পারবে?
আমি
বললাম,
হ্যাঁ,
মহারাজ।
নিশ্চয়ই পারব।
“ঠাকুরের
সন্তানদের সঙ্গ পেয়ে আমাদের
জীবন ভরপুর হয়ে গিয়েছে।
মঠে join
করে
উঠান ঝাড় দিয়েছি,
অফিসে
কাজ করেছি। ডিসপেনসারিতে কাজ
করেছি। ঠাকুরের শিষ্যদের
সেবা করে প্রচুর আনন্দ পেয়েছি।
তাদের ভালবাসা ভুলবার নয়।”
Sri
Ramakrishna
|
Sri
Ramakrishna
|
No comments