প্রাচীন সাধুদের কথা_স্বামী সত্যস্বরূপানন্দ(বিশেষ মহারাজ)১৯০০-১৯৮৭ - Spirituality Religion

Header Ads

প্রাচীন সাধুদের কথা_স্বামী সত্যস্বরূপানন্দ(বিশেষ মহারাজ)১৯০০-১৯৮৭

স্বামী সত্যস্বরূপানন্দ(বিশেষ মহারাজ)১৯০০-১৯৮৭

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna


স্বামী সত্যস্বরূপানন্দ,বিশেষ মহারাজ(১৯০০-১৯৮৭)


১৯৭০ সালে মায়াবতী যাওয়ার কালে আলমোেড়ায় কয়েক দিন ছিলাম।
 ঐ সময় স্বামী সত্যস্বরূপানন্দ বা বিশেষ মহারাজের সঙ্গে পরিচয় হয়।
 তাঁর সঙ্গে রােজ বিকালে বেড়াতে যেতাম এবং একদিন বশী সেনের বাড়িতেও গিয়েছিলাম। 
বশীবাবু আমাকে রাজা মহারাজের এই ঘটনাটা বলেন।

তিনি একদিন রাজা মহারাজকে বলেন
মহারাজ, আপনি কৃপণ।”
 মহারাজ প্রশ্ন করেন
কেন কৃপণ বললি?” 
বশীবাবু উত্তর দেন
যার প্রচুর অর্থ আছে, কিন্তু কাউকে দেয় না—সে কৃপণ। আপনি ইচ্ছা করলে অপরকে ঈশ্বরদর্শন করিয়ে দিতে পারেন, কিন্তু আপনি তা দিচ্ছেন না—তাই আপনি কৃপণ।”
 মহারাজ সঙ্গে সঙ্গে গম্ভীর হয়ে গেলেন এবং বললেন
কে চায়? এমনকী সাধু-ব্রহ্মচারীরা এসে বলে
মহারাজ, দীক্ষা দিন, ব্রহ্মচর্য দিন, সন্ন্যাস দিন। কেউ বলে না ভগবানকে পাইয়ে দিন।”
Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

বিশেষ মহারাজ মাঝে মাঝে মায়াবতীতে আসতেন।

 তিনি নানারকম রান্না জানতেন এবং মিষ্টি তৈরি করতেন। বিশেষ মহারাজ ছিলেন শ্রীশ্রীমায়ের কৃপাপ্রাপ্ত।
 পরবর্তিকালে তিনি কাশী অদ্বৈত আশ্রমে বাস করতেন।
একদিন বিকালে বিশেষ মহারাজের সঙ্গে আলমােড়ার রাস্তায় হাঁটছি।
 অন্য সম্প্রদায়ের এক পরিচিত সাধু বিশেষ মহারাজকে সম্ভাষণ করে বললেন
দেহাকারাবৃত্তিঃ মৃত্যুঃ—দৈহিক বিষয়ে চিন্তা করাটাই মরণ।”
 সত্যি বলতে কী, দেহেরই মরণ আছে, আত্মা অবিনাশী। 
ঐ সাধুর কথাটা আমার মনে লেগে রয়েছে।
১৯৮৬ সালে আমেরিকা থেকে দেশে ফিরে কাশীতে কয়েক দিন ছিলাম। 
-কালে কয়েক জন প্রাচীন সাধুকে interview করি এবং তাঁদের কথা ক্যাসেট টেপে ধরে রাখি। 
সেসব টেপ থেকে এসব স্মৃতিকথা লেখা হলাে।
 ১৯/১০/১৯৮৬ ও ২৬/১০/১৯৮৬ তারিখে স্বামী সত্যস্বরূপানন্দকে কাশীর অদ্বৈত আশ্রমে প্রশ্ন করে তাঁর স্মৃতিকথা টেপ করি।







Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna



আমি—মহারাজ, আপনি শ্রীশ্রীমায়ের মন্ত্রশিষ্য। তাঁর স্মৃতিকথা বলুন।
মহারাজ বললেন, “সিলেটে আমাদের একটা group ছিল।
 সেখানে ঠাকুর-মা-স্বামীজীর বিষয়ে আলােচনা হতাে।
 আমার বয়স তখন উনিশ। 
আমি ঐখানে ঠাকুর-মার বিষয়ে জানতে পারি।
 প্রেমেশ মহারাজ, যােগেশ মহারাজ (স্বামী অশােকানন্দ) প্রমুখ সাধুরা খুব অনুপ্রেরণা দিতেন। 
প্রবুদ্ধানন্দ স্বামী ১৯১৭ সালে মায়ের কাছে দীক্ষা পান এবং সন্ন্যাসী হওয়ার চেষ্টা করেন। 
তাঁর বাবা তাঁকে জয়রামবাটী থেকে ধরে আনেন।
 মা তাঁকে বলেন, বাবা, তােমার অষ্টম-কষ্টম কেটে যাবে।'
তাঁর কাছে মায়ের কথা শুনে আমি মাকে চিঠি লিখলাম।
 তিনি আমাকে তাঁর কাছে যেতে অনুমতি দিলেন।
 আমার কোনাে টাকাপয়সা ছিল না।
 আমি স্বামী অশােকানন্দকে (তিনি তখন সাধু হননি) বললাম, আমার টাকা নেই।
 মার কাছে যাব। 
তিনি স্কুলে মাস্টারি করতেন।
 তিনি কেশববাবু নামে মায়ের এক শিষ্যকে বলায়, ঐ ব্যক্তি আমাকে কুড়ি টাকা দিলেন। 
প্রবুদ্ধ মহারাজ কলকাতার এক ভক্তকে আমার থাকার জন্য একটা চিঠি দিয়েছিলেন।
 আমি কলকাতায় পৌঁছালে তিনি।
 আমাকে একটা হােটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেন এবং তার পরদিন হাওড়া স্টেশনে নিয়ে যান।
 সেখানে বাঁকুড়া যাওয়ার একটা ছেলের সঙ্গে পরিচয়

No comments

Powered by Blogger.