প্রাচীন সাধুদের কথা_স্বামী স্বপ্ৰকাশানন্দ(১৮৯০-১৯৮৩)
স্বামী স্বপ্ৰকাশানন্দ(১৮৯০-১৯৮৩)
Sri
Ramakrishna
|
স্বামী
স্বপ্ৰকাশানন্দ(১৮৯০-১৯৮৩)
স্বামী
স্বপ্রকাশানন্দ বা তপস্বী
সুরেন মহারাজকে কাশী সেবাশ্রমের
১০ নম্বর ওয়ার্ডে ১৯৭৭ সালের
২ অক্টোবর দর্শন করি। ইনি
স্বামী ব্রহ্মানন্দের শিষ্য
এবং জীবনের অধিকাংশ সময়
তপস্যা ও শাস্ত্রচর্চা করেছেন।
দেখলাম শরীর দুর্বল কিন্তু
মুখে হাসি।
সুরেন
মহারাজকে কতকগুলি প্রশ্ন
করেছিলাম;
তিনি
সেগুলির উত্তর দেন।
প্রশ্ন—রাজা
মহারাজ সাধনভজন সম্বন্ধে কী
বলতেন?
উত্তর-মহারাজ
বলতেন,
‘জপ
করে যা। জপের দ্বারাই সব হবে।
প্রশ্ন—কোন্
জপ প্রশস্ত—মানস না উপাংশু
(কেবল
ঠোঁট নড়ে)?
উত্তর—মানস
জপ প্রথমে হয় না। উপাংশু ভাল।
পরে অভ্যাস করতে করতে মানস
হয়।
Sri
Ramakrishna
|
প্রশ্ন-জপে
কী করে আস্বাদ পাওয়া যায়?
উত্তর—অভ্যাস
করতে হয়। ইষ্টে আসক্তি থেকে
আস্বাদ হয়। আন্তরিক জপ করতে
হয়। জপধ্যান কখনাে ছাড়তে
নেই।
প্রশ্ন—আপনি
এখন কীভাবে জপ করেন?
উত্তর—মানস
জপ করি।
প্রশ্ন—আপনার
স্মরণ-মনন
আছে?
উত্তর-হ্যাঁ,
বেশিরভাগ
সময় স্মরণ হয়। কম সময় ভুলে
যাই due
to ill health.
প্রশ্ন—আপনি
হরি মহারাজের অনেক সঙ্গ করেছেন।
তাঁর কথা একটু বলুন।
উত্তর—তিনি
আধ্যাত্মিক জগতে মগ্ন থাকতেন।
জপধ্যান করতে বলতেন। জপধ্যান
না করলে বুড়াে বয়সে কী নিয়ে
থাকবে?
শােনাে,
তােমাকে
একটা
Sri
Ramakrishna
|
ঘটনা
বলি। একদিন বিকালে হরি মহারাজের
সঙ্গে কনখল থেকে ব্রহ্মকুন্ডে
বেড়াতে
যাই। পথের পাশে এক দোকানে
জিলিপি ভাজছিল। মহারাজ তা
দেখে দাঁড়িয়ে পড়লেন এবং
জোরে বললেন,
‘সুরেন,
জিলিপি
আমাদের ideal—জিলিপি
আমাদের ideal.
দেখ,
এই
লােকটি জিলিপি ঘিয়ে ভেজে
চিনির রসে ফেলছে। আমাদের
লক্ষ্য জ্ঞানমিশ্রা ভক্তি।
আমাদের মনকে জ্ঞানবৈরাগ্য
দিয়ে ভেজে ভক্তিরসে ডােবাতে
হবে। ঠাকুর এটি নিজ জীবনে পালন
করে দেখিয়ে গিয়েছেন।
এসব
প্রাচীন তপস্বী সন্ন্যাসী
রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের আধ্যাত্মিক
ধারা ধরে রেখেছিলেন। এখন আর
তাঁরা আমাদের মধ্যে নেই। তাই
তাঁদের স্মৃতিচারণ আমাদের
মূল্যবান সম্পদ। স্বামী
পবিত্ৰানন্দ ছিলেন স্বামী
ব্রহ্মানন্দের শিষ্য। তিনি
সুরেন মহারাজের কাছে জানতে
চান তাঁর কীভাবে দীক্ষা হয়েছিল।
এর উত্তরে সুরেন মহারাজ লেখেন
?
No comments