প্রাচীন সাধুদের কথা_স্বামী স্বপ্ৰকাশানন্দ(১৮৯০-১৯৮৩)
প্রাচীন সাধুদের কথা_স্বামী স্বপ্ৰকাশানন্দ(১৮৯০-১৯৮৩)
Sri
Ramakrishna
|
Ramakrishna
Ashrama Kishenpur,
P.O. Rajpur Dt. Dehradun, U.P.
6
May 1968
প্রিয়
পবিত্ৰানন্দজী,
...আপনি
যে-বিষয়
জানিতে চাহিয়াছেন সে-বিষয়
কিছু লিখিতেছি। আমার যেদিন
দীক্ষা হয় সেদিন আমরা দুই
জন দীক্ষার্থী ছিলাম। আমি ও
আরেক জন সন্ন্যাসী। পুরাতন
ঠাকুরঘরের পিছনে ধ্যানঘরে
আমাদের দীক্ষা হয়। তখন
শ্রীমহারাজ মঠে এই ধ্যানঘরেই
দীক্ষা দিতেন। দীক্ষা দিবার
পূর্বে শ্রীমহারাজ অর্ধ ঘণ্টার
মতাে সময় পূজা করিতেন। আমাদের
বেলায়ও শ্রীমহারাজ ধ্যানঘরে
প্রবেশ করিয়া পূজা করিলেন।
আমরা দুই জনে ধ্যানঘরের বাহিরে
দরজার সামনে অপেক্ষা করিতেছিলাম।
পূজা সমাপনান্তে শ্রীমহারাজ
প্রথমে সন্ন্যাসীকে ডাকিলেন।
সন্ন্যাসী দীক্ষা গ্রহণ করিয়া
কিছু সময় পরে বাহিরে চলিয়া
আসিলেন। পরে আমার নাম ধরিয়া
ডাকিলেন। আমি প্রবেশ করিতেই
আমাকে নির্দিষ্ট আসনে বসিতে
ইঙ্গিত করিলেন। আমি প্রণামান্তে
আসনে বসিলাম। প্রথমে শ্রীমহারাজ
আমার হাতে পুষ্প দিয়া পূজার
ঘটে অঞ্জলি দিতে বলিলেন। আমি
অঞ্জলি নিবেদন করিলাম।
Sri
Ramakrishna
|
শ্রীমহারাজ
ঠোঁট নাড়িয়া কী মন্ত্র
বলিলেন তাহা শুনিতে ও বুঝিতে
পারিলাম না। পরে দীক্ষামন্ত্র
প্রদান করিলেন। কেমন করিয়া
মন্ত্র হাতে জপ । করিতে হয়
তাহা দেখাইয়া দিলেন। রােজ
নিত্য একটা জপসংখ্যার কথাও
বলিয়া দিলেন,
আর
বলিলেন,
“রােজ
নিত্য জপ করিবে,
একদিনও
যেন। বাদ না যায়। যত বেশি পার
জপ করিবে। কাশী হইতে ১০৮ এক
ছড়া মালা আনাইয়া লইও।” তাহার
পর বলিলেন,
“এক
বৎসর ধরিয়া প্রতি সােমবার
শিবমন্দিরে গিয়া ভাবের সহিত
শিবপূজা করিবে পুষ্প বিল্বপত্র
দিয়া। আর ঐদিন হবিষ্যান্ন
ভােজন করিবে। রাত্রে একটু
দুধ বা ফলমিষ্টি খাইও। পূজা
ভাল করিয়া কাহারও নিকট হইতে
শিখিয়া লইও।”
তাহার
পর বলিলেন,
“জপের
সঙ্গে হৃদয়মধ্যে জ্যোতির্ময়
ইষ্টমূর্তির ভাৱনা করিবে।
তাহার পর জপ না করিয়া খালি
ইষ্টমূর্তির ধ্যান করিতে
অভ্যাস করিও। হৃদয়মধ্যে
ইষ্টমূর্তিকে এমনভাবে বসাইবে,
ইষ্টমূর্তির
মুখ পিছনের দিকে থাকে—তােমার
পিঠের দিকে থাকিবে। ইষ্টমূর্তির
পিঠ সামনের দিকে থাকিবে।(১
ইষ্টকে হৃদয়ে স্থাপন দু-ভাবে
করার প্রচলন আছে। ক)
সাধারণত,
সাধক
নিজ দেহকে মন্দির করে হৃদয়ে
ইষ্টকে বসান। ইষ্টের মুখ ও
সাধকের মুখ একই দিকে। সাধকের
জীবাত্মা দেহ থেকে বেরিয়ে
এসে মুখােমুখি হয়ে ইষ্টের
ধ্যান করেন। মানবমনের পক্ষে
সবকিছুই সম্ভবপর। খ)
এই
পত্রদৃষ্টে মনে হয়,
সাধক
দেহ থেকে না বেরিয়ে হৃদয়ে
বসে মুখােমুখি হয়ে ইষ্টের
ধ্যান করেন।) এইরূপে হৃদয়মধ্যে জ্যোতির্ময়
ইষ্টমূর্তি বসাইয়া ধ্যান
করিও। ধ্যান ভাল হইলে শেষে
মূর্তিও থাকিবে না;
একটা
জ্যোতিঃ থাকিবে,
তাহাতেই
তােমার মন লয় হইয়া যাইবে।”
Sri
Ramakrishna
|
তাহার
পর শ্রীমহারাজ বলিলেন,
“এই
ফলটি আমার হাতে দাও।” (পূর্বেই
দক্ষিণা দেওয়ার জন্য ফলটি
রাখা ছিল।)
আমি
ফলটি মহারাজের হাতে দিয়া
প্রণাম করিলাম। শ্রীমহারাজ
আসন হইতে উঠিয়া বাহিরে গেলেন।
আমিও শ্রীমহারাজের পিছনে
পিছনে বাহিরে আসিলাম। শ্রীমহারাজ
নিজ ঘরে চলিয়া গেলেন। আমি
শ্রীশ্রীঠাকুরকে প্রণাম
করিয়া কিছুক্ষণ ধরিয়া
আনন্দের সহিত জপ করিলাম।
পরে
অন্য একসময় শ্রীমহারাজকে
জিজ্ঞাসা করিয়া লইয়াছিলাম—হৃদয়
মধ্যে জ্যোতির্ময় ইষ্টমূর্তির
কীরকম রূপের ধ্যান করিব?
শ্রীমহারাজ
বলিলেন,
“তােমার
ইষ্টের তাে ধ্যান রহিয়াছে,
সেই
ধ্যানে যে প্রকার রূপের কথা
Sri
Ramakrishna
|
aa
No comments