প্রাচীন সাধুদের কথা_স্বামী ধীরেশানন্দ (১৯০৭-১৯৯৮)
প্রাচীন সাধুদের কথা_স্বামী ধীরেশানন্দ (১৯০৭-১৯৯৮)
Sri
Ramakrishna
|
৫/১১/১৯৯০,
কনখল
সেবাশ্রম
দেবী
গিরিজীর স্মৃতিকথার (উদ্বোধনে
ছাপা)
copy-গুলি
আমি চাইনি। তুমি হিন্দিতে
ছাপা একটা স্মৃতিকথা বােধ
হয় দিয়ে গিয়েছিলে,
সেটার
Xerox
copy আমি
চেয়েছিলাম যদি পার তাে পাঠিও।
বব,
জর্জ
ও মেরি ভারতে এসেছিল। তখন
কনখলে আমার সঙ্গে দেখা হয়।
মেরি ভুগছে জেনে দুঃখ হলাে।
ভারতের জলবায়ু ও খাবার বােধ
হয় তার কারণ। ওরা এত আগ্রহ
করে পরম ভক্তিভরে আসে,
কিন্তু
আমরা ওদের ঠিকমতাে যত্ন করতে
জানি না ও পারি না। সহনং
সর্বদুঃখানাওদের কথা কেন
বলছ?
আমরাই
বা ক-জনে
পারি। কার্যত করা বড় কঠিন।
বব,
জর্জ,
মেরি
সকলকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা
দিয়ো
।
আমাদের
প্রভু ও তাঁর শিষ্যেরা সকলেই
রসিক ছিলেন বেদান্তীরাই
Sri
Ramakrishna
|
ঠিক
ঠিক রসিক হতে পারে।
জগৎটাকে
তাঁরা একটা মায়ার খেলা বলে।
সর্বদা জানেন কিনা।
Cinema-র
বিচিত্র ছবি বা যাদুকরের নানা
খেলা দেখে।
কার না আনন্দ হয়?
তাই
আচার্য বলেছেন—‘জগচ্চিত্রং
স্বচৈতন্যে পটে।
চিত্রমিবার্পিত।
মায়য়া তদুপেক্ষ্যৈব চৈতন্যং
পরিশেষ্যতাম্ ॥
আমার
পাকা দাড়ি দেখে তােমার আমেরিকান
ভক্তেরা আমাকে একজন ‘পীরবীন’
(প্রবীণ)
সাধু
বলে ধরে নিয়েছে বলে লিখেছ।
কিন্তু এটাও কি তারা জানে না
যে
white
beard can hide many things?
যাহােক,
আমি
কিন্তু মনে করি,
'I am at least in a holy company' কারণ
'Christian
God sitting on a throne above the clouds,
Jesus Christ, Popes,
Bishops, Muhammad, Zarathrustra, many Hindu Gods like Brahma,
Vishwakarma, many Rishis, Sri Ramakrishna-they all had beards.'
Sri
Ramakrishna
|
উদ্বোধনের
শারদীয়া সংখ্যায় তােমার
ঠাকুর যদি আজ থাকতেন’ প্রবন্ধটি
দু-বার
পড়লাম।
আবার পড়ব।
এত ভাল
লেগেছে যে তা আর কী বলব!
স্থানে
স্থানে পড়তে পড়তে অভিভূত
হয়ে পড়েছি।
ওর একটা xerox
copy যদি
পার তাে আমাকে দিয়ে।
তুমি
ওস্তাদ মালাকার।
সুদূর অঞ্চল
থেকে বিবিধ রঙের পুষ্পরাজি
সংগ্রহ করে ও তা দিয়ে মনােরম,
অতি
সুদৃশ্য মাল্যরচনায় তুমি
সুপটু ও সুদক্ষ।
এরূপ সংগ্রহ
গ্রথিত করে তুমি সকলকে আরাে
আনন্দ দাও ও তাদের দিনির্ণয়ের
সহায়ক হওভগবৎসমীপে এই প্রার্থনা
করি।
Sri
Ramakrishna
|
১৭/৩/১৯৯১, কনখল সেবাশ্রম
ঠাকুর
কাকে দিয়ে কী করাচ্ছেন,
তা
আমাদের বুদ্ধির অগম্য।
ভালমন্দ—সেসব আমাদের দৃষ্টি।
আমরা যা খারাপ বলি,
সেসব
বিষয়ে ঠাকুর ব্যক্তিবিশেষকে
বলেছেন—খেয়ে লে,
পরে
লে,
– লে
।
ঠাকুর সেসব অতি তুচ্ছ মনে
করেছেন।
তিনি দেখেন তাদের
জীবনের আগাগােড়া সবটা,
আমরা
দেখি কেবল একটা অংশমাত্র এবং
তা-ই
নিয়ে গলাবাজি করে আমরা পাতাল
কাঁপিয়ে তুলি।
প্রতি বৎসর
আমরা এঁদের জন্মােৎসব করি,
ভক্তগণসহ।
কাজেই তাঁদের জীবনের কিছু
আমাদের দৃষ্টিতে অশােভন হলেও
আসলে তা অন্যরূপ হতেও পারে।
এ-বিষয়ে
কোনাে প্রামাণিক পুস্তক থেকে
কিছু অংশ quote
করে
দিলাম,
জ্ঞানীদের
আচরণ বিষয়ে বেদান্তের
Sri
Ramakrishna
|
কী
মত তা তােমার অবগতির জন্য।
তা সর্বত্র প্রকাশ না করাই
ভাল,
কারণ
তাতে misunderstanding
হতে
পারেন বুদ্ধিভেদং জনয়েদজ্ঞানাং
কর্মসঙ্গিনা...।'
তা-ই
লােককল্যাণকর।
এখন আসল কথা
হচ্ছে এই
“উত্তম
মধ্যম কনিষ্ঠাধমতরাধমতমভেদেন
পঞ্চবিধং প্রারব্ধ।
১।
সর্বদা আজন্মমরণং বৈরাগ্যহেতুভূতং
নিবৃত্তিপ্রধানং প্রারব্ধ
উত্তমম্। যথা—শুক-বামদেব-সনকাদি
প্রারব্ধ।
২।
আদৌ-প্রবৃত্তিহেতুভূতমপি
পশ্চান্নিবৃত্তিহেতুভূতং
প্রারব্ধং মধ্যম। যথা—যাজ্ঞবল্ক্যাদি
প্রারব্ধ।
৩।
সদা প্রবৃত্তিহেতুভূতং
প্রারব্ধং কনিষ্ঠ। যথা—জনকাদি
প্রারব্ধ।
৪।
আদৌ নিবৃত্তিহেতুভূতং সৎ
পশ্চাৎ প্রবৃত্তিহেতুভূতং
প্রারব্ধ অধমতরম্।
যথা—শিখিধ্বজালর্করগণপ্রিয়ব্রাদি
প্রারব্ধ।
৫।
কামচার-কামবাদ-কামভক্ষণাদি
হেতুভূতং প্রারব্ধমধমতমম্।
যথা— দত্তাত্রেয়াদি প্রারব্ধ।”
Sri
Ramakrishna
|
পুনঃ
“জ্ঞানিনাে ব্যবহারে নৈব নিয়মােহস্তি। স্বাধীনে কার্যে নিয়মঃ সম্ভবতি। পরাধীনে তু কার্যে সন যুজ্যতে। জ্ঞানিনাং শরীর ব্যবহারশ্চ নানাপ্রারব্ধকর্মাধীননা বৰ্ত্ততে। তস্মাৎ হস্তমুক্তেতুল্য প্রারক্বাধীনাে জ্ঞানিব্যবহারাে ন নিয়তঃ। রাগাদি-বাসনা নিরুধ্য স্বাধীনচিত্তাঃ কেচন জ্ঞানিনাে মন্দস্য বা তীব্রস্য বা প্রারব্ধকৰ্মনঃ ফলভূতং শরীরব্যবহারং নিয়ময়ন্তি। তীব্রতরপ্রারব্ধফলভূতং শরীর ব্যবহারং নিয়ন্তং ন প্রভবন্তি।”
বুদ্ধিমান
তুমি এখন আর এই নিয়ে মাথা
খারাপ কোরাে না।
নিজেই বিচার
করে এবং যাচাই করে যা হয় বুঝে
নাও।
১৫/৬/১৯৯১,
কনখল
সেবাশ্রম।
God
Lived With Them বইতে
নিরঞ্জন মহারাজের জীবনী লিখেছ
জেনে আনন্দ হলাে।
শুনেছি তিনি কনখল দক্ষেশ্বর মন্দিরের
দক্ষিণদিকে গঙ্গাতীরে এক
ঝুপড়িতে ছিলেন ও সেখানেই
দেহত্যাগ করেন।
কল্যাণানন্দ
মহারাজ সেবা করবার জন্য আশ্রমে
আনতে গিয়েছিলেন তাঁকে।
No comments