প্রাচীন সাধুদের কথা_স্বামী ধীরেশানন্দ (১৯০৭-১৯৯৮)
প্রাচীন সাধুদের কথা_স্বামী ধীরেশানন্দ (১৯০৭-১৯৯৮)
Sri
Ramakrishna
|
এই
-কথাই
এখন কাম্য —'Dream
no more. Know the truth. Be one with It. Let visions cease.'
স্বামীজীর
ওপর একটা ভিডিও করেছ জেনে
আনন্দ হলাে। কত লােক তা দেখে
আনন্দ পাবে। ধন্য তুমি। কত
লােককে আনন্দ দান করছ। আশা
করি কাজের সঙ্গে খুব ধ্যান-ভজনও
করছ। ওটি রেখাে। নতুবা ভিডিওমিডিও
কিছুতেই কিছু হবে না। শুধু
নােঙর ফেলে দাঁড় টানাই সার
হবে। আমার
এখন নতুন প্রবন্ধ লেখার ক্ষমতা
বা উৎসাহ আর নেই। দু-চোখে
ছানি কাটানাের পর আমাকে যেন
physically
ও
intellectually
পঙ্গু
করে দিয়েছে। কাজেই মন’ বিষয়ে
প্রবন্ধ লেখা,
বই
ঘাঁটাঘাঁটি করা আর এ-জীবনে
কিছু হবে না। যা হওয়ার যথেষ্ট
হয়ে গিয়েছে। এখন তােমরা
লেখাে। আমার ভাব এখন ‘অব শিব
পার করে মেরে নেইয়া!’
আমি
বেশ মনের আনন্দেই আছি। প্রভু
যা করেন তা-ই
মঙ্গল।
Sri
Ramakrishna
|
২৪/১১/১৯৮৮, কনখল সেবাশ্রম।
একটা
ছােট বই লেখবার চেষ্টা
করাে—“Spiritual
realizations of Sri
Ramakrishna and their philosophical synthesis.' dira
সর্বধর্মসমন্বয়ের
ভিত্তি কী?
মূল
কোন ভিত্তিতে সর্বধর্ম সমন্বিত?
এ-বিষয়ে।
দীনেশচন্দ্র ভট্টাচার্য
শাস্ত্রী লিখিত প্রবন্ধ,
উদ্বোধন
থেকে প্রকাশিত বিশ্বচেতনায়
শ্রীরামকৃষ্ণ গ্রন্থে
‘শঙ্কর-রামানুজ-মধ্ব-শ্রীরামকৃষ্ণ
দেখতে পার এবং বহু বৎসর পূর্বে
উদ্বোধনে প্রকাশিত ‘স্বামী
বিবেকানন্দ ও অদ্বৈতবাদ’
প্রবন্ধ দ্রষ্টব্য (উদ্বোধন
৬৫ বর্ষ,
২
ও ৩ সংখ্যা)।
পুনঃ ‘নানা দৃষ্টিতে শ্রীরামকৃষ্ণ
প্রবন্ধ দেখাে (উদ্বোধন,
জ্যৈষ্ঠ
১৩৮৭)।
কখলের
দারুণ শীত-প্রতিরােধক
একটা জ্যাকেট পাঠিয়েছ—তা
যেমন সুন্দর নয়নপ্রীতিদায়ক
‘কেকিকণ্ঠাভনীল’ তার রং,
তেমনি
মােলায়েম,
খুব
ভাল জিনিস। Mount
Everest expedition-এ
বােধ হয় এরকম পােশাক নিয়েই
যায়। এর জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
তুমি যে আমাকে মনে রেখেছ,
সেজন্য
আরাে ধন্যবাদ। ধন্যবাদের
বদলে কী বলতে হয় জান?
মনে
হয়। শােননি,
তাহলে
শােনাে।
Sri
Ramakrishna
|
স্বামীজীর
সঙ্গে কয়েক জন মেমসাহেব এদেশে
এসেছেন। বেলুড় মঠ বাড়ি সবে
কেনা হয়েছে। বাসােপযােগী
হয়নি। মাঠে তাঁবু খাটিয়ে
মেমরা আছেন। স্বামীজী খােকা
মহারাজকে বলেছেন তাঁদের
দেখাশােনা করতে। কী। চাই,
না
চাই দেখতে। খােকা মহারাজ
যথাসাধ্য দেখাশােনা করছেন।
এটা সেটা এনে দেওয়া ইত্যাদি।
একদিন
স্বামীজী খােকা মহারাজকে
জিজ্ঞাসা করলেন,
“এই
খােকা,
ওদের
দেখাশােনা করছিস তাে ?”
খােকা
মহারাজ-হ্যাঁ
করছি।
স্বামীজী—তুই
যখন কিছু এনে দিস,
তখন
ওরা কী বলে?
খােকা
মহারাজ—ওরা বলে Thank
you.
স্বামীজী—তখন
তুই কী বলিস?
খােকা
মহারাজ—আমি কী বলব?
আমি
চুপ করে থাকি।
স্বামীজী—এঃ,
তােদের
নিয়ে আর পারি না। একটা ভদ্রতা
জানিস না। Manners,
etiquette শিখলি
না। তাদের যে কী হবে!
কোনাে
কাজের নােস তােরা।
Sri
Ramakrishna
|
খােকা
মহারাজ—তা কী বলতে হয়,
আমি
তাে জানি না। তা তুমি শিখিয়ে
দাও,
কী
বলব। আমি তা-ই
বলব।
স্বামীজী—ওরা
যখন বলবে—Thank
you, তুই
তখন বলবি–Don't
care.
খােকা
মহারাজ তা-ই
করলেন। মেমরা তাে প্রথমে অবাক।
পরে স্বামীজী তাঁদের কাছে
এলে তাঁরা ঐ-কথা
বললেন। তখন স্বামীজীর প্রাণভরা
হাসি। তাঁরা বুঝে নিলেন এসব
স্বামীজীরই কাণ্ড। তখন সকলে
মিলে খুব হাসি। স্বামীজী খুব
রসিক ছিলেন তাে।
তােমার
ঐ অপূর্ব জ্যাকেটটি কী করে
পরতে হয়,
তা
আমায় দেখিয়ে দিলে ব্রহ্মচারী
পরাশর। পরদিন ওটা পরতে গিয়ে
আর লাগাতে পারি না। কত ভ-জ-ক-ট।
একটা chain
একটা
ছেদায় ঢুকিয়ে আর একটা chain
ধরে
টানতে হবে ইত্যাদি। অনেক
টানাটানি করে শেষে গলদঘর্ম
হয়ে ওটা নিয়তি মহারাজকে
দিয়ে হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছি।
সে ওটা ব্যবহার করুক। তাকে
প্রায়ই ভােররাতে দিল্লি
যেতে হয় ঠান্ডায়। আমি বাঁচলাম।
বাঁদরের গলায় কি মুক্তার
হার শােভা পায়?
আমি
একটা প্রাচীন যুগের নির্বোধ
ব্যক্তি। Up-to-date
মােটেই
হতে পারলাম না। মুখ ভর্তি
একগাদা দাড়ি ও গোঁফ। ওসব ভাল
জিনিস ধাতে সইবে কেনে?
No comments