প্রাচীন সাধুদের কথা_স্বামী ধীরেশানন্দ (১৯০৭-১৯৯৮) - Spirituality Religion

Header Ads

প্রাচীন সাধুদের কথা_স্বামী ধীরেশানন্দ (১৯০৭-১৯৯৮)

প্রাচীন সাধুদের কথা_স্বামী ধীরেশানন্দ (১৯০৭-১৯৯৮)

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

স্বামী ধীরেশানন্দ (১৯০৭-১৯৯৮)

১৯৭০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে লক্ষ্ণৌতে বিবেকানন্দ পলিক্লিনিকের উদ্বোধন হয়। আমরা ১৫২ জন সাধু সেখানে সমবেত হয়েছিলাম। কলকাতায় অদ্বৈত আশ্রমে ফেরার পথে কাশীতে কয়েক দিন থাকি। একদিন সকালে মন্দির থেকে সেবাশ্রমে ফেরার পথে দাড়িমুখ এক সাধুকে প্রণাম করি। এই সাধুকে আমি আগে কোনােদিন দেখিনি, তবে নাম শুনেছিলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “কী নাম?” “চেতনানন্দ।” “তুমি তাে বেশ লেখ। তােমার কি Sanskrit background ছিল?” তিনি মনে হয় উদ্বোধন পত্রিকায় প্রকাশিত আমার লেখা ‘রামচরিতে কালিদাস ও ভবভূতি’ প্রবন্ধ পড়েছিলেন। “তুমি আমার সঙ্গে দেখা কোরাে” বলে চলে গেলেন।
Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna
অম্বিকাধামের পিছনে একটা ছােট ঘরে তিনি থাকতেন। তাঁর সঙ্গে বেদান্তশাস্ত্র নিয়ে অনেক আলােচনা হয়। তিনি শাস্ত্রের মধ্যে ডুবে থাকতেন। এবং বলতেন কী করে জীবনে বেদান্তের সত্য অনুভব করা যায়। আমি যখন বেলুড় মঠের ট্রেনিং সেন্টারে তখন ব্রহ্মচারী সুজিত ও মদন কনখল থেকে এসেছিল। তারা ধীরেশানন্দজীর কাছে শাস্ত্র পড়েছিল। মহারাজের নির্দেশ ছিল—“তােমরা রােজ চারটি শ্লোক মুখস্থ করে আসবে, আমি ঐগুলির ব্যাখ্যা করব। নতুবা আমি শুধু খাটব আর তােমরা খাটবে না—তা চলবে না।”
ধীরেশানন্দ ছিলেন স্বামী সারদানন্দের দীক্ষিত এবং ১৯৩২ সালে তাঁর সন্ন্যাস হয়। তিনি সারাজীবনে তপস্যা ও সাধনা, অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা এবং কয়েকটি প্রয়ােজনীয় শাস্ত্রগ্রন্থ রচনা করে গিয়েছেন। সেই ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ যােগাযােগ ছিল। আমি যখনই দেশে যেতাম তাঁর কাছে কয়েক দিন কাটাতাম, এছাড়াও তাঁর সঙ্গে আমার পত্রে যােগাযােগ ছিল।

মঠ-মিশনে join করার পর থেকে আমি শাস্ত্রজ্ঞ সাধক সাধুদের সঙ্গ করতাম। আমার ছাত্রসুলভ মনােবৃত্তি আগেও ছিল, এখনাে আছে। জীবনে
Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna


No comments

Powered by Blogger.