প্রাচীন সাধুদের কথা_ স্বামী চিৎপ্রকাশানন্দ (?-১৯৮৩)
প্রাচীন সাধুদের কথা_ স্বামী চিৎপ্রকাশানন্দ (?-১৯৮৩)
Sri
Ramakrishna
|
স্বামী চিৎপ্রকাশানন্দ (?-১৯৮৩)।
বৃদ্ধ,
অসুস্থ
ও তপস্যারত সাধুদের প্রতি
আমার খুব আকর্ষণ ছিল ও এখনও
আছে। সময় পেলেই আমি তাঁদের
কাছে তাঁদের জীবনের অভিজ্ঞতা
শুনতাম। অধ্যাত্মজীবনের
বাধাবিপত্তি,
সংগ্রাম
ও সিদ্ধি জানবার বাসনা আমার
বরাবর আছে। অনেককে দেখেছি
এঁদের কাছে ঘেঁসে না—avoid
করে।
আমি এঁদের সঙ্গে কথা বলে আনন্দ
পাই।
কাশী
সেবাশ্রমের ১০ নম্বর ওয়ার্ড
ছিল অবসরপ্রাপ্ত ও অসুস্থ
সাধুদের বাসস্থান। ১৬/৮/৮২
তারিখে স্বামী চিৎপ্রকাশানন্দের
(তারিণী
মহারাজ)
ঘরে
সকালে যাই। মহারাজ শেষজীবনে
অন্ধ হয়ে যান। আমি নিজের
পরিচয় দিলে তিনি আমাকে বলেন,
“দেখ,
আমি(তারিণী
মহারাজ)
১৯১৩
সালে মঠে join
করি।
রাজা মহারাজ আমাকে দীক্ষা
দেন। তাঁর কাছে সন্ন্যাস
চাওয়ায় তিনি নাচতে শুরু
করেন। ১৯২৩ সালে জয়রামবাটীতে
শরৎ মহারাজ আমাকে সন্ন্যাস
দেন।
“দেখ
ভাই,
আমি
চোখে দেখি না,
কিন্তু
এক ঘণ্টা গান গাইতে পারি। [এই
বলে তিনি এই গানটি গাইতে শুরু
করলেন]।
Sri
Ramakrishna
|
“আমি
দুর্গা দুর্গা বলে মা যদি মরি
।
আখেরে
এ-দীনে,
না
তারাে কেমনে,
জানা
যাবে গাে শঙ্করী।
“আমি
শ্রীশ্রীমাকে দর্শন করেছি।
এখন কখনাে করে আবার কখনাে
মালায় জপ করি। স্মরণ-মনন
আছে। বয়স ৯০-এর
ওপরে।”
এই
বৃদ্ধ সাধুটি আমাকে সেই অন্ধ
সাধুটির কথা মনে করিয়ে দিল,
যে
এক সাধুর হাত ধরে কেদারনাথ
শিবদর্শনে গিয়েছিল। অন্য
একজন সাধু তাকে বলল,
“তােমার
তাে চোখ নেই। এত কষ্ট করে এত
দূর এলে কেন?”
উত্তরে
অন্ধ সাধু বলল,
“একথা
ঠিক ভগবানকে দেখার চোখ আমার
নেই,
কিন্তু
বাবা কেদারনাথ তাে আমাকে দর্শন
করেছেন।”
Sri
Ramakrishna
|
aa
No comments