প্রাচীন সাধুদের কথা_স্বামী ধীরেশানন্দ (১৯০৭-১৯৯৮)
প্রাচীন সাধুদের কথা_স্বামী ধীরেশানন্দ (১৯০৭-১৯৯৮)
Sri
Ramakrishna
|
১৬/১১/১৯৯১, কনখল সেবাশ্রম।
গত
বছর আমার সান্নিধ্যে খুব আনন্দ
পেয়েছ লিখেছ। ওসব বাজে কথা,
কারণ
আমার কোনাে গুণ নেই। না
বিদ্যাবুদ্ধি,
না
সাধুত্ব,
না
কিছু। তবে তােমরা ওসব বল,
জানি
না কেন। বােধ হয়,
অকৃত্রিম
ভালবাসার বলে সকলকেই ভালবাস
বলে তা ভাল। প্রভু তােমাদের
সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ করুন।
শীতে
কোথাও যেতে লিখেছ—খরচ দেবে
ইত্যাদি। এতে তােমার ভালবাসায়
অভিভূত হলাম। কিন্তু এখন মনের
ইচ্ছা হলেও শরীরের সামর্থ্যের
অভাব। একা কোথাও যেতে ভয় করে।
চোখেও কম দেখি,
কানেও
কম শুনি। ওঠা-নামা
করতেও দুর্বলতা বােধ করি। তা
85th
year চলছে।
শরীরেরই বা দোষ কী?
এখন
‘অঙ্গং গলিতং পলিতং তুণ্ডং,
দশনবিহীনং
জাতং তুণ্ড। বৃদ্ধো যাতি
গৃহীত্ব দণ্ডম্ অবস্থাই বেশ
অনুভব করছি। তাই বলতে হচ্ছে—“উত্থায়
হৃদি লীয়ন্তে বৃদ্ধানাং চ
মনােরথাঃ'—তাই
আশীর্বাদ করাে যেন বেশি না
ভুগে শীঘ্রই এই দেহসহিত
জগৎ-স্বপ্নটা
তাড়াতাড়ি ভেঙে যায়। তখন
Sri
Ramakrishna
|
‘মদজ্ঞাননাদিতং
বিশ্বং ময়্যেব লয়মাগত।
অপরােক্ষ চিদানন্দ
সাম্রাজ্যমধুনাস্ম্যহম্।
তা যতদিন না হয় ততদিন
ময়্যনন্তচিদম্ভোধাবাশ্চর্যং
জীববীচয়ঃ। সমুল্লসন্তি
খেলন্তি প্রবিশন্তি স্বভাবতঃ।
ময়্যনন্তচিদম্ভোধৌ বিশ্ববীচ্যাদি
কল্পনা। উদেতু বাস্তমায়াতু
ন মে বৃদ্ধি মে ক্ষতিঃ।।
Sri
Ramakrishna
|
জীবনপ্রভাতে
শ্রীমদধ্যাত্মরামায়ণ পড়ে
মুগ্ধ হই। তখন থেকেই একটা
ইচ্ছা ছিল যে,
এই
অপূর্ব বই-এর
একটা বাংলা অনুবাদ করলে বেশ
হয়। বাংলায় তখন এই বই দেখিনি।
জীবন-সায়াহ্নে
ঐ পুস্তকটির বাংলা তর্জমা
করতে আরম্ভ করেছি। আমি বলে
যাই,
আর
একজন বৃদ্ধ সাধু লিখে যান।
চার ভাগের তিন ভাগ হয়ে গিয়েছে।
বাকিটুকুও তাঁর ইচ্ছায় বােধ
হয় হয়ে যাবে। তবে একমেটে।
এরপর দোমেটে ও রং লাগানাে আমার
দ্বারা হবে না । যদি তােমরা
কেউ কর তাে হবে। নইলে এই পর্যন্তই
শেষ। শ্লোকের অনুবাদ—ভাষার
সাবলীলতা-শুদ্ধতা-মাধুর্য
ইত্যাদি বজায় রেখে করা কঠিন।
ভাবানুবাদ সােজা। তাতে নিজের
ইচ্ছামতাে শব্দ সংযােজন করা
যায়। যাক,
শেষবয়সে
আমার রামচরিত্র মনন হচ্ছে।
আমার এটাই লাভ। পড়তে পড়তে
কোথাও কোথাও মন যেন অভিভূত
হয়ে পড়ে। ঠাকুর এই বই-এর
অকুণ্ঠ
No comments