প্রাচীন সাধুদের কথা _প্রশ্ন-মহারাজ, গভীর ধ্যানে মগ্ন হওয়া যায় কী করে? - Spirituality Religion

Header Ads

প্রাচীন সাধুদের কথা _প্রশ্ন-মহারাজ, গভীর ধ্যানে মগ্ন হওয়া যায় কী করে?

প্রশ্ন-মহারাজগভীর ধ্যানে মগ্ন হওয়া যায় কী করে?

Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

প্রশ্ন-মহারাজ, গভীর ধ্যানে মগ্ন হওয়া যায় কী করে?

স্বামী বােধাত্মানন্দ (ভব মহারাজ) - ঐ যে দেখছ প্রাচীন সাধুটি
উনি ৪০ বছর চেষ্টা করছেন ঐ জিনিসটা পেতে।
 আর তুমি আজই তা পেতে চাও। 
নিরন্তর অভ্যাস করাে
তুমি তাে উদ্বোধনে প্রায়ই যাও।
 যখন ট্রাম-বাসে যাও তখন মায়ের চিন্তা করবে।
 অন্য চিন্তা করবে না।
তারপর তিনি স্বামীজীর জ্ঞানযােগ থেকে একটা অংশ মুখস্থ বলে গেলেন
"নিজের পায়ে নিজে দাঁড়াও। সমুদয় দায়িত্ব নিজ স্কন্ধে গ্রহণ করাে। গতস্য শােচনা নাস্তি। তােমার কৃত প্রত্যেক অসৎ- চিন্তা ও অসৎ-কার্য তােমার উপর ব্যাঘ্রের ন্যায় লাফাইয়া পড়িতে উদ্যত, সেইরূপ তােমার সৎ-চিন্তা ও সৎ কার্যগুলি সহস্র দেবতার বলসম্পন্ন হইয়া তােমাকে সদা রক্ষা করিতে উদ্যত।"

( প্রাচীন সাধুদের কথা- স্বামী চেতনানন্দ )
Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna

ঠাকুরের ব্রজের রাখাল 

মহারাজ (স্বামী ব্রহ্মানন্দ) তখন ভুবনেশ্বর মঠে।
 একদিন মঠবাড়ির উঠানে সিঁড়ির কাছে দাঁড়িয়ে এক ডাক্তার ভদ্রলােকের সঙ্গে কথা বলছেন
হঠাৎ ওপর থেকে আবির এসে পড়ল মহারাজের গায়ে এবং পায়ে।
 ছাদের ওপরে
আশ্রমের চারদিকে খোঁজা হলাে—কেউ কোথাও নেই।
 ডাক্তার ভদ্রলােকও অবাক
আমরাও অবাক।
  • কোথা থেকে রং এল?
  • কে রং দিল
মহারাজ বললেন-
" আজ কি দোল নাকি ?" 
পঞ্জিকা দেখা হলাে।
 দেখা গেল সত্যি সত্যিই সেদিন দোল পূর্ণিমা। 
ভুবনেশ্বর তখন জঙ্গল। 
মঠের চারপাশেও জঙ্গল।
 মানুষজন নেই।
 মঠে বিশেষ কেউ আসে না। 
আমরাও কবে কোন্ তিথি কেউ খোঁজ রাখতাম না।
 কিন্তু ভগবান তাঁর অঘটনঘটনপটীয়সী মায়ায় তাঁর অংশে জাত ব্ৰজের রাখালকে হােলির দিনটি জানিয়ে দিলেন।
 স্বামী নির্বাণানন্দ।
Sri Ramakrishna

Sri Ramakrishna


এই ভারতেই এমন সময় ছিল
যখন গােমাংস ভােজন না করিলে কোনাে ব্রাহ্মণের ব্রাহ্মণত্ব থাকিত না।
 বেদপাঠকরিলে দেখিতে পাইবে
কোনাে বড়সন্ন্যাসী বা রাজা বা অন্য কোনাে বড়লােক আসিলে ছাগও গােহত্যা করিয়া তাঁহাদিগকে ভােজন করানাের প্রথা ছিল।

ক্রমশঃ সকলে বুঝিল-আমাদের জাতি প্রধানতঃ।

 কৃষিজীবী,
সুতরাং ভাল ভাল ষাঁড়গুলি হত্যা করিলে সমগ্র।
 জাতি বিনষ্ট হইবে।
 এই কারণেই গােহত্যা-প্রথা রহিত করা হইল-গগাহত্যা মহাপাতক বলিয়া পরিগণিত হইল।।

প্রাচীন-শাস্ত্রপাঠে আমরা দেখিতে পাই
তখন হয়ত এমন সব আচার প্রচলিত ছিল,
যেগুলিকে এখন আমরা বীভৎস বলিয়া মনে করি..."

স্বামী বিবেকানন্দ রচনাবলী/৫ম খণ্ড/ ভারতে বিবেকানন্দ/
মাদুরা অভিনন্দনের উত্তর

No comments

Powered by Blogger.