প্রাচীন সাধুদের কথা _সেবা ও বাবুরামাদি সাঙ্গোপাঙ্গ
প্রাচীন সাধুদের কথা _সেবা ও বাবুরামাদি সাঙ্গোপাঙ্গ
Sri
Ramakrishna
|
ঠাকুরের মধ্যাহ্ন-সেবা ও বাবুরামাদি সাঙ্গোপাঙ্গ
ঠাকুরের
জন্য মা-কালীর
অন্নপ্রসাদ আনা হইল।
ঠাকুর
সেবা করিবেন। বেলা প্রায়
একটা।
আহারান্তে একটু বিশ্রাম
করিবেন।
ভক্তরা তবুও ঘরে সব
বসিয়া আছেন।
বুঝাইয়া বলার
পর বাহিরে গিয়া বসিলেন।
হরিশ,
নিরঞ্জন,
হরিপদ
রান্না-বাড়ি
গিয়া প্রসাদ পাইবেন।
ঠাকুর
হরিশকে বলিতেছেন,
তােদের
জন্য আমসত্ত্ব নিয়ে যাস।
ঠাকুর
একটু বিশ্রাম করিতেছেন।
বাবুরামকে বলিতেছেন,
বাবুরাম,
কাছে
একটু আয় না?
বাবুরাম
বলিলেন,
আমি
পান সাজছি।
শ্রীরামকৃষ্ণ
বলিতেছেন --
রেখে
দে পান সাজা।
ঠাকুর
বিশ্রাম করিতেছেন।
এদিকে
বকুলতলায় ও পঞ্চবটীতলায়
কয়েকটি ভক্ত বসিয়া আছেন,
--
- মুখুজ্জেরা,
- চুনিলাল,
- হরিপদ,
- ভবনাথ,
- তারক।
তারক(স্বামী
শিবানন্দ) শ্রীবৃন্দাবন হইতে সবে
ফিরিয়াছেন।
ভক্তরা তাঁর
কাছে বৃন্দাবনের গল্প শুনিতেছেন।
তারক(স্বামী শিবানন্দ) নিত্যগােপালের সহিত
বৃন্দাবনে এতদিন ছিলেন।
Sri
Ramakrishna
|
[বিদ্যাসাগর
ও চেঙ্গিস খাঁ
—ঈশ্বর কি
নিষ্ঠুর?
শ্রীরামকৃষ্ণের
উত্তর]
সুখ-দুঃখের
কথা হইতেছে। ঈশ্বর এত দুঃখ
কেন করেছেন?
মাস্টার—বিদ্যাসাগর
অভিমান করে বলেন,
“ঈশ্বরকে
ডাকবার আর কি দরকার !
দেখ
চেঙ্গিস খাঁ
যখন লুটপাট
আরম্ভ করলে তখন অনেক লােককে
বন্দী করলে;
ক্রমে
আর এক লক্ষ বন্দী জমে গেল।
তখন
সেনাপতিরা এসে বললে মহাশয়,
এদের
খাওয়াবে কে?
সঙ্গে
এদের রাখলে আমাদের বিপদ।
কি
করা যায় ?
ছেড়ে
দিলেও বিপদ।
তখন চেঙ্গিস খাঁ
বললেন,
তাহলে
কি করা যায়।
ওদের সব বধ কর।
তাই কচাকচ করে কাটবার হুকম
হয়ে গেল।
এই হত্যাকাণ্ড তাে
ঈশ্বর দেখলেন?
কই
একটু নিবারণ তাে করলেন না।
তা তিনি থাকেন থাকুন,
আমার
দরকার বােধ হচ্ছে না।
আমার
তাে কোন উপকার হল না!”
Sri
Ramakrishna
|
শ্রীরামকৃষ্ণ—ঈশ্বরের
কার্য কি বুঝা যায়,
তিনি
কি উদ্দেশ্যে কি করেন?
তিনি
সৃষ্টি,
পালন,
সংহার
সবই করছেন।
তিনি কেন সংহার
করছেন আমরা কি বুঝতে পারি ?
আমি
বলি,
মা,
আমার
বােঝবারও দরকার নাই,
তােমার
পাদপদ্মে ভক্তি দিও।
মানুষ
জীবনের উদ্দেশ্য এই ভক্তিলাভ।
আর সব মা জানেন!
বাগানে
আম খেতে এসেছি;
কত
গাছ,
কত
ডাল,
কত
কোটি পাতা—
এসব বসে বসে হিসাব
করবার আমার কি দরকার !
আমি
আম খাই,
গাছপাতার
হিসাবে আমার দরকার নাই।
No comments