শ্রীশ্রীমা বললেন, "এই দেহ থাকতে কারো কাছে এসব কথা বলবে না।" - Spirituality Religion

Header Ads

শ্রীশ্রীমা বললেন, "এই দেহ থাকতে কারো কাছে এসব কথা বলবে না।"



ভক্তবৎসলা.....................


শ্রীশ্রীমা  বললেন, এই দেহ থাকতে কারো কাছে এসব কথা বলবে না।
ভক্তবৎসলা

শ্রীশ্রীমা  বললেন, "এই দেহ থাকতে কারো কাছে এসব কথা বলবে না।" দিল্লীতে একটি ইংরেজী মাধ্যম স্কুলে শিক্ষকতা করাকালীন সেখানে আমাদের একটি ভক্তগোষ্ঠীর সঙ্গে ঠাকুরের কথা আলোচনা হতো। 
মায়ের কথাও শুনেছিলাম, কিন্তু দেখিনি। 
একরাত্রে স্বপ্ন দেখলাম। মাঝখানে শ্রীশ্রীমা বসে রয়েছেন, তাঁর একপাশে বসে আছেন মা দুর্গা, অন্যপাশে মা কালী। 
দেখে ধড়মড় করে উঠে বসেছি বিছানায়। 
আমাদের গৃহদেবতা নারায়ণ, নাম - রাজরাজেশ্বর। 
তাঁকে স্মরণ করে, প্রণাম করে আবার শুয়েছি। 
ঘুমিয়ে পড়েছি, আবার স্বপ্ন দেখছি, মায়ের একপাশে মা জগদ্ধাত্রী, অন্যপাশে মা কালী। 
শ্রীশ্রীমা বললেন - "আমি সারদা।" এবার আর ভয় হলো না, কিন্তু স্বপ্ন ভেঙে গেল।  
মাকে দর্শন করার জন্য মনটা ব্যাকুল হয়ে উঠল। 
ভাবছি কিভাবে কোথায় গেলে মায়ের দর্শন পাব। 
তখন রাস্তাঘাট বেশিরভাগ হাঁটাপথ ছিল। 
পুজোর ছুটিতে দিল্লী থেকে কলকাতায় এসে স্বামী সারদানন্দ মহারাজের সঙ্গে উদ্বোধনে দেখা করলাম। 
মহারাজকে জিজ্ঞাসা করলাম, 
 মহারাজ বললেন, জয়রামবাটীতে। 
জয়রামবাটী গেলাম  বর্ধমান পর্যন্ত ট্রেনে, তারপর হেঁটে আরামবাগ হয়ে জয়রামবাটী পৌঁছে শুনলাম শ্রীশ্রীমা রাধু-দিদিকে নিয়ে কোয়ালপাড়ায় রয়েছেন। 
সেরাত্রি জয়রামবাটীতে থেকে পরদিন একজন মহারাজ সঙ্গে একটি লোক দিলেন, সে কিছুদূর গিয়ে আমাকে কোয়ালপাড়ার রাস্তা দেখিয়ে দেবে। 
লোকটি কিছু পথ এসে কোয়ালপাড়ার রাস্তা দেখিয়ে চলে গেল। 
শ্রীশ্রীমা  বললেন, এই দেহ থাকতে কারো কাছে এসব কথা বলবে না।
ভক্তবৎসলা


হাঁটতে হাঁটতে দেখি একটা পুকুরে প্রচুর পদ্মফুল ফুটে আছে।
 দেখে খুব ইচ্ছে হলো, মায়ের চরণপূজার জন্য কিছু পদ্মফুল তুলে নিয়ে যাই। 
তুলতে গিয়ে জামাকাপড় সব ভিজে গেল। 
ভিজে কাপড়ে উঠে আবার হাঁটা শুরু করলাম। 
যখন কোয়ালপাড়া পৌঁছালাম তখন ভিজে কাপড় গায়েই শুকিয়ে গেছে। 
আশ্রমে গিয়ে শুনলাম, শ্রীশ্রীমা তখন পূজার ঘরে। 
আশ্রমের একজন ব্রহ্মচারী মহারাজ আমাকে দেখে বললেন,
  •  " আপনি কি দিল্লী থেকে আসছেন ? 
  • মাকে দর্শন করতে? 
  • দীক্ষা নিতে ?" 

আমি অবাক হয়ে বললাম, 
" হ্যাঁ, কিন্তু আপনি কি করে তা জানলেন ?" 
তিনি বললেন : 
শ্রীশ্রীমা বলেছেন। আপনার হাতে যে পদ্মফুল থাকবে তাও শ্রীশ্রীমা বলে দিয়েছেন।" 
শুনে আমার আর বাক্যস্ফূর্তি হলো না। 
ব্রহ্মচারী বললেন,
"শ্রীশ্রীমা বলেছেন, পুজো শেষ হলে আজই আপনাকে তিনি দীক্ষা দেবেন।
আমি তখন স্তম্ভিত। কিছুক্ষণ পর ব্রহ্মচারী বললেন : " শ্রীশ্রীমা আপনাকে ডাকছেন।
" পূজার ঘরে গিয়ে মাকে   প্রণাম করার পরে মাকে দেখেই  আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম। 
যখন জ্ঞান ফিরল তখন দেখছি শ্রীশ্রীমা আমার মাথায়, পিঠে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। 
বলছেন," ওঠ বাবা, এই তো আমি ! আহা বাছা, কত দূর থেকে কত কষ্ট করে হেঁটে এসেছে !" আমি উঠে বসলাম। আমার চোখ তখন জলে ঝাপসা। 
সামনে শ্রীশ্রীমা বসে রয়েছেন, স্বপ্নে-দেখা সেই মূর্তি ! শ্রীশ্রীমা সস্নেহে মৃদু হেসে বললেন, 
" কি বাবা, মিলছে, স্বপ্নে যা দেখেছিলে ? 
এবার তোমাকে আমি দীক্ষা দেব।" 
আসন পাতা ছিল, সেটি দেখিয়ে বললেন : "এখানে বস।" দীক্ষা হয়ে গেল। শ্রীশ্রীমা বললেন,
"তুমি যে পদ্মফুল এনেছিলে, সেগুলি কোথায় ?"
 আমি বললাম : "ব্রহ্মচারী মহারাজকে দিয়েছি।" শ্রীশ্রীমা ব্রহ্মচারীকে ডেকে  পদ্মফুলগুলি নিয়ে আসতে বললেন। ব্রহ্মচারী আনলে শ্রীশ্রীমা ঠাকুরকে দেখিয়ে বললেন,  "ওঁর পায়ে অঞ্জলি দাও। 
উনিই তোমার ইষ্ট, উনিই তোমার গুরু।" আমি পদ্মফুলগুলি নিয়ে মায়ের পায়ে দেব ভাবছিলাম।
 অন্তর্যামিণী শ্রীশ্রীমা আমার মনের কথা জেনে তক্ষুনি বলে উঠলেন,
শ্রীশ্রীমা  বললেন, এই দেহ থাকতে কারো কাছে এসব কথা বলবে না।
ভক্তবৎসলা


"আগে ঠাকুরের পায়ে দাও, পরে আমার পায়ে দেবে।" 
শ্রীশ্রীমা যেমন বললেন তেমনিভাবে সব যেন যন্ত্রের মতো সব করছিলাম। 
মায়ের পায়ে ফুল দিয়ে প্রণাম করে উঠতে শ্রীশ্রীমা বললেন ---" যেমন দেখিয়ে দিয়েছি, সেভাবে কিছুক্ষণ জপ-ধ্যান কর।" কিছুক্ষণ পর আমি যে স্বপ্ন দেখেছিলাম সেই স্বপ্নবৃত্তান্ত শ্রীশ্রীমা তাঁর কাছে বলতে বললেন। 
শুনে ( নিজেকে দেখিয়ে ) শ্রীশ্রীমা  বললেন, "এই দেহ থাকতে কারো কাছে এসব কথা বলবে না।" 

- দ্বিজবর মুখোপাধ্যায় (মায়ের কৃপাধন্য)

https://www.medlinepluss.uk/watch-instant-family-online-free-2/ 

No comments

Powered by Blogger.