রামলাল চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিকথায় ঠাকুর সাধারণত ভোর তিনটে
রামলাল চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিকথায়
রামলাল চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিকথা
শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ ঠাকুর সাধারণত ভোর তিনটে বা সাড়ে তিনটের সময় উঠে পড়তেন।
যখন তিনি ঝাউতলায় শৌচে যেতেন,আমি এগিয়ে যেতুম অথবা গাড়ু ও গামছা নিয়ে তাঁর পেছনে যেতুম।
তারপর তিনি পুকুরে যেতেন এবং কাপড় ছেড়ে ঘাটের ওপর পা ঝুলিয়ে বসতেন।
আমি তাঁর কাছে জল আনতুম এবং তিনি মুখ, হাত, পা ধুতেন।
তারপর গামছা পরে তিনি তাঁর ঘরে ফিরে আসতেন।
ইতিমধ্যে আমি তাড়াতাড়ি গাড়ু মেজে ও তাঁর কাপড় কেচে তাঁর পেছনে পেছনে দৌড়ে আসতুম।
তাঁর ঘরে এসে তিনি কাচা কাপড় পরতেন এবং দক্ষিণের বারান্দায় গিয়ে দাঁত মাজতেন।
তারপর তিনি হাতের চেটোতে একটু গঙ্গাজল নিয়ে মাথায় ছিটিয়ে দিতেন আর বলতেন,
"ব্রম্ভবারি, ব্রম্ভবারি। গঙ্গা, গঙ্গা ! হরি ওঁ তৎ সৎ।"
তারপর তিনি জগন্নাথ ও কালীর প্রসাদ খেতেন এবং
একটি ছোট বটুয়াতে রাখা তারকেশ্বরের শিব মন্দিরে পুজো দেওয়া কয়েক টুকরো শুকনো বেলপাতাও খেতেন।
জোরহাতে তিনি ঘরের সমস্ত দেবদেবীর চিত্রগুলিকে প্রণাম করে ছোট খাটটিতে বসতেন।
ঠাকুর অধিকাংশ সময়ে দুরকম ভাবে থাকতেন।
কোন কোন দিন বিধিবৎ সমস্ত শুদ্ধি ক্রিয়া করতেন।
আবার কোন কোন দিন কিছুই করতেন না।
এমন কি প্রক্ষালনও ভাল করে করতেন না।
সকালে পুকুর থেকে এসেই খাবার চাইতেন এবং খাওয়ার পরে অনিচ্ছার সঙ্গে হাত ধুতেন।
একদিন তিনি বলেছিলেন,
No comments