শ্রী শ্রী মায়ের সম্পর্কে মহাপুরুষজীর স্মৃতি চারণা:
শ্রী শ্রী মা |
শ্রী শ্রী মায়ের সম্পর্কে মহাপুরুষজীর স্মৃতি চারণা:
শ্রী শ্রী মা কাশী এসেই তীর্থ যাত্রীদের মতো স;কল্প করে পাঠক ঠাকুরের কাছে প্রায় দুই মাস কাশী খন্ড পুরাণ পাঠ শুনেছিলেন।
পাঠ শেষ হতে কয়েকজন ব্রাহ্মণসহ পাঠক ঠাকুরকে ঘটি গ্লাস ইত্যাদি ও ভোজন দক্ষিণা দিয়ে ভোজন করিয়েছিলেন।
এরপর শ্রী শ্রী মায়ের মনে সাধু ভোজনের ইচ্ছা হয়।
তিনি একদিন গোলাপ মাকে দিয়ে রাখাল মহারাজকে বলে পাঠালেন যে তিনি অমুক দিন আমাদের রান্না করে খাওয়াতে চান।
আমাদের তো আনন্দের সীমা রইল না।
শ্রী শ্রী মা আমাদের খাওয়াবেন এর চাইতে বড় কথা আর কি হতে পারে।
সেদিন সকাল সকাল স্নান করে ভস্ম মেখে
- আমি(মহাপুরুষ মহারাজ),
- রাখাল মহারাজ,
- হরি মহারাজ
তিনজন শ্রী শ্রী মায়ের বাড়িতে গেলাম।
তিনি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
রাখাল মহারাজ তো গিয়েই নীচে থেকে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করে জোড়হাতে বললেন ঃ'
" মা, আমাদের একটি নিবেদন আছে। আপনি আগে খান। আমরা আপনার প্রসাদ পাব।"
তাশুনে শ্রী মা গোলাপ মাকে দিয়ে বলে পাঠালেন----
" রাখাল কে বল যে ছেলেদের না খাইয়ে মা কি আগে খেতে পারে? ছেলেদের খাইয়ে পরে আমি খাব ও সকলকে প্রসাদ দেব। "
আমরা তিনজন খেতে বসে গেলাম।।
মা দরজার আড়াল থেকে সকলকে যত্ন করে খাওয়ালেন।
খাওয়া শেষে মা আমাদের প্রত্যেককে এক টাকা করে দক্ষিণা ও একখানা করে নতুন কাপড় দিলেন।
তা পেয়ে আমাদের এতো আনন্দ হল যে রাজা মহারাজ তো মুখ হাত না ধুয়েই নতুন কাপড় মাথায় পাগড়ি বেঁধে
" জয় মা, জয় মা" বলে দাঁড়িয়ে আনন্দে হাততালি দিয়ে নাচতে লাগলেন,
আমরাও তাঁর সঙ্গে সঙ্গে নাচতে লাগলাম।
শ্রীশ্রী মা তাদেখে খুব আনন্দ করতে লাগলেন।
- তার ভাব হয়ে যেত।
- অশ্রু পুলক হয়,
- সর্বাঙ্গে রোমাঞ্চ হত,
- তিনি ভাবে থর থর করে কাপতেন।।
No comments