সত্যসঙ্কল্প শ্রীরামকৃষ্ণ
সত্যসঙ্কল্প শ্রীরামকৃষ্ণ -------------------------
শ্রীরামকৃষ্ণ কায়মনোবাক্যে সন্ন্যাসীর আদর্শ 'সঞ্চয় করবে না' থেকে কখনো বিচ্যুত হননি। একদিন তিনি খাওয়ার পরে নহবতে গেছেন শ্রীমায়ের কাছে একটু মুখশুদ্ধির জন্য, একটু মশলার জন্য। তাঁর বটুয়ায় মশলা ছিল না। মা অল্প একটু যোয়ান মৌরি খেতে দিলেন আর অল্প একটু কাগজে মুড়ে হাতে দিয়ে বললেন, " নিয়ে যাও। "
ঐটুকু তো পথ ------- নহবত থেকে শ্রীরামকৃষ্ণের ঘর, কিন্তু ঘর দেখতে পাচ্ছেন না, পথও দেখতে পাচ্ছেন না। হুঁশও নেই। ঘরে না গিয়ে সোজা দক্ষিণ দিকের নহবতের কাছে গঙ্গার ধারের পোস্তায় চলে গেছেন। বলছেন, " মা, ডুবি ? মা, ডুবি ? "
ঐসব দেখে শ্রীমা তো ছটফট করছেন। সকলের সামনে তো কখনো বেরন না, কাউকে দেখতেও পাচ্ছেন না। শেষে কালীমন্দিরের একজন ব্রাহ্মণকে দেখতে পেয়ে তাকে দিয়ে হৃদয়কে ডেকে পাঠালেন। হৃদয় তখন খেতে বসেছিল। তাড়াতাড়ি এঁটো হাতেই দৌড়ে এসে শ্রীরামকৃষ্ণকে একেবারে ধরে তুলে নিয়ে এল। আরেকটু হলেই তিনি গঙ্গায় পড়ে যেতেন। পরবর্তীকালে মায়ের কাছে এই কথা শুনে স্বামী অরূপানন্দ জিজ্ঞাসা করেছিলেন, " দক্ষিণমুখো কেন গেলেন ? " শ্রীমা বলেছিলেন, " হাতে দুটি যোয়ান দিয়েছিলুম কিনা ! সাধুর সঞ্চয় করতে নেই, তাই পথ দেখতে পাননি। তাঁর যে ষোল আনা ত্যাগ । " সত্যের প্রতি এমন আঁট দুর্লভ।
ঐটুকু তো পথ ------- নহবত থেকে শ্রীরামকৃষ্ণের ঘর, কিন্তু ঘর দেখতে পাচ্ছেন না, পথও দেখতে পাচ্ছেন না। হুঁশও নেই। ঘরে না গিয়ে সোজা দক্ষিণ দিকের নহবতের কাছে গঙ্গার ধারের পোস্তায় চলে গেছেন। বলছেন, " মা, ডুবি ? মা, ডুবি ? "
ঐসব দেখে শ্রীমা তো ছটফট করছেন। সকলের সামনে তো কখনো বেরন না, কাউকে দেখতেও পাচ্ছেন না। শেষে কালীমন্দিরের একজন ব্রাহ্মণকে দেখতে পেয়ে তাকে দিয়ে হৃদয়কে ডেকে পাঠালেন। হৃদয় তখন খেতে বসেছিল। তাড়াতাড়ি এঁটো হাতেই দৌড়ে এসে শ্রীরামকৃষ্ণকে একেবারে ধরে তুলে নিয়ে এল। আরেকটু হলেই তিনি গঙ্গায় পড়ে যেতেন। পরবর্তীকালে মায়ের কাছে এই কথা শুনে স্বামী অরূপানন্দ জিজ্ঞাসা করেছিলেন, " দক্ষিণমুখো কেন গেলেন ? " শ্রীমা বলেছিলেন, " হাতে দুটি যোয়ান দিয়েছিলুম কিনা ! সাধুর সঞ্চয় করতে নেই, তাই পথ দেখতে পাননি। তাঁর যে ষোল আনা ত্যাগ । " সত্যের প্রতি এমন আঁট দুর্লভ।
✳✳ জয় ঠাকুর ✳✳
No comments